মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের নিয়ে কিছু কথা by আলমগীর সাত্তার

সম্প্রতি আমি মুনতাসীর মামুনের লেখা ‘এসব মাল কোটিতে একটি মেলে’ এবং সরদার সিরাজুল ইসলামের লেখা ‘জয়বাংলা বর্জনকারীদের খেতাব বাতিল এবং মুক্তিযুদ্ধ সংগঠকদের মর্যাদা’ শিরোনামের লেখা দ্বারা বেশ প্রভাবিত হয়েছি।
দুটো লেখাই প্রকাশিত হয়েছে জণকণ্ঠ পত্রিকায়। নতুন নতুন নামকরণের স্রষ্টা মামুনের উদ্ভাবনী শক্তি বিস্ময়কর, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। এবার চরম সুবিধাবাদী সুশীল সমাজের একটি অংশকে তিনি নামকরণ করেছেন। ‘হার্ডকোর হারামজাদা’। বাংলাদেশে এই হার্ডকোর হারামজাদাদের সংখ্যাটা কত, তা অবশ্য গবেষণার ব্যাপার। আমার ধারণা সংখ্যাটা খুব কম নয়। মামুন তার লেখায় ওমর নামের এক বিএনপি নেতার নামোল্লেখ করেছেন। তিনি পাকিস্তান সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেছিলেন। যুদ্ধে তিনি কতটা বীরত্ব প্রদর্শন করেছিলেন সে বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধার লেখায় তার বীরত্বের তেমন উল্লেখ করার মতো কিছু চোখে পড়েনি। তবে তিনি বীরউত্তম খেতাব লাভ করেছেন। শুনেছি তিনি বরিশাল শহরে খুব সুন্দর একটি বাড়ি তৈরি করে নামকরণ করেছেন ‘বীরউত্তম ভবন’। ওই ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথির মধ্যে জামায়াতপন্থী রাজনীতিবিদদেরই নাকি সংখ্যাধিক্য ছিল। আমার বিশ্বাস, মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি অনেক কষ্ট স্বীকার করে যে পাকিস্তানের সীমান্ত অতিক্রম করে এসেছিলেন, এ ব্যাপারে পাক সেনাবাহিনী তাকে সহায়তা করেছিল কিনা তাও আমার জানা নেই। মুক্তিযুদ্ধের সময় খুনি সৈয়দ ফারুক রহমান ছিলেন আবুধাবিতে ডেপুটেশনে। আমাদের বিজয় অর্জনের কয়েকদিন আগে পাকবাহিনীর কি নির্দেশিত দায়িত্ব পালন করতে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করতে তিনি কলকাতায় এসেছিলেন তা আমার জানা নেই। পরবর্তীকালে প্রমাণিত, তার তেমন সদুদ্দেশ্য ছিল না। কর্নেল জিয়াউদ্দিন বীরউত্তমও পাকিস্তানী সীমান্ত অতিক্রম করে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সরদার সিরাজুল ইসলামের লেখা থেকে জানতে পারলাম, তিনি ১৯৯৬ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামী দলের রাজনীতি করছেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী সামরিক অফিসারদের কয়েকজন পাকিস্তানী সীমান্ত অতিক্রম করে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। আবার মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে সাহসী দু’জন সেক্টর কমান্ডার জেনারেল মঞ্জুর এবং কর্নেল তাহের পাকিস্তানী সীমান্ত অতিক্রম করে এসে দু’টি সেক্টরের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে একখানা পা হারানো কর্নেল তাহেরকে অন্য সেক্টর কমান্ডার দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বিচারের নামে হত্যা করেছিলেন। প্রয়াত প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশকে দ্রুত পাকিস্তান বানাতে গিয়ে জেনারেল মঞ্জুরের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন এবং দু’জনেই নিহত হন।
