বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ঐতিহাসিক রায় বাংলায় রূপান্তর : by এনামুল হক

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায় গত ১৯ নবেম্বর ঘোষিত হয়। এরপর পাঁচ বিচারপতি গত ১৭ ডিসেম্বর সে ঐতিহাসিক রায়ে স্বার করেন।
রায়টির পূর্ণ বিবরণ এখানে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হলো_ (পূর্ব প্রকাশের পর) এরপর আপীলকারীরা ন্যায়বিচারের জন্য মৃতু্যদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দ্বীদের সবার েেত্র ডেথ রেফারেন্সের শুনানি প্রার্থনা করে তৃতীয় বিজ্ঞ বিচারকের কাছে দরখাস্ত পেশ করেন এবং শুনানির পর তৃতীয় বিজ্ঞ বিচারক বিজ্ঞ কেঁৗসুলির বক্তব্য সবিস্তারে শোনেন এবং তারপর ৬ ফেব্রুয়ারি ২০০১ তারিখের আদেশ বলে আপীলের শুনানির আবেদন নিন্মোক্ত করে প্রত্যাখ্যান করেন।
"উপরের আলোচনা এবং ডিভিশন বেঞ্চের বিজ্ঞ বিচারকদের সমভাবে বিভক্ত অভিমতের পরিপ্রেেিত আমার মত হলো এই যে, উপরোক্ত ৯ জন মৃতু্যদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দ্বী যাদের ব্যাপারে অভিমত প্রদানের েেত্র বিজ্ঞ বিচারকরা বিভক্ত নন তাদের মামলাগুলো ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৮ ও ৪২৯ ধারার বিধানাবলীর অধীনে শুনানির কথা ভাবা হচ্ছে না। তবে শুধুমাত্র আসামী আব্দুল মাজেদ খার ব্যাপারে দণ্ডবিধির দুই পৃথক ধারায় দোষীসাব্যস্ত করা নিয়ে মত পার্থক্য আছে তার মামলাটি এবং অপর পাঁচ মৃতু্যদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দ্বী যাদের ব্যাপারে বিজ্ঞ বিচারকরা মতামত দিতে গিয়ে সমভাবে বিভক্ত অর্থাৎ একদল বিজ্ঞ বিচারক দোষী সাব্যস্ত করেছেন ও অন্যজন খালাস দিয়েছেন তাদের মামলাগুলো অভিমতের জন্য এই আদালতের কাছে পেশ করা হয়েছে। এই আদালতের অভিমত প্রদানের পর রায় ও আদেশ গোটা ডেথ রেফারেন্সটির নি্#৬৩৭৪৩;ত্তির জন্য সেই অভিমতকে অনুসরণ করবে।"
দেখা যাচ্ছে যে, আপীলকারীরা তৃতীয় বিচারকের উপরোক্ত আদেশের ব্যাপারে আপত্তি করেনি এবং তাদের পরে কেঁৗসুলি এরপর আপীল ও ডেথ রেফারেন্স নিয়ে যুক্তিতর্ক উত্থাপন করেছিলেন। এরপর তৃতীয় বিজ্ঞ বিচারক শুনাান শেষে নিন্মোক্ত অভিমত প্রদান করেন :
"আমার মতে এই রায়ের কলেবরে উপরোক্ত আলোচনা, যুক্তি ও সিদ্ধান্তের পরিপ্রেেিত ঢাকার বিজ্ঞ দায়রা জজ আসামী লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ (আর্টিলারি), ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ ও বিসালদার মোসলেম উদ্দীন ওরফে মোসলে উদ্দীনকে দণ্ডবিধির ১২০ খ ও ৩০২ /৩৪ ধারায় সঠিকভাবেই দোষীসাব্যস্ত করেছেন এবং দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় মৃতু্যদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন এবং আমার বিজ্ঞ সহকমর্ী বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের সঙ্গে একমত হয়ে আমি লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ (আর্টিলারি), ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ ও রিসালদার মোসলেমউদ্দীন ওরফে মোসলে উদ্দীনের সঙ্গে সম্পর্কিত ডেথ রেফারেন্সটি গ্রহণ করলাম