শিল্পী হুসেনের নাগরিকত্ব ॥ ধর্ম এবং গণতন্ত্রের বাসরের ছিদ্র- স্বদেশ রায়

শিল্পী মকবুল ফিদা হুসেনকে শেষ পর্যন্ত কাতারের নাগরিকত্ব নিতে হলো। তিনি ভারতের পাসপোর্ট জমা দেবার সঙ্গে সঙ্গে বিজয়ী হলো ভারতের একদল গৈরিক বসনের জলস্নাদ।
যুগে যুগে এমনি জলস্নাদরা মাঝে মাঝেই জয়ী হয়। ভারতের বিজেপির এই বর্বর জলস্নাদগুলো সেখানে বাবরী মসজিদের নামে একটি পুরাকীতি ভেঙ্গে যত না ৰতি করেছিল তার থেকে মানব সভ্যতার আরও বেশি ৰতি করল একজন শিল্পীকে মাতৃভূমির নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে বাধ্য করে। পৃথিবীর দীর্ঘ সভ্যতার ইতিহাসে একজন মকবুল ফিদা হুসেন যে কতবড় সে কথা ওই বর্বররা কখনও বোঝে না। শুধু এখানেই শেষ নয়, তথাকথিত গৈরিক ওই বর্বররা তাঁকে নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে, দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করেছে শুধু তিনি একজন শিল্পী এই অপরাধে নয়, ভারতে তিনি একজন সংখ্যালঘু সে অপরাধেও। তার জন্ম মুসলমান ধর্মীয় এক পিতা-মাতার কোলে এটাই তার মূল অপরাধ। নইলে মকবুল ফিদা হুসেনের বিরুদ্ধে ওই বর্বররা যে অভিযোগ করেছে সে কাজ তো তারা নিজেরাও করে। তাদের দেব দেবীর তালিকার ভিতর তো কালী দেবীরও অবস্থান আছে। তাকে কি তারা কাপড় পরায়? তারা নিজেরা যখন অনেক দেব দেবীকে কাপড় পরায় না, সেখানে হুসেনের তুলিতে দেবী সরস্বতী কী রূপ নিলো এ নিয়ে তাদের মাথায় কেন এ ব্যথা শুরু হলো? তা ছাড়া যত বড় ভক্ত হোন না কেন, কেউ কি কখনো বলতে পারে সে কোন দেব দেবীকে কখনো দেখেছেন? দেব দেবীর মূর্তিগুলো এমননি শিল্পীর হাত দিয়েই এসেছে কেউ পাথর খুঁদে তৈরি করেছে, কেউবা মাটি দিয়ে তৈরি করেছে, এখন কেউ তুলিতে তৈরি করছেন। যাবতীয় দেব দেবী না হোক অনত্মত তাদের মূর্তিগুলো যে শিল্পীর কল্পনার ফসল তাতে কোন সন্দেহ নেই। তাই একজন শিল্পী হুসেনের তুলিতে বিদ্যার দেবী সরস্বতীর একটি আলাদা রূপ হতে পারে। বিদ্যা কে এখান থেকে পাঁচ হাজার বছর আগের একজন শিল্পী যেভাবে কল্পনা করেছিল আজকের যুগের শিল্পী হুসেন সেটাকে ভিন্নভাবে কল্পনা করতে পারেন। শিল্পীর এই স্বাধীনতায় বাধা দেবার অধিকার কারও থাকতে পারে না। তা ছাড়া বিদ্যা শব্দের একটি অর্থ সুন্দর। সে অর্থে সরস্বতীরও এক নাম সুন্দর। আবার বিদ্যা বীরত্বও। বিদ্যা সৃষ্টিও। তাই শিল্পীর তুলিতে এই সৌন্দর্য ও বীরত্বকে অন্য প্রতীকে আসতে পারে।
