যৌথ ঘোষণা কার্যকর হলে চোরাচালান বন্ধ হয়ে যাবে- অভিমত বিশেষজ্ঞদের by রাজু আহমেদ

 বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ ইশতেহার দু'দেশের মধ্যে অমীমাংসিত বিষয়গুলো সমাধানে দিকনির্দেশনার দলিল হিসেবে অবিহিত করেছেন আনত্মর্জাতিক বিশেস্নষক, অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা।
তাঁরা মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে গৃহীত এই ইশতেহার অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সীমানত্ম সমস্যা নিরসন করে দৰিণ এশিয়ায় শানত্মি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে। সঙ্কীর্ণ মানসিকতা পরিহার করে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের ধারায় ইতিবাচক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে ইশতেহারের সিদ্ধানত্মগুলো বাসত্মবায়নের মধ্যদিয়েই দু'দেশের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক জোরদার করা সম্ভব। এর মধ্যদিয়ে দৰিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতার সংস্কৃতি জোরদার হবে। তেমনি নিকটতম প্রতিবেশীর সঙ্গে কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আনত্মর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদের মতে, যৌথ ইশতেহারে দু'দেশের স্বার্থসংশিস্নষ্ট অনেক বিষয় স্বীকৃত হয়েছে। এখন প্রয়োজন প্রতিটি বিষয়ে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা ও গবেষণার মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট চুক্তির দিকে অগ্রসর হওয়া। এৰেত্রে দরকষাকষির সময় বাংলাদেশকে তার স্বার্থ রৰায় সচেষ্ট থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চার দিনের ভারত সফরের মধ্যদিয়ে দু'দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত সব ইসু্যতেই অগ্রগতি হয়েছে। গত সোমবার দিলস্নীর হায়দারাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দু'দেশের রাজননৈতিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, ভৌগোলিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং নিরাপত্তার ৰেত্রে বিদ্যমান সব সমস্যাই আলোচনায় এসেছে। ওই বৈঠকের আলোচনা ও সিদ্ধানত্মের আলোকেই মঙ্গলবার ৫০ দফা যৌথ ইশতেহার প্রকাশ করা হয়। ইশতেহারে উলেস্নখ করা হয়েছে, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে বাংলাদেশ ও ভারত একে অপরের সমুদ্র, রেল ও নৌপথ ব্যবহার করবে। নেপাল ও ভুটানে ট্রানজিটের জন্য ভারত বাংলাদেশকে তার ভূখ- ব্যবহার করতে দেবে। অন্যদিকে ভারতের পণ্য ওঠানামার জন্য বাংলাদেশ চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে দেবে। বাংলাদেশের রেল, সড়ক ও নৌপথ উন্নয়নের জন্য ভারত ১০০ কোটি ডলার ঋণ দেবে।
ইশতেহারে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য ৰতিকর কিছু করবে না ভারত। তিসত্মার পানি বণ্টন চুক্তির প্রক্রিয়া অগ্রসর করতে আগামী মার্চে বৈঠকে বসবেন দু'দেশের পানিসম্পদমন্ত্রীরা। যৌথ ইশতেহারে সন্ত্রাসবাদ দমন, ট্রানজিট, সীমানত্ম বিরোধ নিরসন, পানি বণ্টন, বাণিজ্য বৈষম্য হ্রাস ও বিদু্যত খাতে সহায়তার ৰেত্রে কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশর বিদু্যত সমস্যা সমাধানে ২৫০ মেগাওয়াট বিদু্যত দেবে ভারত। বাণিজ্য ঘাটতি নিরসনে বাংলাদেশের বেশকিছু পণ্যকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সাফটার আওতায় শুল্কমুক্ত সুবিধা সম্প্রসারণ করা হবে।
বিশেস্নষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কিত ও অমীমাংসিত সব বিষয়ই আলোচনায় এসেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের জন্য গুরম্নত্বপূর্ণ এমন কিছু বিষয়ও রয়েছে_ যা এর আগের কোন শীর্ষ বৈঠকে উত্থাপিতই হয়নি। সবচেয়ে বড় কথা হলো দু'দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে আলোচনায় আসা বিষয়গুলো ইশতেহারের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট স্বীকৃতি পেয়েছে। এই দলিলের নির্দেশনা অনুযায়ী আলোচনার ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে বাংলাদেশের জন্য গুরম্নত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর স্থায়ী সমাধান সম্ভব।
