সমর্পিত প্রাণ ভাল, ভাল নয় মোহান্ধের প্রাচীন by শেখর ইমতিয়াজ

বিভেদ-বিদ্বেষে ৰয়িষ্ণু বাঙালী জাতির কল্যাণ কামনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশ শাসনামলে বলেছিলেন, "আমরা বহুশত বছর পাশে পাশে থাকিয়া এক ৰেতের ফল, এক নদীর জল, এক সূর্যের আলোক ভোগ করিয়া আসিয়াছি, আমরা এক ভাষায় কথা কই, আমরা একই সুখ-দুঃখে মানুষ, তবু প্রতিবেশীর সঙ্গে প্রতিবেশীর যে সম্বন্ধ মনুষ্যোচিত, যাহা ধর্মবিহিত, তাহা আমাদের মধ্যে হয় নাই।
"_ রবীন্দ্র রচনাবলী ১২, পৃ-৯১৪, বিশ্বভারতী। এ উক্তিটির মধ্যে ধর্মবিহিত শব্দ প্রণিধানযোগ্য। পৃথিবীর প্রতিটি গণতান্ত্রিক কিংবা সমাজতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র এবং প্রতিটি জাতি ধর্মবিহিতার্থে প্রতিটি নাগরিকের সুষম সহাবস্থান চায়। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশসহ বেশ ক'টি রাষ্ট্রে প্রকৃত ধর্মপরায়ণ মানুষ ছাপিয়ে ধর্মান্ধ উগ্রতা প্রকটভাবে বিসত্মার লাভ করছে_ কখনও প্রকাশ্যে, কখনও পর্দার আড়ালে। বুদ্ধিজীবী, দার্শনিক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সচেতন ব্যক্তিবর্গ ধর্মকে অস্বীকার করছেন না; তবে রাষ্ট্র জাতির অখ-তা এবং অগ্রসরমানতার জন্য ধর্মকেন্দ্রিক রাজনীতিকে গুরম্নত্বপূর্ণ মনে করেন না। লালন ফকির, নজরম্নল ইসলাম, শরৎচন্দ্র, মহাশ্বেতা দেবী, আবুল বাশার প্রমুখ তো মানবতার বাণী প্রচার করেছেন_ কেউ সৃষ্টিকর্তার মহিমাকে অস্বীকার করেননি। তাঁদের নিয়ে একশ্রেণীর ধর্মান্ধ এবং উগ্র রাজনীতিবিদ ও সাহিত্যিক অপব্যাখ্যায় মেতে উঠেছেন বারংবার। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'আনন্দমঠ' উপন্যাসকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ হৈ চৈ পড়ে গিয়েছিল, এখনও তা থামেনি। উপন্যাস আর ইতিহাস এক নয়; মীর মশাররফ হোসেন তাঁর 'বিষাদ সিন্ধু'তে দেখিয়েছেন। বঙ্কিমের প্রতি বিদ্বেষ শুরম্ন থেকেই রাজনীতিতে উৎকটভাবে বিশেস্নষিত হতে থাকে। কেউ কেউ মত্ত হয়ে ওঠেন অবুঝপনায়_ এমনতর মত্ততা থেকে রেহাই পাননি রবীন্দ্র-নজরম্নল- শামসুর রাহমান কেউই। রেহাই পায়নি কংগ্রেস, পাচ্ছে না আওয়ামী লীগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান। বিশিষ্ট লেখক-সাংবাদিক-রাজনীতিবিদ মওলানা আকরম খাঁ এক সময় প্রবাসী পত্রিকায় লিখেছিলেন, বঙ্কিম সাহিত্য সত্য সত্যই মুসলিম বিদ্বেষী নয়। তাঁর মনত্মব্য উলেস্নখ করলাম এ কারণে যে, মূল্যায়ন করার ৰমতা তিনি রাখতেন।
'বহুশত বৎসর পাশে পাশে থাকিয়া' আমরা বাঙালী জাতি যুদ্ধ করে অর্জন করেছি বাংলাদেশ। রবীন্দ্রপ্রেমী এবং ইতিহাসের অনুসন্ধিৎসু পাঠক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সঙ্গত কারণেই ধর্মনিরপেৰতাকে সংবিধানের চার মূল সত্মম্ভের একটি করেছিলেন_ যা ছিল জাতির আকাঙ্ৰা এবং প্রগতি ও শানত্মিপূর্ণ সহাবস্থানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশের সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদে 'ধর্মনিরপেৰতা ও ধমর্ীয় স্বাধীনতা' পাশর্্ব-শিরোনামে সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে : "ধর্মনিরপেৰতার নীতি বাসত্মবায়নের জন্য (ক) সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িকতা, (খ) রাষ্ট্র