এবং আসামী লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদের (আর্টিলারি) পেশকৃত ১৯৯৮ সালের ২৬১৭ নং ফৌজদারি আপীলটি নাকচ করা হলো। তবে ঢাকার বিজ্ঞ দায়রা জজ ৩১৯/৯৭ নং দায়রা মামলায় আসামী ক্যাপ্টেন মো. কিসমত হাশেম, ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন আনসার ও মেজর আহমেদ শরিফুল হোসেন ওরফে শরিফুল ইসলামকে যে দোষী সাব্যস্ত করেছেন ও দণ্ডাদেশ দিয়েছেন তা বাতিল যোগ্য এবং সেই কারণে সেগুলো বাতিল করা হলো এবং তদন্ত অনুযায়ী আমার সহকমর্ী বিচারপতি মো. রুহুল আমিনের সঙ্গে একমত হয়ে ক্যাপ্টেন মোঃ কিসমত হাশেম, ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন আনসার ও মেজর আহমেদ শরিফুল ইসলাম ওরফে শরিফুল ইসলামের সঙ্গে সম্পর্কিত ডেথ রেফারেন্স নাকচ করা হলো।"
এরপর এলো হাইকোর্ট ডিভিশনের ৩০ এপ্রিল, ২০০১ তারিখের রায় ও আদেশ। সেখানে আপিলকারী মহিউদ্দীন আহমেদ (আর্টিলারি)সহ তিন মৃতু্যদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দ্বীর েেত্র দোষী সাব্যস্তকরণ ও দণ্ডাদেশ বজায় রাখা হয় এবং তাদের ডেথ রেফারেন্স গৃহীত হয় এবং ডেথ রেফারেন্সটি নিন্মোক্তভাবে নি্#৬৩৭৪৩;ত্তি করা হয় :
"ফলত মৃতু্যদণ্ড অনুমোদন করে লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, লে. কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশিদ, মেজর মোঃ বজলুল হুদা, লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম, বীর উত্তম, লে. কর্নেল এ এম রাশেদ চৌধুরী, লে. কর্নেল একেএম মহিউদ্দীন (ন্যান্সার), লে. কর্নেল এসএইচবিএম নূর চৌধুরী, লে. কর্নেল আজিজ পাশা, লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ (আর্টিলারি) রিসালদার মোসলেম উদ্দীন ওরফে মোসলে উদ্দীন ও ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদের সঙ্গে সম্পর্কিত ১৯৯৮ সালের ৩০ নং ডেথ রেফারেন্স গৃহীত হলো এবং তদনুযায়ী আসামি সৈয়দ ফারুক রহমান দায়েরকৃত ১৯৯৮ সালের ২৬১৬ নং ফৌজদারি আপীল, আসামি লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খানের দায়েরকৃত ১৯৯৮ সালের ২৬০৪ নং ফৌজদারি আপীল, আসামি মেজর মো. বজলুল হুদা দায়েরকৃত ১৯৯৮ সালের ২৬১৩ নং ফৌজদারি আপীল এবং লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ (আর্টিলারি) দায়েরকৃত ১৯৯৮ সালের ২৬১৭ নং ফৌজদারি আপীল খারিজ করা হলো। তবে আসামী ক্যাপ্টেন মোঃ কিসমত হাশেম, মেজর আহমেদ শরিফুল হোসেন ওরফে শরিফুল ইসলাম ও ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন আনসারের সঙ্গে সম্পর্কিত ১৯৯৮ সালের ৩০ নং ডেথ রেফারেন্স নাকচ করা হলো এবং তদনুযায়ী এই আসামিদের দোষী সাব্যস্তকরণ ও দণ্ডাদেশ বাতিল করা হলো এবং তার কমে এই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ থেকে তাদের খালাস দেয়া হলো।
আমার মতে তৃতীয় বিজ্ঞ বিচারকের ঐ রায় ও আদেশটি ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৮ ও ৪২৯ ধারার বিধানের সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে সঙ্গতিপূর্ণ।