আমি মনে করি খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ৯৫ শতাংশই ছিলেন দেশপ্রেমিক এবং জীবনকে দেশের জন্য উৎসর্গ করতে প্রস্তুত যোদ্ধা। ব্যতিক্রমী দু’চারজন বিশ্বাসঘাতককে দিয়ে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার করা যাবে না। খেতাবপ্রাপ্তসহ সকল মুক্তিযোদ্ধাকে দেশবাসী চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
এবার আলোচনা করা যাক, মুক্তিযুদ্ধ সংগঠকদের নিয়ে। তাদের মাঝে ৯০ শতাংশ দেশপ্রেমিক হলেও অনেকেই ছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট। যেমন খন্দকার মোশতাক, মাহবুবুল আলম চাষী এমন অনেকে। এসব পাকিস্তানী এজেন্টের মধ্য থেকে আমি দু’জনকে নিয়ে একটু আলোচনা করতে চাই।
জনৈক আবুল কাশেমকে নিয়ে আমি এর আগেও একাধিকবার লিখেছি, আবারও লিখছি।
একাত্তরের আগস্ট মাসে মরহুম ক্যাপ্টেন খালেক, বীরপ্রতীক, ক্যাপ্টেন শাহাব উদ্দিন (বীরোত্তম) এবং আমি দিল্লী থেকে রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে কলকাতায় আসছিলাম। দিল্লীর রেলস্টেশনে পৌঁছানোর পর আমাদের প্রটোকল অফিসার বাসুদেব বছর চল্লিশ বয়সের এক বাঙালী ভদ্রলোকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বললেন, ওই লোকও আমাদের সহযাত্রী।
ট্রেন ছাড়ার আগেই ভদ্রলোকের সঙ্গে আলাপ-পরিচয় হলো। তিনি দাবি করলেন, তার নাম আবুল কাশেম। বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। ছোটবেলা থেকে করাচি শহরে বসবাস করছেন।
দিল্লী থেকে আমাদের ট্রেন ছেড়েছিল সন্ধ্যার দিকে এবং কলকাতায় পৌঁছেছিল পরদিন সকাল ন’টায়। ট্রেনে চড়ে দেখলাম আমার ভাগ্য খুব খারাপ। ট্রেনের কামরার প্রতিটি সারিতে ছিল পাঁচটি আসন। একদিকে দু’টি আসন। তারপর আইল। আইলের অন্যদিকে তিনটি আসন। ক্যা. খালেক এবং শাহাবউদ্দিন বসেছিলেন পাশাপাশি আসনে। অন্যদিকে পাশাপাশি আসনে আবুল কাশেম এবং আমি।
দিল্লী থেকে ট্রেন ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মি. কাশেম বিয়ার পান করতে শুরু করেন। ওই পানীয় পান করতে তিনি আমাকেও আহ্বান জানালেন। কিন্তু লোকটাকে আমার এতই খারাপ লাগছিল যে, আমি বিনয়ের সঙ্গে তা প্রত্যাখ্যান করলাম। মি. কাশেম দাবি করলেন যে, তিনি পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে স্কো.লি. পদমর্যাদায় এ্যাকাউন্স বিভাগে চাকরি করতেন। কিছুদিন ওই পদমর্যাদায় চাকরি করার পর অগ্রিম অবসর গ্রহণ করে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। করাচি শহরে তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ভালই চলছে। তবে মাতৃভূমি অর্থাৎ বাংলাদেশের দুর্দিনে তিনি আর চুপ করে থাকতে পারলেন না বলে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসেছেন। পালিয়ে প্রথমে গিয়েছিলেন দুবাই। সেখান থেকে প্লেনে এসেছেন ভারতে। স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারকে সাহায্য করার জন্য তিনি দশ হাজার মার্কিন ডলারও সঙ্গে নিয়ে এসেছেন।
তিন-চার ক্যান বিয়ার পান করার পর মি. কাশেম কিছুটা মাতাল হয়ে পড়েছিলেন। তখন দেশপ্রেমের কথা তার মুখ থেকে নির্গত হচ্ছিল স্রোতের মতো। এক এক চুমুক বিয়ার গলাধঃকরণের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবার তিনি সশব্দে ঢেঁকুর তুলছিলেন। বুঝতে পারলাম ওসব হচ্ছে দেশপ্রেমের ঢেঁকুর। দেশপ্রেমের গ্যাস বোধহয় তার পেটে একটু বেশি জমে গিয়েছিল। তিনি যদি শুধু ঢেঁকুর তুলতেন তবে তেমন আপত্তি ছিল না। কিন্তু ওসব ছিল দুর্গন্ধময়। সেই দিল্লী থেকে শুরু করে কলকাতা পর্যন্ত কাশেম সাহেবের দেশপ্রেমের বক্তৃতা এবং দুর্গন্ধময় ঢেঁকুর দুটোই আমাকে সহ্য করতে হয়েছিল।
