'ডিজিটাল বাংলাদেশে'র স্বপ্ন বাসত্মবায়নে দাতাগোষ্ঠীর আগ্রহ- ঢাকায় ডেভেলপমেন্ট ফোরামের বৈঠক ১৫ ও ১৬ ফেব্রম্নয়ারি, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী by জাফর আহমেদ

 বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাসত্মবে রূপ দেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে উন্নয়নশীল বিশ্বের উন্নয়ন সহযোগী 'ডেভেলপমেন্ট ফোরাম'।
সংস্থাটি সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাসত্মবে রূপদান ছাড়াও এ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরও প্রয়োজনীয় পদপে গ্রহণের জন্য ঢাকায় দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে। ডেভেলপমেন্ট ফোরামের ঢাকা কার্যালয় (বিডিএফ) আগামী ১৫ ও ১৬ ফেব্রম্নয়ারি এ সম্মেলনের আয়োজন করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। সংশিস্নষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বর্তমান সরকার মতায় আসার পর তাদের নির্বাচনী ইশতেহার 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' গড়ার ঐকানত্মিকতা সংগঠনটির আগ্রহ সৃষ্টি করে। তাই সরকার মতায় আসার পরই ডেভেলপমেন্ট ফোরামের উর্ধতন কর্মকর্তাদের পৰে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলে ফোরামের এ আগ্রহের কথা জানানো হয়। একই সঙ্গে ওই ফোরাম প্রথমে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপরেখা এবং বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে উন্নয়ন কৌশল, সুশাসন, মানব সম্পদ উন্নয়ন, জ্বালানি, বিদু্যত, খাদ্য নিরাপত্তা, পানি সম্পদ, কৃষি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে প্রয়োজনীয় সিদ্ধানত্ম ওই দু'দিনের সম্মেলনে গ্রহণ করা হবে। সম্মেলনের প্রতিটি সেশনের সভাপতিত্ব করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
জানা যায়, এবারের সম্মেলনে সরকারের সঙ্গে ডেভেলপমেন্ট ফোরামের প্রতিনিধিদের বেশ কয়েকটি গুরম্নত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হবে। যেখানে সুনির্দিষ্টভাবে এবার কোন কোন েেত্র বা কোন খাতে তারা বাংলাদেশকে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা বা অনুদান দেয়া হবে তা নির্ধারণ করা হবে। তাছাড়া এবার অন্যান্য বারের মতো বাংলাদেশের বাছাই করা প্রকল্প অনুযায়ী নয়, এবার তারা তাদের নিজস্ব চাহিদা অনুযায়ী প্রকল্প বাছাই করে সহায়তা প্রদান করা হতে পারে। এতে ডিজিটাল বাংলাদেশ তাদের সবচেয়ে আকাঙ্ৰিত প্রকল্প বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাসত্মবায়নে কি কি পদপে বা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সে সম্পর্কে সবিসত্মারে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেেেছ। সূত্র মতে, ডেভেলপমেন্ট ফোরাম এ কাজে বাংলাদেশ কতটুকু এগিয়েছে বা প্রকল্প বাসত্মবায়ন করতে কি কি প্রয়োজন হতে পারে তা দাতারাই ঠিক করে সঠিকভাবে ওই প্রকল্পটি বাসত্মবায়নের পদপে নিতে পারে।
সূত্র জানায়, কয়েক বছর পর পর বাংলাদেশের সঙ্গে ডেভেলপমেন্ট ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও এবারের বৈঠকের রয়েছে আলাদা গুরম্নত্ব এবং ধরন। এবার বৈঠকের ফাঁকে ডেভেলপমেন্ট ফোরামের নেতারা এ দেশের উলেস্নখযোগ্য কয়েকটি প্রকল্প পরিদর্শন করতে পারেন। এর মধ্যে অন্যতম হতে পারে পদ্মাসেতু প্রকল্প। এ ছাড়াও ফোরাম স্থলে ছোট ছোট স্টলের ব্যবস্থা করা হতে পারে বলে জানা গেছে। এসব স্টলে সবচেয়ে বেশি গুরম্নত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরা হবে। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। এতে অত্র অঞ্চলের মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র প্রদর্শনী করা হতে পারে।
সুত্র আরও জানায়, উন্নয়ন সহযোগীর প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি, বেসরকারীকরণ, শিল্পনীতি, পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ, ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ গ্রহণ, ভতর্ুকি, এডিপি বাসত্মবায়ন, মুদ্রানীতি সরকারী বেসরকারী অংশীদারিত্বসহ (পিপিপি) আরও অনেক বিষয় নিয়ে দাতারা আলোচনায় বসতে পারেন।
প্রসঙ্গত, দেশের উন্নয়নে গৃহীত যেসব প্রকল্প বিদেশী সাহায্যে বাসত্মবায়ন করা হতো সেসব প্রকল্পের জন্য আগে প্যারিসে বাংলাদেশ সমরকার প্রতিনিধি এবং দাতা প্রতিনিধিদের 'এইড' গ্রম্নপের সভা অনুষ্ঠিত হতো। তবে পরবর্তীতে দুই বছরের মধ্যে একবার দেশে বৈঠক অনুষ্ঠানের সিদ্ধানত্ম গ্রহণ করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.