কর্তৃক কোন ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দান, (গ) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের অপব্যবহার, (ঘ) কোন বিশেষ ধর্মপালনকারী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য বা তাঁহার উপর নিপীড়ন বিলোপ করা হইবে।" এই সংজ্ঞাটির ধারাবাহিকতায় ৩৮ অনুচ্ছেদের নির্দেশিকায় উলেস্নখ করা হচ্ছে : "সংগঠনের স্বাধীনতা ৩৮। জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতার স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ সাপেৰে সমিতি বা সংঘ গঠন করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকিবে; তবে শর্ত থাকে যে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সম্পন্ন বা লৰ্যানুসারী কোন সাম্প্রদায়িক সমিতি বা সংঘ গঠন করিবার বা তাহার সদস্য হইবার বা অন্য কোন প্রকারে তাহার তৎপরতায় অংশগ্রহণ করিবার অধিকার কোন ব্যক্তির থাকিবে না।"
সংবিধানের উলেস্নখিত অংশটুকুতে কোন ধর্মপ্রাণ মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টানকে স্ব স্ব ধর্ম পালনে নিষেধাজ্ঞা নেই, বরং আছে ধর্মপালন করার জন্য যাবতীয় প্রতিবন্ধকতাকে দূর করার জন্য সরকারের অঙ্গীকার। আছে কেবল পবিত্র ধর্মকে কেন্দ্র করে ভুল পথে কেউ যাতে অগ্রসর না হতে পারে তেমনি নিষেধাজ্ঞা। অর্থাৎ ধর্মের নামে বেসাতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরিতাপের বিষয়, জাতির জনককে হত্যা করার পর সংহতি ও সম্প্রীতির অন্যতম সত্মম্ভ ধর্মনিরপেৰতার বিচু্যতি ঘটালেন সামরিক স্বৈরশাসক, যার খেসারত দিয়ে আসছে বাংলাদেশের নাগরিকরা তিন দশক বছর ধরে।
ইউরোপে পঞ্চদশ শতাব্দী থেকে চার্চের বিপরীত পৃথিবী বোঝাতে 'সেকু্যলার' শব্দ ব্যবহৃত হয়। চার্চ ও ধর্ম থেকে পৃথক জাগতিক বিষয় সেকু্যলার হিসেবে উলিস্নখিত হয়েছিল। ১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সংস্কারক জ্যাকব জর্জ হলোয়েক (১৮১৭-১৯০৬) ধর্মনিরপেৰতা মতবাদ প্রচার করেন। স্বাভাবিক নৈতিকতার ভিত্তিতে গঠিত একটি নীতিগত ব্যবস্থাকে ধর্মনিরপেৰতা নাম দেন। উনিশ শতকে ইউরোপে ধর্মনিরপেৰতা বলতে ইহকালে মানবজাতির কল্যাণ সাধন করাকে বোঝাত। এখানে সৃষ্টিকর্তাকে অস্বীকার করার কোন বিষয় নেই। ১৮৭২ সালে শিৰা সম্পর্কিত মতাদর্শ ছিল, জাতীয় শিৰা পুরোপুরি ধর্মনিরপেৰ হবে। এ শিৰা মঠ, মসজিদ ও গির্জার বিধিনিয়ম থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত থাকবে। অর্থাৎ রাষ্ট্রনীতি, নৈতিকতা, শিৰা প্রভৃতি ধমর্ীয় অনুশাসন থেকে মুক্ত থাকবে। - ঞযব ংযড়ৎঃবহ ড়ীভড়ৎফ উরপঃরড়হধৎু, ঠড়ঃ. ১১, ঈধষপঁঃঃধ, ১৯৬১,ঢ়ঢ়. ১৮২৬, ২৫৩৫. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ধর্মনিরপেৰতার অর্থ হলো পারস্পরিক কোন যোগাযোগ না রেখে রাষ্ট্র ও চার্চ একই মানবসমাজে অবস্থান করবে। রাষ্ট্র চার্চকে অথবা চার্চ পরিচালিত শিৰা প্রতিষ্ঠানকে কোন সাহায্য দেয় না। অন্যদিকে চার্চও ধমর্ীয় ও শিৰামূলক কাজকর্মে রাষ্ট্রের কাছ থেকে কোন সাহায্য চায় না এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণ করার উদ্দেশ্যে কোন দাবি পেশ করে না।_ কবহহবঃয উ. ধিষফ, জবষরমরড়হ ধহফ ঢ়ড়ষরঃরপং রহ ঃযব ঁহরঃবফ ংঃধঃবং, ইড়সনধু, ১৯৯২, চ. ১৩৮.