শিল্পী হুসেনের আঁকা '৭১ সালের একটি ছবি হয়ত বাংলাদেশে অনেকের সংগ্রহে আছে। ছবিটি বাংলাদেশের অধিকসংখ্যক মানুষের কাছে পরিচিতও। তা ছাড়া প্রীতিশ নন্দী সম্পাদিত বিখ্যাত ইলাসট্রেটেড উইকলিতে ছাপাও হয়েছিল। বাংলাদেশের জন্ম ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আঁকা এ ছবি। সেখানেও ইন্দিরা গান্ধীকে অনেকটা দুর্গার আদলে, অনেকটা মেঘবাহনে কোন দেবীর আদলে অঁকা হয়েছে। তার আঁচল ওড়ানো। শরীরেও খুব কাপড় নেই। বীরত্ব প্রকাশের জন্য, শরীরের অঙ্গ ও আঁচল সবই তিনি ব্যবহার করেছেন। বর্বর চোখে দেখলে সেখানে ইন্দিরা গান্ধীর ছবির ভিতর নগ্নতা দেখতে পারে তারা। কিন্তু একটি দেশের জন্ম, যুদ্ধ সৃষ্টি এবং বীরত্ব ও ত্যাগ মিলিয়ে যদি দেখা হয় তাহলে সেটা ভিন্ন ছবি। অনবদ্য এক সৃষ্টি। এখন প্রশ্ন হলো কোন শিল্পকর্ম মানুষ শিৰা এবং বোধ দিয়ে দেখবে, না বর্বরতা ও মূর্খতা দিয়ে দেখবে? যেমন বর্বরতা, আদিমতা ও মূর্খতা দিয়ে দেখলে শিল্পী হুসেন পরিচালিত চলচ্চিত্র গজগামিনী অশ্লীলতার পর্যায়ে পড়ে। সেখানে মাধুরী দীৰিতের অঙ্গ সৌষ্ঠবের ললিত ভঙ্গিমাকে ক্যামেরার মাধ্যমে যে নান্দনিক শিল্পে পরিণত করা হয়েছে তা আদিম চোখে কামনার বিষয় হয়ে উঠতে পারে। এই আদিম বর্বরতা থেকে মুক্ত করতেই তো যুগে যুগে শিল্পী হুসেনরা জন্মগ্রহণ করেন। তাঁরা অসুরের পৃথিবীকে মানুষের বাসযোগ্য করে তোলেন। কিন্তু ওই রবীন্দ্রনাথের উক্তি থেকে নিয়েই বলতে হয়, শিকলে বাধা দানব মাঝে মাঝেই ল-ভ- করে পৃথিবী। ভারতের বিজেপির বর্বরগুলো বাস্তবে ওই শিকলে বাধা দানব। এরা শিল্পী হুসেনদের পথে এমনি করেই গদা হাতে মুষলহাতে দাঁড়িয়ে গেছে। আর তাদের কারণে যেমন করে দানবের ভয়ে দেবতারা অরণ্য ছেড়ে পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছিল তেমনি করে শিল্পী মকবুল ফিদা হুসেনকে ভারত ছেড়ে কাতারের নাগরিকত্ব নিতে হয়েছেন।
কাতারের মানুষ নিঃসন্দেহে শিল্পী মকবুল ফিদা হুসেনকে পেয়ে গর্বিত হয়েছে। কারণ, শিল্পী মকবুল ফিদা হুসেন তাদেরও। শিল্পী বলতেই সব দেশের, সব মানুষের। কাতারের মানুষ নিঃসন্দেহে ভালবাসবে হুসেনকে। বাংলাদেশের মানুষও তাঁকে ভালবাসে। ভালবাসে ব্রিটেনের মানুষও। সে ভালবাসার প্রকাশও বোঝা যায়। যেমন শিল্পী হুসেন যেদিন কাতারের নাগরিকত্ব নিতে রাজি হন সেদিন বিবিসির ওয়েবসাইটের নিউজটি পড়লে বোঝা যায়, যে রিপোর্টার এই রিপোর্ট করেছেন তার ভিতর হুসেনের প্রতি আছে ভালবাসা, আছে আত্মার টান। অন্যদিকে আছে শিল্পী হুসেনের বেদনা। যে বেদনা স্পষ্ট করে একজন শিল্পী সব মানুষের হলেও তার