গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় সরকার হস্তক্ষেপ করছে না ॥ সাজেদা- ডিইউজের সাধারণসভা

জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেছেন, গণতন্ত্র বিকাশে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা না থাকলে গণতন্ত্র বিকশিত হয় না।
দেশের গণমাধ্যম এখন পুরোপুরি স্বাধীনতা ভোগ করছে। সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় কোন হস্তক্ষেপ করছে না। বৃহস্পতিবার ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বার্ষিক সাধারণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিইউজের সভাপতি ওমর ফারুক। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি, ভূমি প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান এমপি, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া। বার্ষিক সাধারণসভা সঞ্চালনা করেন ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ। সাধারণসভা শুরুর আগে নিহত সব সাংবাদিকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শোক প্রস্তাব পাঠ করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী সাংবাদিকদের সরকারীভাবে বাসস্থানের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়ে বলেন, সরকারী প্লটে সাংবাদিকদের জন্য বিশেষ কোটা ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে অথবা সাংবাদিকদের জন্য আলাদা জায়গা বরাদ্দ করা যেতে পারে, যেখানে শুধু সাংবাদিকরাই থাকবেন। যাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করেন, তাঁদের সব সুযোগ-সুবিধা ও বাসস্থান নিশ্চিত করতে আগামীকাল (শুক্রবার) প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ করবেন বলেও আশ্বাস দেন সাজেদা চৌধুরী।
আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম ব্যাহত করতে জামায়াতসহ প্রধান বিরোধী দল নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তবে কোনভাবেই তারা বিচার ব্যাহত করতে পারবে না।
সাজেদা চৌধুরী বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় আমরা বিশ্বাস করি। তবে যে স্বাধীনতা মৌলবাদ উস্কে দেয়, যে স্বাধীনতা দেশের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির পক্ষে অবস্থান নেয়, দুর্বল মানুষের পক্ষ নেয় না আমরা সেই স্বাধীনতার বিপক্ষে।
পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের গণমাধ্যম এখন পুরোপুরি স্বাধীনতা ভোগ করছে। সরকার কোন ধরনের সেন্সরশিপ করছে না। দেশে এখন গণমাধ্যম যে ধরনের স্বাধীনতা ভোগ করছে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রেও এমন স্বাধীনতা ভোগ করে না।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হলেও আমি নিজেকে সাংবাদিক মনে করি। সাংবাদিকদের প্রতিনিধি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আছি। সাংবাদিকদের সব দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরতে সব সময় চেষ্টা করছি।
ইকবাল সোবহান চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে সাগর-রুনীসহ সব সাংবাদিক হত্যার বিচার দাবি করেন। পাশাপাশি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে তথ্য অধিকার আইন পাস করেছে। তথ্য কমিশন গঠন করেছে। অষ্টম ওয়েজ বোর্ড গঠনের কার্যক্রম শুরু করেছে। মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করেছে। এসবই ইতিবাচক দিক। বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিক মারা গেলেও তার বিচার হয়নি। সাগর-রুনীসহ নিহত সব সাংবাদিকের বিচার দ্রুত নিষ্পন্নের দাবি করেন তিনি।

No comments

Powered by Blogger.