প্রাচীনকালের জীবনধারায় ধর্মনির্ভর আধ্যাত্মিক নৈতিকতা, মানবিকতা ও ঔদার্যবোধ বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সহাবস্থানের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। সহনশীলতার মনোভাব গঠনে ধর্মেরও বিশেষ ভূমিকা ছিল। - অ.খ. ইধংযধস, ঞযব ডড়হফবৎ ঃযধঃ ধিা ওহফরধ, পধষপঁঃঃধ, ১৯৮৭. অবশ্য এরই পাশাপাশি ধর্মান্ধতার ভাবধারাটিও চালু ছিল। ফলে আধ্যাত্মিক নৈতিকতার আদর্শ মলিন হয়ে পড়ে। বিভিন্ন ধর্মের সহাবস্থানের ৰেত্রে নানান বিপত্তি সৃষ্টি হতে থাকে। শরীয়তপন্থীরা এ উপমহাদেশের মুসলিম শাসকদের প্রভাবিত করার চেষ্টা চালান 'ইসলামী রাষ্ট্র' স্থাপনের জন্য। সুলতানী ও মোগল আমলে মুসলিম শাসকদের কেউ কেউ গোঁড়ামি দেখালেও তাঁরা ইসলামী রাষ্ট্র স্থাপন করেননি। হিন্দু শাসকরা মুসলিম শাসকদের আনুগত্য মেনে নিলেও ধর্ম বরাবরই রাজনীতি থেকে আলাদাই ছিল। আকবরের শাসনকালে ইউরোপে ও ভারতের বাইরে ইসলামী রাজ্যগুলোতে যখন অস্থিরতা বিরাজ করছিল তখন ও ভারতে সহিষ্ণুতার সুবাতাস বইতে থাকে। _ঝ. ঘঁৎঁষ ঐধংধহ, ঝঃধঃব ধহফ জবষরমরড়হ রহ সবফরবাধষ ওহফরধ, ১৯৯১, ঘব িফবষযর. ইসলামের প্রথম যুগে মদিনা সনদ এবং মক্কার কোরাইশদের সঙ্গে হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর হুদাইবিয়ার শানত্মি চুক্তি সম্পন্ন হয়। তাতে মুসলমানদের সঙ্গে অমুসলমানদের শানত্মিতে বসবাসের চুক্তি স্বাৰরিত হয়। এই সনদ ও শানত্মিচুক্তিতে সহিষ্ণুতার উপাদান পাওয়া যায়।_ঝুবফ অসববৎ অষর, ঞযব ংঢ়রৎরঃ ড়ভ ওংষধস, খড়হফড়হ, ১৯৫২, চ. ৫৮-৫৯, ৮৯.
১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ বিভক্ত হওয়ার পর ধর্মান্ধ হিন্দু ও মুসলিম মৌলবাদীরা ভারতের ধর্মনিরপেৰতাকে বিনাশ করতে উদ্যত হয়, যা আজও মাঝে মধ্যে অাঁধার ডেকে আনে। স্বাধীন ভারতে মুসলিম মৌলবাদী বৃত্তটি সংগঠিত হতে শুরম্ন করে। জামায়াতে ইসলাম, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ দলের আবির্ভাব ঘটে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়কে প্রকটভাবে উসকে দেয়ার জন্য। ১৯৪৮ সালে জামায়াতে ইসলামীর সেস্নাগান ছিল_ যে রাষ্ট্র আলস্নাহকে বিশ্বাস করে মুসলমানরা কেবলমাত্র সেই রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকবে। আলস্নাহতে বিশ্বাস নেই এমন রাষ্ট্র অপবিত্র রাষ্ট্র এবং সেই রাষ্ট্রের শাসনও অপবিত্র। এই দলের নেতা মওদুদ পাকিসত্মান থেকে ভারতীয় ধর্মনিরপেৰতার বিরম্নদ্ধে যুদ্ধের আহ্বান জানান, যে-যুদ্ধ পবিত্র যুদ্ধ (তার মতে)। জামায়াতের মুখপত্রের নাম ছিল দৈনিক দাওয়াত।_গড়ঁষধহধ ওকযষধয় যঁংধরহ ছধংসর, ঔধসধঃ-ব-ওংষধসর ধহফ ংবপঁষধৎরংস, চঁনষরংযবফ নু ংধসঢ়ৎধফধুরশধঃধ ঈড়সসরঃঃবব, উবষযর, চ. ২-৩.