মাতৃভূমি তার বুকের ভিতর লুকিয়ে থাকে। মাতৃভূমির গন্ধ সে কখনও ভুলতে পারে না। এমনকি রবীন্দ্রনাথও পারেননি মাতৃভূমি থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করতে। যখন তিনি বিশ্ব নাগরিকে পরিণত হয়েছেন, নিজেকে নিয়ে গেছেন সারা বিশ্বের কাছে। পৃথিবীর সব দেশের মানুষ আসতে শুরম্ন করেছে তার কাছে_ এ অবস্থানে পৌঁছেও রবীন্দ্রনাথ শুধু ভারতবর্ষ নয়, তার বাংলাকেও রেখেছেন অতি সযতনে বুকের কাছে। তাই দেখা যায়, ইউরোপে বসেও তিনি গন্ধ পাচ্ছেন বাংলাদেশের জুঁই ফুলের। তার ভাইপোকে চিঠি লিখছেন কবিতার ভাষায়। সেখানে তিনি লিখছেন, 'তখনও এই বনের কোণে ফুটবে লাজুক জুঁই।' চেরী বা ড্যাফোডিলের কথা তার মনে পড়েনি। হুসেনের তেমনি আবার কোন নতুন গজগামিনী তৈরি করতে গিয়ে মাধুরী দীৰিতের অঙ্গ সৌষ্ঠবই মনে পড়বে। কাতারের সব থেকে সুন্দরী তরুণীকে দেখে হয়ত তার মনে হতে পারে, একি মঞ্জরীবিহীন মরম্নভূমির লতা! আর তা মনে হতেই থেমে যেতে পারে তার নতুন গজগামিনী। তাই মাতৃভূমি ছেড়ে একজন হুসেন বেঁচে থাকতে পারেন, কিন্তু মৃতু্য হতে পারে একজন শিল্পী হুসেনের। তার তুলিতে হয়ত কাতারের নারী বাঙ্ময় নাও হতে পারে। না হতে পারে তার ক্যামেরায় কোন নতুন গজগামিনী।
মাতৃভূমিহীন হয়ে কেবল একটি দেশের নাগরিক হিসেবে তাই শিল্পী হুসেন মারা যেতেও পারেন। এই মৃতু্যর দিকে তাকে ঠেলে দিয়েছে মধ্যযুগীয় চিনত্মা-চেতনায় অন্ধ বর্বর কিছু ভারতীয় নাগরিক। এরা ধর্মের নামে এমনি মানুষের ধর্মকে হত্যা করছে। তারা এখনও এই একবিংশ শতাব্দীতে মানুষকে পরিচিত করতে চায়, বিচার করতে চায়, হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ খ্রীস্টান হিসেবে। তাদের চিন্তায় এখনও পৌঁছায়নি মানুষের পরিচিতির ধর্ম বদলে গেছে। একবিংশ শতাব্দীর মানুষ পরিচিত হবে, একজন বিজ্ঞানী হিসেবে, একজন শিল্পী হিসেবে, একজন অর্থবিদ হিসেবে, একজন অঙ্কশাস্ত্র বিশারদ হিসেবে, একজন ব্যবসায়ী হিসেবে এমনি যোগ্যতার ভিত্তিতে নানানভাবে মানুষ পরিচিত হবে। মানুষের কাজই তার পরিচিতি। সেখানে কোন ধর্ম, বর্ণ, গোত্র জাতীয়তা নামে তাকে কোন ক্ষুদ্র গ-তে বাঁধতে পারে না। এই ক্ষর্তা বর্বরতা ছাড়া কিছু নয়। এ বর্বরতা যে কোন্ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায় তার একটি বড় উদাহরণ শিল্পী হুসেনের এই মাতৃভূমি ত্যাগ করতে বাধ্য হওয়া। শিল্পী হুসেনকে যারা মাতৃভূমি ত্যাগ করতে বাধ্য করেছে তারা কিন্তু তাঁকে শিল্পী হিসেবে মাতৃভূমি ত্যাগ করতে বাধ্য করেনি। তাদের মূল আক্রোশ ভারতের একজন ধর্মীয় সংখ্যালঘু নাগরিক হুসেনের প্রতি। তারা তাঁকে মুসলমান হিসেবে দেখেছে তাদের মধ্যযুগীয় চোখ দিয়ে। আধুনিক যুগের চোখ দিয়ে একজন নাগরিক হিসেবে, একজন শিল্পী হিসেবে তাঁকে দেখতে পারেনি।
