১/১১ ছিল অনিবার্য

এক এগারো" অনাকাঙ্ৰিত কিন্তু অনিবার্য ছিল। "এক এগারো" নিয়ে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা সাবেক চারদলীয় জোট সরকারের অদূরদর্শিতার জন্যই এক এগারোর উদ্ভব এবং সে সময়কার প্রেৰাপটে দেশের প্রতিরা বাহিনীর ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়াকে মানুষ স্বাগত জানিয়েছিল বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন।
যে কারণে, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে দেশের সাধারণ মানুষ থেকে আলাদা করে না দেখারও আহ্বান জানানো হয়। দেশকে ভালবাসতে পারা এবং তার প্রমাণ রাখাটাই বড় কথা উলেস্নখ করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে পুনরায় গণতন্ত্রের পুনর্প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনীর কৃতিত্বকে অস্বীকার করার মানে ইতিহাসকে অস্বীকার করা হবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ডিআরইউ'র গোলটেবিল লাউঞ্জে নাগরিক ফোরাম বাংলাদেশের উদ্যোগে 'ফিরে দেখা ১/১১' শিরোনামে গোলটেবিল আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয়।
অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, "এক এগারো" অনাকাঙ্ৰিত কিন্তু অনিবার্য ছিল। চারদলীয় জোট সরকারের অবিবেচনাপ্রসূত কর্মকা- দেশকে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখে ঠেলে দেয়; যা থেকে পরিত্রাণ পাবার জন্য সেনাবাহিনীর হসত্মৰেপ যেন সময়ের প্রয়োজন হিসেবে দেশবাসীর কাছে ধরা দেয়। সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ওয়ালিউর রহমান বলেন, নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে সর্বজন গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান ছিল সত্যিকার অর্থেই বিরাট চ্যালেঞ্জ। সেনাবাহিনী দেশের প্রয়োজনকে অনুভব করে সেই গুরম্নদায়িত্ব যথাযথ পালন করায় তাদের ভূমিকা ইতিহাসের উলেস্নখযোগ্য অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত থাকবে।
আলোচনায় বক্তারা নাম উলেস্নখ না করে জনৈক ব্যারিস্টারের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, সে সময় সকল প্রকার রাষ্ট্রীয় সুবিধা নেয়া থেকে শুরম্ন করে রাজনীতিবিদদের বিরম্নদ্ধে মিডিয়ায় নিয়োমিত বিষোদগার করা ছাড়াও দুই নেত্রীর মধ্যে সমঝোতার উদ্যোগও তিনি নিতে গিয়েছিলেন। অথচ, আজ তার মুখে এক এগারোর তীব্র বিরোধিতার সুর। ১/১১-এর প্রোপটকে পুঁজি করে অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়া ব্যক্তিদের চিহ্নিত এবং সাজাও দাবি করা হয়। নাগরিক ফোরামের আহ্বায়ক অমিত কুমার উকিলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর (অব) নোমানী, মেজর জেনারেল (অব) রশীদ এবং ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।

No comments

Powered by Blogger.