দ্বিতীয় ভিত্তি অর্থাৎ বিলম্ব প্রসঙ্গে আপীলকারীদের বিজ্ঞ কেঁৗসুলিরা বলেছেন, এফআইআর দায়েরে অত্যধিক বিলম্ব হয়েছে এবং ২১ বছরের এই অযৌক্তিক বিলম্বের কারণে রাষ্ট্রপ সাজানো সা্য প্রমাণ সংগ্রহ করে আপীলকারী ও অন্যান্য আসামিকে অসত্যভাবে জড়িয়ে বানোয়াট কাহিনী চালূ করতে পেরেছে যা আপীলকারীদের তির কারণ ঘটিয়েছে। তারা আরও বলেন, একথা যদি ধরেও নেয়া যায় যে, ১৯৭৫ সালের দায়মুক্তি অধ্যাদেশ জারির কারণে এই বিলম্ব ঘটেছে তথাপি ২৬, ৬, ১৯৯৬ থেকে অর্থাৎ আওয়ামী লীগ মতায় আসার তারিখ থেকে প্রায় তিন মাস সময় কেন লাগল তার কোন ব্যাখ্যা নেই।
অন্যদিকে জনাব আনিসুল হক এবং বিজ্ঞ এ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, রাষ্ট্রপ এফআইআর দায়েরে বিলম্বের কারণ গুলো ব্যাখ্যাই শুধু করেননি উপরন্তু এই বিলম্ব এবং ঘটনার পর এফআইআর দায়েরে তথ্য দাতার অপারগতার কারণ সারবান করার জন্য অকাট্য তথ্য প্রমাণও প্রদর্শন করেছেন। এই বিলম্বের কারণ হলো এই বাস্তব অবস্থা যে পরবতর্ী সরকারগুলো ১৯৭৫ সালের দায়মুক্তি অধ্যাদেশ জারিকে দেখিয়ে আপীলকারী ও অন্যান্য আসামির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করতে প্রত্য ও পরোভাবে বাধা দিয়েছিল এবং আপীলকারী ও অন্যান্য আসামিকে রা করেছিল। ব্যাপারটা এই বাস্তবতা থেকে স্বতঃপ্রমাণিত হবে যে ঘটনার পর আপীলকারীরা ও অন্য আসামিরা শুধু যে তৎকালীন সরকারগুলোর আশ্রয়ে ছিল তাই নয়, উপরন্তু প্রভাবশালী ও মতাবান পদে অধিষ্ঠিতও ছিল। মেজর রশিদ ১৯৯৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দি্বতা করেছিলেন। তিনি ফারুক রহমানের সঙ্গে মিলে ফ্রিডম পার্টি নামে একটি রাজনৈতিক দলও গঠন করেছিলেন। ফারুক রহমানও ১৯৮০-এর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দি্বতা করেছিলেন এবং বজলুল হুদা ছিলেন ফ্রিডম পার্টির সম্পাদক। আরও বলা যায় যে, জেনারেল জিয়াউর রহমান মতায় আসার পর রাষ্ট্রপতি ও তার পরিবার পরিজনদের হত্যায় জড়িত আসামিদের অধিকাংশকে বিদেশী মিশনগুলোতে নিয়োগ দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন, যদিও তারা প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন যে, তারাই তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি ও তার পরিবার পরিজনকে হত্যা করেছেন। এটা একটা ব্যতিক্রমী ঘটনা যেখানে তখনকার একের পর এক মতাসীন সরকার বর্তমান আপীলকারীসহ আসামিদের আশ্রয় দিয়েছিল ও রা করেছিল বিধায় তথ্যদাতা ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মতায় আসার আগ পর্যন্ত এই ভেবে শঙ্কিত ছিল যে, মামলা দায়ের করা হলে তার জীবনের প্রতি ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে। উপরোক্ত বক্তব্যের সমর্থনে রাষ্ট্রপরে বিগত কেঁৗসুলিরা রাষ্ট্র বনাম ফজল, ৩৯ ডিএলআর (এডি) ১৬৬, মোঃ শামসুদ্দীন ওরফে লালু ও অন্যান্য বনাম রাষ্ট্র, ৪০ ডিএল আর (এডি) ৬৯, তারা সিং ও অন্যান্য বনাম পাঞ্জাব রাজ্য ১৯৯১ সম্পূরক (১) এসসিসি ৫৩৬, জামনা ও অন্যান্য বনাম উত্তর প্রদেশ রাজ্য ১৯৯৪ সম্পূরক (১) এসসিসি ১৮৫ এবং হরিয়ানা প্রদেশ বনাম শ্রীকান্থিয়া শিকারী (২০০৪) ৮ এসিসি ১৫৩ মামলাগুলোর উল্লেখ করেন।