তবে শুধু হুসেন নয়, গোটা আধুনিক পৃথিবীর জন্য এবং গণতান্ত্রিক শক্তির জন্য দুর্ভাগ্য হলো, হুসেন গত যে চার বছর ধরে নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন, এই চার বছরই ভারতে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তি ৰমতায়। এবং যে সময়ে হুসেন কাতারের নাগরিকত্ব নিলেন, সে সময়েও ভারতে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তি ৰমতায়। কিন্তু সেই গণতান্ত্রিক শক্তি ওই বর্বরদের রম্নখে দিয়ে রৰা করতে পারল না হুসেনের নিজ দেশের নাগরিকত্ব। তারা নিশ্চয়তা দিতে পারল না তাঁর মাতৃভূমিতে বাস করার অধিকার। এখানে বাস্তব সত্য হলো, ভারতে যারা ৰমতায় আছে, যাদেরকে প্রগতিশীল বলা হচ্ছে তারা হয়ত বিজেপির মতো বর্বর নয়। তারা হুসেনকে শিল্পী হিসেবে দেখে। তারা তাঁর শিল্পকর্মে বাধা দেবে না। তার পরেও সত্য হলো, তারা এখনও মানুষকে আধুনিক চোখ দিয়ে দেখতে পারে না। তাদের কাছে মানুষের মূল পরিচয় তার যোগ্যতা ও পেশা নয়, তাদের কাছে এখনও মানুষের পরিচয় ধর্ম দিয়ে। এখন তারা মানুষকে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রীস্টানে ভাগ করতে চায়। যারা মানুষের বিভেদকে ধর্ম দিয়ে দেখে, যারা নিজের বিভেদকেও ধর্ম দিয়ে করে, তারা কোনদিন সত্য অর্থে মানুষের সত্যিকার সপৰ হয় না। তারা কখনই দায় নিতে পারে না একজন শিল্পী হুসেনের। তা ছাড়া তারা আদর্শের বদলে ৰমতাকেন্দ্রিক রাজনীতি পছন্দ করে বেশি। সেখানে ভারতের মতো পশ্চাৎপদ দেশে এই ধর্ম, এই ধর্মীয় সামপ্রদায়িকতা অনেক বেশি ভোটের রাজনীতিতে কাজে লাগে। যখন প্রতিপৰ বেশি বেশি ধর্মের নামে রাজনীতি করে, ধর্মের নামে উগ্রতা ছড়ায় তখন এই সব ৰমতাকেন্দ্রিক বা আরও একটু রূঢ় ভাষায় বলা যায় ৰমতালোভী তথাকথিত গণতান্ত্রিক নেতারা ধর্মের এই উগ্রতার বিরম্নদ্ধে কখনই শক্ত অবস্থান নেয় না। বরং তারা কৌশলী হয়। এমনকি তাদের আচরণেও তারা ধর্মকে নিয়ে আসে ভোট পাবার কৌশল হিসেবে। কখনই এই কৌশল ফেলে দিয়ে তারা একজন শিল্পী হুসেনকে রৰায় নামে না। আর বিশেষ ওই শিল্পী যদি সংখ্যালঘু হয়, তাহলে তাঁর পৰে তারা দাঁড়ায় না সংখ্যা গরিষ্ঠের ভোট হারানোর জন্য। এটা যে শুধু ভারতে ঘটছে বা ঘটবে