কলকাতায় পৌঁছে ক্যাপ্টেন খালেক, শাহাবউদ্দিন এবং আমাকে কয়েকটা দিন কাটাতে হয়েছিল ওই শহরে। তখনও একজন প্রটোকল অফিসার সব সময় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন। কলকাতায় পৌঁছানোর চার-পাঁচদিন পর ওই প্রটোকল অফিসার আমাদের বললেন, আপনাদের সঙ্গে মি. কাশেম নামের যে ভদ্রলোক দিল্লী থেকে এসেছিলেন, ভারতীয় গোয়েন্দারা তাকে বন্দী করে রেখেছে। মি. কাশেমের কাছ থেকে বিভিন্ন নামের তিনখানা পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়েছে।
এই ঘটনার তিন-চার দিন পর সেই একই প্রটোকল অফিসার জানালেন, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কাশেম সাহেবকে বাংলাদেশের একটি প্রভাবশালী মহলের চাপের কারণে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। অবশ্যই ওই প্রভাবশালী মহল ছিলেন খন্দকার মোশতাক, মাহবুবুল আলী চাষী গং। ভারত সরকার কাশেমকে মুক্তি দিলেও একটা শর্তারোপ করেছিল যে, লোকটাকে ভারত ছেড়ে চলে যেতে হবে এবং তিনি আর কোনদিন ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
কাশেম গেলেন তখনকার পশ্চিম জার্মানি। সেখান থেকে ইসরাইলে। পাসপোর্টে ইসরাইলী ইহুদী রাষ্ট্রের সিলছাপ্পড় লাগিয়ে গেলেন পাকিস্তানে। পাকিস্তানে কাশেমকে নিয়ে পত্র-পত্রিকা, রেডিও-টেলিভিশনে বড় বড় করে সংবাদ প্রচার করা হলো, একজন বড়মাপের মুক্তিযোদ্ধা আত্মসমর্পণ করেছেন। তখনকার পূর্বপাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমগুলোও কাশেমের আত্মসমর্পণের খবর এবং সাক্ষাতকার প্রধান শিরোনামে ছেপেছিল। সাক্ষাতকারে কাশেম বললেন, তিনি এতদিন কলকাতার প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের অফিসে খুব দায়িত্বশীল কাজে নিয়োজিত ছিলেন। আসলে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার বলতে কিছু নেই। কলকাতার থিয়েটার রোডে বাংলাদেশ সরকার বলতে আছে কিছু ভারতীয় দালাল। তারা ভারতীয়দের হাতে বন্দী। মুক্তিবাহিনী বলতেও কিছু নেই। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরাই পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় কিছু গোলযোগের সৃষ্টি করে চলেছে। সম্পূর্ণ ব্যাপারটা পবিত্র পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হিন্দু ভারত এবং ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলের গভীর ষড়যন্ত্র। তাকে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের দালালরা অস্ত্র সংগ্রহ করতে ইসরাইলে পাঠিয়েছিল। তিনি কোনক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে পাকিস্তানে এসেছেন।
মি. কাশেমের দুর্ভাগ্য যে, তিনি ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ে গিয়েছিলেন। আমার মতে, মি. কাশেমের চেয়েও বেশি বিপজ্জনক পাকিস্তানী দালালরা ধরা পড়েননি। তিনি ধরা না পড়লে স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান সংগঠক বলে দাবি করতে পারতেন। গবেষণামূলক বই লিখে দাবি করতে পারতেন, কবে কবে ডিপি ধরের মতো ভারতীয় নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের কোন পদমর্যাদায় নিযুক্ত ব্যক্তি না হয়েও ডিপি ধর অথবা অমন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা তার সঙ্গে যে বৈঠক করেছেন, তা আমার মতো বোকা পাঠকরা বুঝতে পারতাম না। আজ তিনি সোনারগাঁও বা রূপসী বাংলার মতো অভিজাত হোটেলের লবিতে বসে মদ্যপান করতেন, আর আওয়ামী লীগ সরকারকে গালি দিতে পারতেন।