দেখা যায় যে, হাইকোর্ট বিভাগের বিজ্ঞ বিচারকরা বিলম্ব সম্পর্কিত ব্যাখ্যাটি বিশ্বাস করেছিল এবং মন্তব্য করেছিল যে, রাষ্ট্রপ অকাট্য যুক্তি দেখিয়ে বিলম্বের বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে সম হয়েছে।
প্রথম বিজ্ঞ বিচারক মন্তব্য করেন : বর্তমান মামলায় এফআইআর দায়েরে বিলম্বের বিষয়টির পর্যন্ত ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে এবং এফআইআর বেশ কয়েক বছর পার হবার পর দায়ের হওয়ায় কারসাজি করা ও ঘটনার সঙ্গে মিথ্যা ভাবে জড়ানোর অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে নাকচ করে দেয়া যায় না এমন বক্তব্য বিবেচনাযোগ্য নয়।
দ্বিতীয় বিজ্ঞ বিচারক মন্তব্য করেন :
এই মামলায় রাষ্ট্রপরে ৪৪ নং সাী ও অন্যান্য সাীর সা্যপ্রমাণ থেকে দেখা যায়, সর্বাধিক অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ১৯৭৫ সালের ৪ নবেম্বর দেশ ত্যাগে বাধ্য হবার আগ পর্যন্ত ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে বঙ্গভবনে অবস্থান করত এবং অলিখিত কমান্ড কাউন্সিলের নামে দেশ চালাত। দেশ ত্যাগের পরও তাদের প্রভাব প্রতিপত্তি ছিল না তা নয়। আসামি সৈয়দ ফারুক রহমান সাভার ও বগুড়া সেনানিবাসে বিদ্রোহ ঘটানোর চেষ্টা করেছিল। মেজর খন্দকার আব্দুর রশিদ ১৯৭৬ সালে সেকেন্ড ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্টের কমান্ড দখলে নেবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পুনরায় ১৯৮০ সালে তারা সরকার উৎখাতের আরেক দফা চেষ্টা চালায়। কিন্তু তারপরও কোন সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি। বরং তাদের সবাইকে তাদের বকেয়া বেতন দেয়া হয়েছিল। আসামি মেজর সৈয়দ ফারুক রহমান ১৯৮৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দি্বতাও করেছিল (রাষ্ট্রপরে ৪৪ নং সাী)। কাজেই নিজের জীবনাশঙ্কা সম্পর্কে তথ্যদাতা যা বলেছেন তা অযৌক্তিক বলা যায় না। এমতাবস্থায় এফআইআর দায়েরে বিলম্বের কারণে মামলা ত্রুটিপূর্ণ হতে পারে না। যাই হোক না কেন, সা্য প্রমাণের ভিত্তিতে মামলার অভিযোগ প্রমাণ করা সর্বদাই বাদী পরেই দায়িত্ব। সেই কারণে এফআইআর দায়ের করার ব্যাপারে বিলম্ব সম্পর্কে আপীলকারীদের পরে বিজ্ঞ কেঁৗসুলির বক্তব্যের মধ্যে সারবত্তা বলে কিছু নেই।
তৃতীয় বিজ্ঞ বিচারকও বিলম্বের ব্যাখ্যাটি বিশ্বাস করেছেন। বিজ্ঞ বিচারকরা তাদের বিচার বিবেচনা সমর্থনে এই উপমহাদেশের বেশ কিছু সিদ্ধান্তও উদ্ধৃত করেন।
এটা সত্য যে ঘটনা ঘটে যাবার পর যারা এ নিয়ে মাথা ঘামায় তারা এফআইআর দায়েরে বিলম্বের ব্যাপারটিকে কখনও কখনও অতিরঞ্জন বা অলঙ্করণ করে দেখায়। তবে এ ব্যাপারে উচ্চতর আদালতগুলোর সঙ্গতিপূর্ণ বক্তব্য হলো এই যে, মামলা দায়েরে স্রেফ বিলম্বের ব্যাপারটাই বাদী পরে মামলাকে অবিশ্বাস করার ভিত্তি হতে পারে না। কেননা নানা ধরনের পরিস্থিতি রয়েছে যার মধ্যে অপরাধ সংঘটন সম্পর্কিত মামলা দায়ের বিলম্বিত হতে পারে।
অবশ্য শ্রী কান্থিয়া (সুপ্রা) মামলায় দেখা গেছে, প্রাথমিক তথ্য রিপোর্ট পেশে বিলম্বের ব্যাপার ল্য করে আদালত সতর্ক হয়ে গিয়েছিল। (ক্রমশ)

No comments

Powered by Blogger.