খুদে ‘জুকারবার্গে’র আবির্ভাব by লিটু খান

২০০৪ সালের দিকে একটি সামাজিক যোগাযোগ সাইট প্রতিষ্ঠা করে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এক তরুণ। তিনি আর কেউ নন। সবাই তাঁর নামটা নিশ্চয়ই আঁচ করতে পারছেন। হ্যাঁ! তিনি মার্ক জুকারবার্গ।
অল্পসময়ে তাঁর প্রতিষ্ঠা করা সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুক সারা বিশ্বে বিশেষত তরুণ প্রজন্মের কাছে অবিশ্বাস্য গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা কুড়াতে সক্ষম হয়। মাত্র ৮ বছরেরই ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১০০ কোটিতে। সম্প্রতি এ রকম একজন জুকারবার্গে দেখা মিলল। অবশ্য, খুদে জুকারবার্গ! জুকারবার্গের মতো তরুণ সে নয়; ১১ বছরের এক পুচকে ছোরা সে। আর সেই কিনা খুলে ফেলল একটি শিশুবান্ধব সামাজিক যোগাযোগ সাইট! সত্যি অবাক করার মতো! খুদে জুকারবার্গের প্রকৃত নাম জাচারি মার্কস। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় থাকে সে। ১১ বছরের এই শিশু অধিকাংশ সময় কাটায় কম্পিউটার ডেস্কের সামনে। কম্পিউটারের বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেয়ার প্রতি ওর অদম্য ঝোঁক। খুলে ফেলল একটি ফেসবুক আইডি। কিন্তু নীতিমালা রয়েছে ১৩ বছর না হতে ফেসবুক আইডি খোলা যাবে না। বেছে নিল অসৎ পন্থা। নিজের বয়স ভারিয়ে, মানে ২ বছর যোগ করে খুলে ফেলল একটি ফেসবুক আইডি। এর চরম মাসুল অবশ্য ওকে দিতে হয়েছে। একদিন হাতে-নাতে ধরা পরে গেল বাবার কাছে। বাবা তো রেগে খুন।
এক পর্যায়ে মার্কস বন্ধ করে দেয় তার ফেসবুক আইডি। শিশুদের জন্য যে সব নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা আছে তাও ভাল লাগে না ওর। মার্কেস ভাষায়, ওগুলো নিহায়তই শিশুসুলভ। তাই ও নিজেই একটা নেটওয়ার্কিং সাইট খুলে ফেলন। নাম রাখা হলো গ্রোম সোশাল (এৎড়স ঝড়পরধষ)। অচিরেই বাবা ড্যারেন বুঝতে পারলেন মার্কেস-এর প্রতিভা। কিছুদিন পর ড্যারেন গ্রোম সোশলকে একটি কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধন করার ব্যবস্থা করেন। এ ঘটনা গত বছরের মার্চের। বর্তমানে গ্রোম সোশালের সদস্য সংখ্যা ৬,৮০০।

No comments

Powered by Blogger.