আমি দু’জন লোকের উদাহরণ দেব বলে উল্লেখ করেছিলাম। কিন্তু লেখাটা বড় হয়ে যাবে বলে দ্বিতীয় ব্যক্তির কথা আর লিখলাম না। শুধু উল্লেখ করব, তিনি একাত্তর সালে নিজেকে চৈনিকপান্থ বলে পরিচয় দিতেন। তিনি বামপন্থী নেতা বলে যথেষ্ট খ্যাতিও অর্জন করেছিলেন। আমি প্রতিবছর কানাডা ও আমেরিকায় যাই। হংকং থেকে প্লেনে পূর্বদিকে যাত্রা করে যেতে যেতে পশ্চিমের দেশ কানাডা ও আমেরিকায় পৌঁছে যাই। আমাদের দেশের বামপন্থী নেতাদের অধিকাংশই বামে যেতে যেতে ডানপন্থী হয়ে যান। আমি সে বামপন্থী নেতার কথা বলছি, তিনি এখন চরম ডানপন্থী। তাকে এই বৃদ্ধবয়সেও বিএনপি এবং জামায়াতের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।
ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও যেসব যুবক মুক্তিযুদ্ধে যেতে পারেননি। এবার তাদের সম্পর্কে দুটো কথা বলতে চাই।
আমরা চার ভাই। অসহযোগ আন্দোলনের সময় কত পাকিস্তানী সেনা এবং অস্ত্রসম্ভার ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছাচ্ছে সে তথ্য প্রদান করতে আমি প্রতিদিন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতাম। এ কথা পাকিস্তানী গোয়েন্দা বিভাগের জানা ছিল। তাই আমি তাদের হিটলিস্টের প্রথম সারিতেই ছিলাম। এই কারণে মুক্তিযুদ্ধে যাওয়া আমার জন্য ছিল অপরিহার্য। আমার সবচেয়ে ছোট ভাই তখন ছিল কেবল দশম শ্রেণীর ছাত্র। মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়ে সেও সাহসের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে। আমার তৃতীয় ভাই ছিল অসুস্থ। দ্বিতীয় ভাই একটি ব্যাংকে চাকরি করত। তাকে চাকরি করতে হয়েছে পরিবারের অন্যদের ভরণপোষণের জন্য। মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার তার প্রচ- উৎসাহ ছিল। কিন্তু বাস্তবতার কারণে যেতে পারেননি। যুদ্ধে না গিয়েও চাকরিরত অবস্থায়ও সে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেছে। আমি একজন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু মনে হয় আমার যে ভাই যুদ্ধে না গিয়ে আমাদের পরিবারপরিজনদের ভরণপোষণের জন্য চাকরি করতে বাধ্য হয়েছে, আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে তার অবদান আমার চেয়ে কম নয়। তাই বলতে চাই, কর্নেল রশিদ, কর্নেল ফারুক অথবা ডালিম এমন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, খন্দকার মোশতাক, মাহবুবুল আলম চাষী এবং দেশের অভ্যন্তরের কিছুসংখ্যক রাজাকার, আলবদরকে বাদ দিয়ে আমরা বাংলাদেশের মানুষ সম্মিলিতভাবে দেশটাকে স্বাধীন করেছিলাম।
আমি টেলিভিশনে মধ্যরাতের টকশো যথেষ্ট উপভোগ করি। সেদিন একাত্তর টেলিভিশনে শাহরিয়ার কবির বললেন, কোন্টা চুরি আর কোন্টা চুরি না, তা ঘরের কাজের বুয়াও বোঝে। এ জন্য ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এমন সত্য এবং স্পষ্ট কথা বলার জন্য শাহরিয়ার কবিরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

No comments

Powered by Blogger.