দ্বিপাৰিক সম্পর্কের ৰেত্রে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরম্নত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভারতের সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতি নিরসন, অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা, ভারতের ভূখ- ব্যবহার করে ততৃীয় দেশে পণ্য রফতানি সুবিধা এবং এর আগে সম্পাদিত বাণিজ্য ও সীমানত্ম সম্পর্কিত চুক্তিগুলোর বাসত্মবায়ন। প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে এসবের কম বেশি অগ্রগতি হয়েছে।
এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান জনকণ্ঠকে বলেন, পানি বণ্টন নিয়ে ইশতেহারে যে প্রতিশ্রম্নতি দেয়া হয়েছে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সে বিষয়ে দ্রম্নত সুনির্দিষ্ট চুক্তি করতে পারলে বাংলাদেশ লাভবান হবে। পাশাপাশি অতীতে যেসব বিষয়ে চুক্তি হয়েছে তার অধিকাংশই বাসত্মবায়িত হয়নি। বিশেষ করে ছিটমহল সমস্যার সমাধান এবং বাংলাদেশের পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদানের ৰেত্রে আগে স্বাৰরিত চুক্তি ও প্রতিশ্রম্নতি বাসত্মবায়িত হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর সফরের ফলোআপ হিসেবে বাংলাদেশকে এসব বিষয়ে গুরম্নত্ব দিতে হবে।
এদিকে নেপাল ও ভুটানে পণ্য পরিবহনের জন্য ভারতের ভূখ- ব্যবহারের সুযোগকে বাংলাদেশের গুরম্নত্বপূর্ণ প্রাপ্তি বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। এর ফলে ওই দু'টি দেশ তাদের আনত্মর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য সহজেই বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে পারবে। পাশাপাশি ভারতের দেয়া ট্রানজিট সুবিধা কাজে লাগিয়ে নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ সম্ভব হতে পারে। একইভাবে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ৭টি রাজ্যে পণ্য পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের সুযোগ পাবে। এর ফলে বাংলাদেশের দু'টি সমুদ্রবন্দরের আয় ব্যাপক হারে বাড়বে। পাশাপাশি আনত্মর্জাতিকভাবেও বন্দর দু'টি গুরম্নত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আনত্মর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ভারত, নেপাল ও ভুটানকে মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের সুযোগ দেয়া হলে দু'টি বন্দরে বাণিজ্যিক কর্মকা- ব্যাপক মাত্রায় বাড়বে। এর ফলে চট্টগ্রাম ও খুলনা শহরের উন্নয়নের সুযোগ তৈরি হবে। কারণ ব্যাপক মাত্রায় বিদেশী পণ্য চলাচল হলে শহর দু'টির অবকাঠামো ও বাণিজ্যিক কর্মকা-ে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এর ফলে শিৰা ও স্বাস্থ্য সেবার ৰেত্রেও অগ্রগতি হবে। এর ফলে ঢাকাকেন্দ্রিক উন্নয়ন সংস্কৃতি পরিবর্তিত হয়ে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও উন্নযনের ছোঁয়া লাগবে।
তিনি বলেন, ভারতে পণ্য চলাচলের জন্য বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হলে শুধু ভারতীয় কোম্পানিগুলোই তা কাজে লাগাবে না, এর সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আমদানিকারক ও রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোও যুক্ত হবে। কারণ ভারত একটি বিশাল বাজার। বহুজাতিক কোম্পানিগুলো ওই বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করছে। ভারতের সাত রাজ্যে পণ্য পরিবহনের জন্য ওই সব প্রতিষ্ঠানও বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহারে এগিয়ে আসবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি ড. মঈনুল ইসলাম বলেন, নেপাল ও ভুটানের পাশাপাশি ভারত চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করলে বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে লাভবান হবে। এই সুযোগ ব্যবহার করে ভারতের 'সেভেন সিস্টারস'র (উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয়) জন্য বাংলাদেশের পণ্যের দ্বার খুলে যেতে পারে। পরবর্তী আলোচনায় বাংলাদেশের পৰ থেকে এ বিষয়টিকেই প্রাধান্য দিতে হবে।
