যুদ্ধাপরাধী বিচার ॥ শুরুতেই সম্মুখীন হবে by বিকাশ দত্

১৯৭২ সালের দালাল আইনেই সারাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা প্রস্তুত করা হবে। চূড়ান্ত তালিকা প্রসত্মত হলেই শুরু হবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। ১৯৭৩ সালে দালাল আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হলেও '৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরবর্তীতে সরকারগুলো ৰমতায় এসে তাদের ক্ষমা করে দেয়।
বর্তমান মহাজোট সরকারে এসে আবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় কর্তৃক তদন্তকারী সংস্থা নিয়োগ করার পরই যুদ্ধাপরাধীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করা হবে। এ মুহূর্তে দেশে প্রকৃত কত যুদ্ধাপরাধী আছে, সে হিসেব সরকারের জানা নেই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের লৰ্যে ট্রাইবু্যনালের অবকাঠামো চূড়ানত্ম হয়েছে। এখন তদন্ত সংস্থা নিয়োগ করা হবে। তদনত্ম সংস্থাই তদনত্ম করে দেশে কত যুদ্ধাপরাধী আছে, তা চূড়ানত্ম করবে। বিভিন্ন সংগঠন থেকে যুদ্ধাপরাধীদের তালিকার কথা বললেও এই মুহূর্তে কারও কাছে চূড়ানত্ম তালিকা না থাকায় একেক জন একেক ধরনের কথা বলছেন। আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কারও কাছে যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা নেই। যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা তদনত্ম শেষে প্রকাশ করা হবে। তবে এটা নিশ্চিত, শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী যারা রাজনীতিতে সক্রিয় তাদের ট্রাইবু্যনালে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এ নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের মধ্যে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া শুরম্ন হয়ে গেছে। তাদের কথায়, দেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নেই। এ কথা বললেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আইনী সহায়তা প্রদানের জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছে। আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ জানিয়েছেন, তদনত্ম শেষে যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে। তদনত্মের পর জানা যাবে_ কারা যুদ্ধাপরাধী, কাদের বিচার হবে। আইনপ্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরম্নল ইসলাম জানিয়েছেন, শীঘ্রই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরম্ন হবে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে যতই শক্তিশালী হোক না কেন, তাদের বিচার হবেই।
বিভিন্ন সংগঠন দাবি করছে_ দেশে সাড়ে ১১ হাজার প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীসহ তাদের সহযোগী মিলিয়ে মোট ৪০ হাজারের মতো যুদ্ধাপরাধী রয়েছে। এ কথা বললেও এ সমসত্ম যুদ্ধাপরাধীর সুনির্দিষ্ট হিসেব নেই। স্বাধীনতার দীর্ঘ ৩৮ বছর পর এই সমসত্ম যুদ্ধাপরাধীর দালিলিক প্রমাণাদি নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়া অনেক সাৰীর মৃতু্যও ঘটেছে। তবে একটি সূত্র জানায়, সাড়ে ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধীকে বিচারের সম্মুখীন করা না গেলেও '৭১ সালে যারা মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে, এখন রাজনীতিতে সক্রিয় তাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। সেই হিসেব মতে, প্রথমেই ডজন খানেক জামায়াত নেতা বিচারের মুখোমুখি হবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে এক বিএনপির নেতাও রয়েছেন। প্রথম পর্যায়ে যাদের নাম ও বিচারের মুখোমুখি করা হবে তাদের মধ্যে রয়েছেন গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী, মোঃ কামারম্নজ্জামান, দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, আব্দুল কাদের মোলস্না, এএস সোলায়মান, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, মাওলানা আব্দুস সোবহান, মাওলানা একেএম ইউসুফ, এবিএম খালেক মজুমদার, ডা. সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, মীর কাশেম আলীসহ অনেকে।
