বন্যায় বিপর্যস্ত অস্ট্রেলিয়া-উদ্ধারের আশায় প্রহর গুনছে হাজারো মানুষ

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড প্রদেশে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। হাজার হাজার দুর্গত মানুষ উদ্ধারের আশায় প্রহর গুনছে। ইতিমধ্যে উদ্ধারকাজ শুরুও হয়েছে।
কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এ বন্যায় দুই লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড গতকাল শুক্রবার দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যান।
কুইন্সল্যান্ড প্রদেশের প্রধানমন্ত্রী আনা ব্লাই জানান, বন্যায় ফ্রান্স ও জার্মানির আয়তনের চেয়েও বেশি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্রায় ১১ হাজার মানুষের আবাসস্থল এমার‌্যাল্ড শহরের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এ ছাড়া রকহ্যাম্পটন শহরের মানুষও বড় ধরনের ঝুঁকিতে আছে। কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুর্গত এলাকার বড় একটি অংশের মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়বে।
রকহ্যাম্পটনের মেয়র ব্র্যাড কার্টার বলেন, 'পুলিশ দুর্গত মানুষকে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে শিগগিরই নির্দেশ দেবে। বন্যার কারণে এখানে চার হাজার বাড়ি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।'
কর্মকর্তারা জানান, আশপাশের নদীতে পানি বাড়তে থাকায় কুইন্সল্যান্ডের প্রায় ২২টি শহর প্লাবিত হয়েছে। পার্শ্ববর্তী নোগোয়া নদীর পানির স্তর অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় গতকাল এমার‌্যাল্ডের এক হাজার ২০০ বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। ইতিমধ্যে নোগোয়ার পানি প্রায় ৫২ ফুট বেড়েছে। উদ্ধার তৎপরতায় হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে। কুইন্সল্যান্ডে রেডক্রসের নির্বাহী পরিচালক গ্রেগ গোয়েবল জানান, বন্যায় শহরের ৮০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কুইন্সল্যান্ডের ছোট দুটি শহর থিওডর ও কন্ডেমাইনের সব বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
গিলার্ড গতকাল বন্যাদুর্গত বান্ডেবার্গ ও রকহ্যাম্পটন শহর পরিদর্শনে যান। এরপর তাঁর এমার‌্যাল্ডে যাওয়ার কথা। ব্যান্ডেবার্গে চার হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। তবে এখানে পানি কমতে শুরু করেছে। গিলার্ড বলেন, 'বন্যা মোকাবিলায় সরকার সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নেবে।'
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বন্যা কাটিয়ে উঠতে অস্ট্রেলিয়ার কয়েক শ কোটি ডলার খরচ হবে। বন্যায় পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জনস্বাস্থ্য হুমকিতে পড়েছে। সূত্র : বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.