তবে এ বিষয়ে ড. আকবর আলি খান বলেন, পণ্য পরিবহনের ৰেত্রে বাংলাদেশের সড়কপথ ব্যবহারের সুযোগ পেলে ভারত চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করবে না। সেৰেত্রে ভারত তাদের বন্দর ব্যবহার করবে। আবার চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করলেও সড়কপথে নিজস্ব ট্রাক ব্যবহার করলে বাংলাদেশ শুধু জাহাজ ভেড়ার ভাড়াটুকু পাবে। তিনি মনে করেন, এসব বিষয়ে নীতিমালা তৈরির সময় বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ আর্থিক লাভের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
বাংলাদেশের সড়ক, রেল ও নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ১০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ভারত। দেশটির ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় বৈদেশিক সাহায্য। এর জন্য বাংলাদেশকে ১.৯ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করতে হবে। বিশ্বব্যাংক বা অন্য কোন বহুজাতিক সংস্থার কাছ থেকে এ ধরনের ঋণ পেতে হলে কমপৰে ৫ শতাংশ সুদ দিতে হয়। ফলে ভারতের কাছ থেকে স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন বাংলাদেশের জন্য বেশি লাভজনক। যৌথ বিনিয়োগ বা অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে দু'দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের প্রয়াস জোরদার হলে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের জন্যও বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
একইভাবে ভারতে শুল্কমুক্ত পণ্য রফতানি সুবিধা সম্প্রসারিত হলে বাংলাদেশের ব্যবসাবাণিজ্য গতিশীল হবে। যৌথ ইশতেহারে ভারতের পৰ থেকে বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতা বাড়ানোর নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। একইভাবে পণ্য রফতানিতে বিদ্যমান শুল্ক বহিভর্ূত বাধা দূর করারও সুস্পষ্ট ঘোষণা রয়েছে। ফলপ্রসূ সময়সীমা নির্দিষ্ট করে শুল্কমুক্ত সুবিধা কার্যকরের পাশাপাশি শুল্ক বহির্ভূত বাধাগুলো দূর করতে ধারাবাহিক আলোচনার জন্য বাংলাদেশকেই উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন বলে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা মনে করেন।
সন্ত্রাস দমন ও অপরাধী বিনিময় সংক্রানত্ম চুক্তিকে পুরো দৰিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য গুরম্নত্বপূর্ণ মনে করছেন বিশেস্নষকরা। এ বিষয়ে ড. আকবর আলি খান বলেন, অনেক আগেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এধরনের চুক্তি হওয়া উচিত ছিল। কারণ আমরা এ অঞ্চলে শানত্মি চাই। কোন অস্থিরতা চাই না। ফলে দু'দেশের শানত্মিকামী মানুষ সন্ত্রাস দমনের এই উদ্যোগকে অবশ্যই অভিনন্দন জানাবে।
প্রধানমন্ত্রীর মনমোহন সিংসহ ভারতের রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য এবং যৌথ ইশতেহারে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতের দীর্ঘদিনের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন স্পষ্ট হয়েছে বলে বিশেস্নষকরা মনে করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকালে ভারতের দিক থেকে 'বড়ভাইসুলভ' কোন মনোভাব লৰ্য করা যায়নি। বরং ভ্রাতৃত্বপূর্ণ প্রতিবেশীসুলভ মনোভাবে পারস্পরিক স্বার্থ রৰার বিষয়টিই প্রধান হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে দিয়ে দু'দেশ মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা 'ছাড় না দেয়ার' মানসিকতা দূর হবে বলে আনত্মর্জাতিক বিশেস্নষকরা মনে করেন।
ড. ইমতিয়াজ আহমদের মতে, যৌথ ইশতেহারের সবচেয়ে গুরম্নত্বপূর্ণ দিক হলো_ ভারতের 'মাইন্ডসেট' পরিবর্তন। একে অপরের প্রতি আস্থা সৃষ্টির জন্য এ বিষয়টি অত্যনত্ম জরম্নরী। বাংলাদেশী ছাত্রদের স্কলারশিপ প্রদানের ঘোষণা, সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তিসহ অনেক বিষয়ই এসব ৰেত্রে গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরের মধ্যদিয়ে ইতিবাচক অনেক কিছুই অর্জিত হয়েছে। এগুলো কত দ্রম্নত বাসত্মবায়ন করা যায়_ তার ওপরই ফলাফল নির্ভর করছে। সঠিক সময়ে প্রতিটি বিষয়ে ফলোআপ করে প্রয়োজনীয় চুক্তি করতে হবে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ইতিবাচক উদ্যোগগুলো যেন আমলাতন্ত্রে বন্দী না হয়ে পড়ে সে দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সফরের মধ্যদিয়ে দু'দেশের জনগণের মধ্যে যে আশাবাদ তৈরি হয়েছে_ সময়ৰেপণ করে যেন তা ভঙ্গ করা না হয়।

No comments

Powered by Blogger.