নিমর্ূল কমিটির দাবি : '৭১-এর ঘাতক দালাল নিমর্ূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির দাবি করছেন, সরকার এবং বেসরকারী সংগঠনসমূহের হাতে সাড়ে ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধীর তালিকা রয়েছে। এ সমসত্ম তালিকা নীরিৰা করে চূড়ানত্ম করা হবে। তারপর তালিকা ধরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে ট্রাইবু্যনাল। ইতোমধ্যে অনেক যুদ্ধাপরাধীর মৃতু্য হয়েছে। আবার অনেক যুদ্ধাপরাধীর নাম-ঠিকানা পর্যনত্ম নেই। সেদিক বিবেচনা করে তিন ক্যাটাগরি করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি জানিয়েছে '৭১-এর ঘাতক দালাল নিমর্ুল কমিটি। প্রথম ক্যাটাগরিতে বিচার হবে, যে সমসত্ম শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী রাজনীতিতে এখনও সক্রিয়। এরপর জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে যে সমসত্ম যুদ্ধাপরাধী রয়েছে। তৃতীয় ক্যাটারিতে যে সমসত্ম যুদ্ধাপরাধীর মৃতু্য হয়েছে তাদের বিচার করা। দেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পর পাকিসত্মানী ১৯৫ যুদ্ধাপরাধীর বিচার।
ইতোমধ্যে সন্দেহভাজন যুদ্ধাপরাধীদের ওপর কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে। এরা যাতে বিদেশে পলিয়ে যেতে না পারে, সে জন্য বিমানবন্দরসহ দেশের সীমানত্মগুলোতে সতর্ক দৃষ্টি রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই নিয়োগ দেয়া হচ্ছে তদনত্ম সংস্থা ও প্রসিকিউটর। এরপর ট্রাইবু্যনাল গঠন করা হবে। তদনত্মকারী সংস্থা নিয়োগের পরপরই যুদ্ধাপরাধীদের চূড়ানত্ম তালিকা প্রকাশ করা হবে। এখন পর্যনত্ম যুদ্ধাপরাধীদের কোন চূড়ানত্ম তালিকা হয়নি। প্রথম ধাপেই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী যারা রাজনীতিতে সক্রিয়-জড়িত তাদের বিচারের সম্মুখীন করা হবে।
পুরাতন হাইকোর্ট ভবনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ট্রাইবু্যনালসহ অন্যান্য অবকাঠামো প্রস্তুত করা হয়েছে। ২৭ ফেব্রম্নয়ারি আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) একে খোন্দকার, পূর্তপ্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব) এবি তাজুল ইসলামসহ অন্য নেতৃবৃন্দ ট্রাইবু্যনালের অবকাঠামো পরিদর্শন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন যারা এ দেশে আনত্মর্জাতিক ট্রাইবু্যনাল আইনে অপরাধ করেছে, তাদেরই এখানে বিচার করা হবে। এ জন্য সরকার ১০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রেখেছে।
কারা যুদ্ধাপরাধী : ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যগণ পাকিসত্মানী সেনাবাহিনীর সহযোগী সদস্য হিসেবে হত্যা, লুটতরাজ, ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল; তারাই যুদ্ধাপরাধী। পাকিসত্মানী সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা নয়, এরা মুক্তিযুদ্ধ নস্যাৎ ও বাঙালীদের ওপর নিপীড়ন করার জন্য রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনী গঠন করেছিল। এদের বিচার করতেই ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ দালাল (বিশেষ ট্রাইবু্যনাল) আদেশ ১৯৭২ জারি করা হয়। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর পর্যনত্ম বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ৩৭ হাজার ৪শ' ৭১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার ছাড়া পায়। গ্রেফতারকারীদের বিরম্নদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের জরম্নরী ভিত্তিতে বিচারের জন্য বঙ্গবন্ধু সরকার ৭৩টি বিশেষ ট্রাইবু্যনাল গঠন করে। ১৯৭৩ সালের অক্টোবর পর্যনত্ম ২ হাজার ৮শ' ৪৮টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। অভিযুক্তদের মধ্যে ৭৫২ জন দোষী প্রমাণিত হয়। ২০৯৬ জন ছাড়া পায়। এর মধ্যে মাত্র ১ জনের মৃতু্যদ- দেয়া হয়েছিল।
কাদের হাতে তালিকা : যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা কাদের কাছে। এ নিয়ে জনগণের মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। প্রকৃতপৰে কারও হাতে সুনির্দিষ্ট তালিকা নেই। সব তালিকাই অসম্পূর্ণ। সরকারের হাতে ১১ হাজারের বেশি তালিকা রয়েছে। এ ছাড়া গণতদনত্ম কমিশন ১৭, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম ৫০, ইসলামী ঐক্যজোট (মিসবাহুর) ৪৫ এবং ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি ১৫৯৭ যুদ্ধাপরাধীর তালিকা তৈরি করেছে। এ তালিকা সম্পূর্ণ নয়। এর বাইরে আরও অনেক যুদ্ধাপরাধী আছে। তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা তৈরি করতে হবে। এ ছাড়া বিদেশী দূতাবাস, যুদ্ধের সময় যে সমসত্ম দেশ আমাদের সাহায্য করেছিল তাদের কাছেও অনেক তথ্য রয়েছে। পাশাপাশি বিদেশী সাংবাদিক ও সেই সময়কার সংগ্রাম পত্রিকায় যে সমসত্ম নিউজ ছাপা হয়েছে তা থেকেও অনেক প্রমাণ নেয়া যাবে। দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে যে সমসত্ম প্রমাণ রয়েছে তা থেকেও যুদ্ধাপরাধীদের নাম পাওয়া যাবে।
