৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে নিহতদের লাশ দেশে আনা হবে ॥ by দীপু মনি

বাহরাইনে অগ্নিকা-ের ঘটনায় নিহত বাংলাদেশী কর্মীদের লাশ ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে দেশে আনা হবে। ইত্যেমধ্যে বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে লাশ আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শনিবার রাত পর্যন্ত নিহত বাংলাদেশীর সংখ্যা ১০ শোনা গেলেও সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও একজন বাংলাদেশীসহ মোট ১১ জনের নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন। মোট ১১ বাংলাদেশীর পরিচয়ও তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বাহরাইনের রাজধানী মানামার মুখারকা এলাকার তিনতলা একটি ভবনে আগুন লাগলে ১১ বাংলাদেশী কর্মী নিহত হন। নিহতরা হলেন, সাগীর আহমেদ, পিতা : নাজির আহমেদ, গ্রাম : চর খিজিরপুর, থানা : বোয়ালখালী, জেলা চট্টগ্রাম। জসিম মিয়া, পিতা : নাসের মিয়া, গ্রাম : গোয়ালি, থানা : নবীনগর, জেলা : ব্রাহ্মণবাড়িয়া। আপন সহোদর স্বপন ও সাইফুল, পিতা : মৃত শহীদ মিয়া, গ্রাম : কাইতলা, থানা : নবীনগর, জেলা : ব্রাহ্মণবাড়িয়া। মাহবুব আলম, পিতা : হাজী রশীদ আহমেদ, গ্রাম : বতুয়া, থানা : পটিয়া, জেলা : চট্টগ্রাম। জামাল, পিতা : আব্দুল আজিজ, গ্রাম : মারিপারা, থানা : পটিয়া, জেলা : চট্টগ্রাম। সহোদর দুই ভাই শাহাদত ও টিটু মিয়া, পিতা : আলম, গ্রাম : নওপাড়া, থানা : কচুয়া, জেলা চাঁদপুর। মোহাম্মদ আনোয়ার, পিতা : আবুল বাশার, গ্রাম : গুড়িগ্রাম, থানা : নবীনগর, জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ওসমান গনি, পিতা : আব্দুর রহিম, গ্রাম : কাশিপুর, থানা : সোনাইমুড়ি, জেলা : নোয়াখালী এবং গুরু মিয়া, পিতা : চান মিয়া, গ্রাম : ভৈরবনগর, থানা : নবীনগর, জেলা : ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাহরাইনের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় গভীর শোক এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে বলেন, যত দ্রুত সম্ভব নিহত ১১ জনের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। সেক্ষেত্রে কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। প্রক্রিয়া শেষে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে লাশ দেশে আনা সম্ভব হবে। মন্ত্রী বলেন, ১১ জন নিহত হওয়া ছাড়াও ২ জন বাংলাদেশী আহত হয়েছেন। ৬৩ জন সহায়সম্বল সব হারিয়েছেন। আহতদের সে দেশের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আর এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আশ্রয়সহ সর্বস্ব হারিয়েছেন এমন বাংলাদেশী কর্মীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে মানামার বাংলাদেশ দূতাবাস।
তিনি আরও জানান, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাহরাইনের কর্মকর্তার- এর তদন্ত করছেন। সে দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস তাদের সঙ্গে সর্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। এ ঘটনায় নিহত, আহত ও সর্বস্ব হারানো বাংলাদেশীদের জন্য করণীয় সবই করবে সরকার।

No comments

Powered by Blogger.