সেই মওদুদীর অনুসারীরা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকিসত্মানের দোসর সেজে বাংলাদেশের ভয়ঙ্কর বিনাশ ডেকে আনে। দেশ শত্রম্নমুক্ত হওয়ার পর তারা গোপনে গোপনে সক্রিয় হয়ে ওঠে। পঁচাত্তরের নির্মম ট্র্যাজেডির পর সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের কৃপাধন্য হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়ার জন্য বারংবার অপকৌশল চালাতে থাকে। এখনও তারা একই পথে মেপে মেপে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। গণতান্ত্রিক একটি সরকার ৰমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর মওদুদীর অনুসারীরা পবিত্র যুদ্ধে (?) মাধ্যমে ধর্মনিরপেৰতাকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে। এখন সঠিক নির্দেশনা খুঁজে না পেয়ে ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চালাচ্ছে। ইদানীং জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী বলে বেড়াচ্ছেন, ধমর্ীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলে জঙ্গীবাদ উসকে দেয়া হবে। তাঁর মতে, এটা নাকি হবে সরকারের আত্মঘাতী সিদ্ধানত্ম। জামায়াতের সঙ্গে নিবিড় সখ্য রৰাকারী সংগঠন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আমিনী বলেছেন, ইসলামের কোন অংশ অস্বীকার বা নিষিদ্ধ করা প্রকারানত্মরে ইসলামকে নিষিদ্ধ করার শামিল। এদের সঙ্গে আরও বিভিন্ন সংগঠন, যারা ইসলামের শানত্মির বাণীকে অপব্যাখ্যা করে, মিটিং-মিছিল-পোস্টারিং করে যাচ্ছে। তাদের মতে, এই সরকার নাকি ইসলামবিরোধী সরকার।
তারা ভুলে গেছে, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মতো ইসলাম সম্পর্কিত গবেষণাধমর্ী প্রতিষ্ঠানটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেই প্রতিষ্ঠিত। তিনি নিজেও ব্যক্তি জীবনে কোরানের নির্দেশ মেনে চলতেন। তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ইসলামী আদর্শ মোতাবেক জীবন যাপন করে থাকেন।
যুদ্ধাপরাধী জামায়াত এবং এর সহযোগীদের কাছে তাহলে এই সরকারের অপরাধ কী? জনগণের বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়া? মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানানো? শাসনকালের প্রথম বছরে শিৰাৰেত্রে এবং কৃষিৰেত্রে স্মরণযোগ্য সাফল্য আনা? আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া? জঙ্গীবাদ দমনে আইনশৃঙ্খলা রৰাকারী বাহিনীর আনত্মরিক প্রচেষ্টা? সেনাবাহিনীসহ পুলিশ ও আনসারদের যথার্থ মূল্যায়ন করা? আনত্মর্জাতিক মহলে প্রশংসা পাওয়া?
বাঙালী জাতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জন করেছে এ বাংলাদেশ। পাকিসত্মানী বর্বরদের কাছ থেকে মুক্ত হতে জাতির ত্যাগের পরিমাণ বিরাট_এই বিরাট ত্যাগের প্রাপ্তি ধর্মনিরপেৰতার রাষ্ট্রবিধানও। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বঙ্গবন্ধুর নিকট আমরা প্রতিশ্রম্নতিবদ্ধ : সকল ধর্মের নাগরিক শানত্মিতে সহাবস্থানের মাধ্যমে আত্মার প্রগাঢ় শানত্মির সন্ধানে স্ব স্ব ধর্ম পালন করব, এবং তা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে নয়। সংবিধান তো বলেই দিয়েছে, কোন ধর্মপরায়ণ ব্যক্তির ওপর নিপীড়ন করা যাবে না। আমরা সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কোন ধর্মকেই আমরা খাটো করে দেখতে চাই না। দেখতে চাই না ধর্ম নিয়ে রাজনৈতিক বাজার সৃষ্টি করতে। চাই, প্রথমে এবং শেষেও চাই, ধর্মে হোক ব্যক্তির প্রাণ সমর্পিত। বাংলাদেশে ধমর্ীয় জঙ্গীদের বিসত্মার আর কখনও ঘটতে দেয়া যাবে না, এ অঙ্গীকার রাষ্ট্রের, এ অঙ্গীকার জাতিরও।

No comments

Powered by Blogger.