যারা ৰমার অযোগ্য : ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর দালাল আইনে আটক যে সব ব্যক্তির বিরম্নদ্ধে যুদ্ধাপরাধের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে সাধারণ ৰমার প্রেসনোটে স্পষ্টভাবে বলা আছে ধর্ষণ, খুন, খুনের চেষ্টা, ঘরবাড়ি অথবা জাহাজ-অগি্নসংযোগের দায়ে দ-িত ও অভিযুক্তদের ৰেত্রে ৰমা প্রদর্শন প্রযোজ্য হবে না। সাধারণ ৰমা ঘোষণার পর দালাল আইনে ১১ হাজারেরও বেশি ব্যক্তি অপরাধের দায়ে কারাগারে আটক ছিল। তাদের বিচার অব্যাহত ছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারের হত্যার পর জিয়াউর রহমান ৰমতায় এসে ১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর দালাল আইন বাতিল করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। দালাল আইন বাতিল প্রত্যৰভাবে জিয়াউর রহমান করেনি। ক্রীড়নক রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে গদিনসীন করে তার স্বাৰরে এই ফরমান জারি করান। মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা নিম্নের ১৮টি অপরাধ করেছে তাদের কোন ৰমা নেই। ধারা-১২১ (বাংলাদেশের বিরম্নদ্ধে যুদ্ধ ও যুদ্ধের প্রচেষ্টা), ১২১ ধারা (বাংলাদেশের বিরম্নদ্ধে যুদ্ধের ষড়যন্ত্র), ১২৪ (ক) রাষ্ট্রদ্রোহিতা, ৩০২ হত্যা, ৩০৪-অপরাধযোগ্য নরহত্যা, ৩৬৩-অপহরণ, ৩৬৪-হত্যার জন্য অপহরণ, ৩৬৫- আটক রাখার জন্য অপহরণ, ৩৬৮-অপহৃত ব্যক্তিকে আটক রাখা, ৩৯৬-ধর্ষণ, ৩৯২-চুরি, ৩৯৪-জখম করে চুরি, ৩৯৬-ডাকাতি, ৩৯৬-খুন করে ডাকাতি, ৩৯৭-গুরম্নতর আহত করার চেষ্টা, ৪৩৫-বিস্ফোরকের সাহায্যে দুষ্কৃতি, ৪৩৬-ঘর নষ্ট করার মতলবে আগুন, ৪৩৮-আগুন বা বিস্ফোরকের সাহায্যে নৌযানে দুষ্কৃতি। পাকিসত্মানী বাহিনীর পৰে রাজাকার, আলবদর, আল শামস, শানত্মি কমিটির সদ্যরা দালাল আইনে পড়ে। এরাই যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হবে।
বিভিন্ন দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার : বিভিন্ন দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। জার্মানির নু্যরেমবার্গ ট্রাইবু্যনাল, টোকিও ট্রাইবু্যনাল, ইয়ামাসিতা ট্রায়াল উলেস্নখযোগ্য। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে নৃশংস হত্যাকা- ও যুদ্ধাপরাধ ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় মাত্র ৫৬ হাজার বর্গমাইলের ভূখ-ে নয় মাসের যুদ্ধে পাকিসত্মানী দোসর ও জামায়াতে ইসলামী, মুসলীম লীগ, নেজামে ইসলামী নেতাকমর্ীরা ৩০লাখ মানুষকে হত্যা করেছে। ২ লাখ নারীকে ধর্ষণ করেছে। হাজার হাজার ঘরবাড়ি আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। প্রায় এক কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় নেয়। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ট্রাইবু্যনালের সামনে হাজির হতে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের এখন ভয় করছে। এখনও তারা বলে বেড়াচ্ছে, '৭১-এ কোন রকম হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন বা কোন যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নাৎসি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত নু্যরেমবার্গ ট্রাইবু্যনাল থেকে আজ পর্যনত্ম যত উদ্যোগ নেয়া হয়েছে_ কোথায় ও কোন যুদ্ধাপরাধী স্বীকার করেনি, সে যুদ্ধাপরাধ করেছে।
একাধিক তালিকায় যাদের নাম : সরকার, '৭১-এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, তদনত্ম কমিটিসহ বেশ কিছু সংগঠনের তালিকায় কিছু কমন নাম আছে। এর মধ্যে যাদের নাম রয়েছে তারা হলো আব্বাস আলী খান, গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী, মোহাম্মদ কামারম্নজ্জামান, আব্দুল আলিম, দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী, মাওলানা আব্দুল মান্নান, আনোয়ার জাহিদ, আবদুল কাদের মোলস্না, এএসএম সোলায়মান, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, মাওলানা আবদুস সোবহান, মাওলানা একেএম ইউসুফ, মোঃ আয়েন উদ্দিন, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, এবিএম খালেক মজুমদার, ড. সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন। অন্যদিকে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম ৫০ যু্দ্ধাপরাধীর তািলকা প্রকাশ করেছে। বুদ্ধিজীবী হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী চৌধুরী মইনুদ্দিন বর্তমানে লন্ডনে, আশরাফুজ্জামান নিউইয়র্কে আছে। এরা দু'জন মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। রাজা ত্রিদিব রায় পাকিসত্মানে মারা গেছে। মাহমুদ আলীও পাকিসত্মানে মারা গেছে। হামিদুল হক চৌধুরী মানবতাবিরোধী কাজ করেছে। এরাও যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত।

No comments

Powered by Blogger.