তা নয়, এ আরো অনেক দেশে ঘটতে পারে। দেশে দেশে গণতন্ত্র এবং ধর্ম যেভাবে সহবাস করতে শুরু করছে, রাষ্ট্রের নিরপেৰ চরিত্রে নানানভাবে ধর্ম ঢুকে পড়ছে, তাতে এ যাত্রা না থামাতে পারলে শিল্পী হুসেনরা দেশে দেশেই আঘাতপ্রাপ্ত হবেন। রাজনীতিতে ধর্ম ঢুকে পড়লে তার পরিণাম এখানেই যাবে। রাজনীতিতে ধর্ম ঢুকিয়ে কখনই আধুনিক রাজনীতি করা যায় না। রাষ্ট্র ও রাজনীতিকে চার্চ মুক্ত এ কারণেই করার চেষ্টা হয়েছিলো। কিন্তু সফল হয়নি আজও। চেতনাকে সেখানে নিয়ে যেতে পারেনি। চেতনাকে সেখানে নিয়ে যাবার আগে শিল্পী হুসেনরা নিরাপদ নন।
তাই এ সময়ের গণতান্ত্রিক পৃথিবীর জন্য সব থেকে বড় প্রয়োজন বেহুলার বাসরের ওই ছিদ্রটি কোথায় সেটা আগে আবিষ্কার করা। কোন ছিদ্রপথে আধুনিক রাষ্ট্র চেতনায় নানা ভাবে ধর্ম ঢুকে পড়ছে। কেন দেশে দেশে আধুনিক শিৰা ব্যবস্থা আপোস করছে ধর্মের সঙ্গে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী থেকে শুরম্ন করে সত্যিকার আদর্শবান রাজনৈতিক নেতারা যদি এই ছিদ্র চিহ্নিত করতে না পারেন তাহলে যে আধুনিক গণতন্ত্র পৃথিবীর কিছু মানুষ আশা করছে সেটা শুধু ওই কিছু মানুষের চিনত্মার ভিতরে থেকে যাবে। বাস্তবে রূপ নেবে না। এ কারণে প্রতিটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ সকলের এখন দায়িত্ব পালনের সময়।
ভারতের মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশ থেকে হিন্দু মৌলবাদীদের বর্বরতার কারণে শিল্পী হুসেনের কাতারের নাগরিকত্ব নেয়া ভারতের কপালে অনেক বড় কালো তিলক। তাদের নেতারা এখন নিজেদের উজ্জ্বল করতে কপালে যে লাল সিঁদুর পরেন সেটা সম্পূর্ণ ঢেকে গেছে এই কালিতে। যে ধর্মকে প্রকাশ করতে তারা ওই উজ্জ্বল লাল রঙ কপালে ধারণ করেন সেই লাল রঙ কালো হয়ে গেছে। হুসেনকে বিতাড়নের ভিতর দিয়ে এখন সেখানে কালো ছাপ। পাশাপাশি এটাও ভেবে দেখা দরকার বিশ্ব গণতন্ত্রের জন্য এটা কত বড় হুমকি। কারণ একদিকে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বুশ ইরাক আক্রমণ করতে গিয়ে বলছেন, এটা ক্রুসেড। আবার গণতন্ত্রের পিতৃভূমিতে কনজারভেটিভ পার্টির এক তরম্নণ নেতা স্কুলে ধর্মীয় শিৰার পৰে। ভারতের মতো বড় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র থেকে নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন হুসেনের মাপের শিল্পী। এর পরে কি বলা যাবে পৃথিবীতে গণতন্ত্র সঠিক পথে এগুচ্ছে?
ংধিফংযৎড়ু@মসধরষ.পড়স

No comments

Powered by Blogger.