রুনা লায়লার পোশাকে ফ্যাশন শো, প্রতিবাদী অনুষ্ঠান উদীচীর- সংস্কৃতি সংবাদ

শুধু সঙ্গীত নয়, নিজের পোশাকটি কেমন হবে সে ব্যাপারে সব সময়ই সতর্ক রুনা লায়লা। প্রিয় পোশাকটি সংগ্রহ করার পাশাপাশি প্রখ্যাত এ গায়িকা নিজে ধারণা দিয়ে অনেক পোশাক তৈরি করান।
নিজের হাতের ছোঁয়াও থাকে বহু পোশাকে। কিন্তু এ খবর বাইরের মানুষের কাছে ছিল একদমই অজানা। কন্যার আগ্রহে কিছুদিন আগে নিজের পোশাকের একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করলে ব্যাপারটি ভক্তদের জানার সুযোগ হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রুনার পোশাক নিয়ে এক ফ্যাশন শোর আয়োজন করা হয়। গুলশানের হুসনা সেন্টারে বিকেলে এর আয়োজন করে এটসেট্রা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে রম্ননা লায়লা নিজেও এ ফ্যাশন শো উপভোগ করেন। এ সময় শিল্পী জানান, নিজের মেয়ের আগ্রহেই এ ফ্যাশন শোর আয়োজন করা হয়েছে। ফ্যাশন শোতে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া, কোর্তা ইত্যাদি পরে ক্যাটওয়াকে অংশ নেন বেশ কয়েকজন মডেল। শিফন, ক্রেপ, জর্জেট, সিল্ক কাপড়ে হাতের কাজ ছাড়াও ছিল পাথরের ব্যবহার। ঐতিহ্যবাহী কাজ আর নকশার সঙ্গে আধুনিক ডিজাইনের এমন সমন্বয় দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন উপস্থিত অনেকেই। রম্ননা লায়লার ডিজাইনকৃত পোশাকগুলো ওয়ানস্টপ শপিংমল ইটিসিতে পাওয়া যাবে।
উদীচীর প্রতিবাদী অনুষ্ঠান ॥ শনিবার যশোর হত্যা দিবস পালন করেছে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। এ উপলৰে বিকেলে সংগঠন চত্বরে এক আলোচনাসভা ও প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গোষ্ঠীর সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ ইদুর সভাপতিত্বে এতে আলোচনা করেন সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল আলম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, গ্রম্নপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল লিয়াকত আলী লাকী, বিশ্বজিৎ রায়, লেনিন চৌধুরী, নিরঞ্জন অধিকারী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ১৯৯৯ সালে যশোরে অনুষ্ঠিত উদীচীর দ্বাদশ সম্মেলনে মৌলবাদী অপশক্তির হামলায় নিহতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়।
চট্টগ্রামের মানুষের মিলনমেলা ॥ চট্টগ্রাম সমিতির উদ্যোগে শনিবার এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মেজবানের আয়োজন করা হয়। ধানম-ির সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপেস্নক্সে সকালে আয়োজিত মিলনমেলায় সমবেত হয়েছিলেন ঢাকায় অবস্থানরত চট্টলাবাসী। আয়োজক সমিতির সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশ নেন সুপ্রীমকোর্টের প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরম্নল ইসলাম। এদিন আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও বেশ কয়েকজন গুণীজনকে পদক প্রদান করা হয়। 'বিজয়ের গল্প বলি'র মোড়ক উন্মোচন ॥ মুক্তিযুদ্ধের বাসত্মব গল্প নিয়ে প্রকাশিত বই 'বিজয়ের গল্প বলি'র আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করা হলো শনিবার। এ উপলৰে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম। মুক্তিযুদ্ধের উপপ্রধান সেনাপতি পরিকল্পনামন্ত্রী একে খন্দকার, সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক, অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদসহ আয়োজক প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বইটি গ্রামীণফোনের বিভিন্ন আউটলেটে পাওয়া যাবে।
সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার প্রদান ॥ সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার ২০১০ শনিবার প্রদান করা হয়েছে। এ উপলৰে দুপুরে চ্যানেল আই ভবনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, কবি আসাদ চৌধুরী, সিটি ব্যাংক এনএ'র নির্বাহী প্রধান মামুন রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ বছর উপন্যাসে কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন, প্রবন্ধে মফিদুল হক, কবিতায় কামাল চৌধুরী, শিশু সাহিত্যে কাইজার চৌধুরী ও ছোটগল্পে নাসরীন জাহান পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। 'জীবনের প্রথম বই' বিভাগে পুরস্কার পান তনুজা ভট্টাচার্য, রিফাত কামাল সাইফ, গাজী তানিয়া ও মাহবুব আজাদ।

No comments

Powered by Blogger.