অষ্টম শ্রেণীর সমাপনী পরীৰার সনদ যেন কাজে প্রবেশের যোগ্যতার সনদ হয়- স্বদেশ রায়

প্রাথমিক স্কুল সমাপনী পরীৰার পরে সরকার অষ্টম শ্রেণীতে সমাপনী পরীৰার সিদ্ধানত্ম নিয়েছে। এখানেও বৃত্তি পরীৰার পরিবর্তে সমাপনী পরীৰা হবে। পত্রপত্রিকায় যে খবর প্রকাশিত হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে একই আদলে এ পরীৰা হবে।

  1. প্রাথমিক সমাপনী পরীৰা নেবার সিদ্ধানত্ম নিলে এর পৰে-বিপৰে অনেক কথা হয়। বিশেষ করে শিশু বিশেষজ্ঞ এবং শিশু মনোবিজ্ঞানীদের একাংশ এই পরীৰার বিরম্নদ্ধে ছিলেন। পরীৰার বিরম্নদ্ধে ছিলেন একশ্রেণীর অভিভাবকরা। তবে শেষ অবধি সকলে মনে করেছেন, না পরীৰা নিয়ে ভাল হয়েছে। অনত্মত দেশব্যাপী ছাত্রছাত্রীরা প্রাথমিক পর্যায়ে কেমন পড়াশোনা করছে তার একটি ধারণা পাওয়া গেছে। এই ধারণা ভবিষ্যতে প্রাথমিক বা শিশু শিৰা নিয়ে অধিকতর প্রয়োজনীয় সিদ্ধানত্ম নিতে সহায়ক হবে। এর সঙ্গে সঙ্গে এটাও বলা যায়, যতদিন আমরা প্রকৃত শিশু শিৰার ব্যবস্থা করতে না পারছি, শিশুদের শিৰা দেবার মতো ব্যাপকসংখ্যক যোগ্য শিৰক গড়ে তুলতে না পারছি ততদিনে এ পরীৰা মন্দ নয়। বরং ভালই। তবে শিশুদের প্রকৃত শিৰা দিতে হলে শুধু এই পরীৰা কোন কাজে আসবে না। পরীৰা, বইয়ের বোঝা_ এ সব ছাড়িয়ে শিশুদের জ্ঞান উন্মেষের রাজত্বে নিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্য প্রাথমিক শিৰা দিবসে দেয়া তাঁর ভাষণে এর একটি ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গাদা গাদা বই পড়ালে শিশুদের শিৰা হয় না। বাসত্মবে একটি উদ্ভিদকে যেমন পাথর চাপা দিয়ে সামান্য অঙ্েিজনের ব্যবস্থা করলে ওই উদ্ভিদটির যে অবস্থা হয় নিরস পাঠ্যবইয়ের চাপে শিশুদের অবস্থা তার থেকে বেশি কিছু হয় না। তবে শুধু কি বই কমিয়ে ফেললে চলবে? বই কমিয়ে তাদের কি শেখানো হবে? তথ্যপ্রযুুক্তির যুগে, বিশ্বায়নের যুগে গভীর দারিদ্র্য ও সীমাহীন অশিৰা ও নিম্নমানের শিৰিতদের নিয়ে কীভাবে একটি যুগোপযোগী শিশু শিৰা ব্যবস্থা গড়ে তোলা যাবে_ এ নিয়ে অনেক ভাবনার প্রয়োজন। কারণ, পাঠ্যবই কমালেও শিশুকে বই ও প্রযুক্তিমুখী করতে হবে। তাই তাদের জন্য আনন্দদায়ক বই ও প্রযুক্তি প্রয়োজন। আমাদের নিজস্ব ভাষায় সে বইয়ের রয়েছে প্রচুর অভাব। অন্যদিকে বর্তমানে নিজস্ব ভাষাতে ওই পর্যায়ের লেখকের অভাব রয়েছে। এ কারণে প্রয়োজনীয় এ বই তৈরির জন্য ভিন্ন পথ খোঁজা ছাড়া আমাদের হাতে বিকল্প পথ আছে বলে মনে হয় না। অন্যদিকে এখন দেখা যাচ্ছে অনেক দেশের শিশুরা তাদের ভাষার বইয়ের বাইরে এসে দ্রম্নত অন্য ভাষার বইয়ের কাছে যেতে পারে। শিশুদের সেই সুযোগ করে দেবার জন্য অন্য ভাষা শেখানো হয়, যা তাদের ভবিষ্যত জীবনকে প্রশসত্ম করে দেয়। তাছাড়া এখন বইয়ের পাশাপাশি ভিজুয়াল মাধ্যম এসেছে নানান ফর্মে। তাই প্রাথমিক শিৰায় শতকরা কতভাগ ভিজুয়াল মাধ্যম প্রয়োগ বা ব্যবহার করা যায় এ নিয়েও সিদ্ধানত্ম নেবার প্রয়োজন আছে। আমাদের সীমাহীন দারিদ্র্য আছে, গ্রামীণ অর্থনীতি খুবই দুর্বল, সমাজ কাঠামোতে আর্থিক শ্রেণী বিভাগ অনেক বেশি। তবে এসব সমস্যা সঙ্গে নিয়েই ভবিষ্যতকে সুন্দর করার জন্য, জাতিকে উন্নত করার জন্য শিশু শিৰার এসব বিষয় নিয়ে সিদ্ধানত্ম নেবার প্রয়োজন। আর শিশুদের শিৰার ৰেত্রে আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যদি এসব সিদ্ধানত্ম নেয়া যায়, তাহলে হয়ত কোমলমতি শিশুদের পরীৰার নিগড়ে বাধার দরকার পডবে না। বরং সহজে তারা দৰ হয়ে উঠতে পারবে। এৰেত্রে অবশ্য দুইজনের দু'টি কথা সামনে চলে আসে। যেমন তৎকালীন ভারতীয় শিৰা নিয়ে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, আমরা স্কুলের শিৰক যোগাড় করার আগে চেয়ার বেঞ্চ যোগাড়ে মনোযোগী হই। ঠিকই একই কথা বলেছেন, বর্তমান বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় চালুর হিড়িক দেখে প্রফেসর আনিসুজ্জামান। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনীয় শিৰক তৈরির আগে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় চালু করে দিচ্ছি। শিৰা প্রতিষ্ঠানের মূল বা প্রাণশক্তি যে পরীৰা পদ্ধতি বা দালানকোঠা নয়, শিৰক সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ নিজে স্কুল করতে গিয়ে। তিনি ভাগ্যবান ৰিতি মোহন সেনকে পেয়েছিলেন। ৰিতিমোহন সেন কোন জাতিতে হাজার হাজার থাকেন না। তবে এটা ঠিক যে, ৰিতিমোহন সেন না হোক অনত্মত ভাল মাপের শিৰক তৈরি করতে হবে। তাই বাংলাদেশে শিশু শিৰার মান যদি বিশ্ব পর্যায়ে নিতে হয় তাহলে কিন্তু পরীৰা বাড়ানো কমানোর থেকে অনেক বেশি প্রয়োজন এ মুহূর্তে প্রাথমিক পর্যায়ে শিৰক গড়ে তোলা। এ কাজ গুলো যে সময়সাপেৰ এ নিয়ে কারও কোন দ্বিমত নেই। তবে এটা ঠিক এগুলো দ্রম্নত শুরম্ন করা প্রয়োজন। এ কাজ শুরম্ন হতে যত দেরি হবে ততই বিশ্বায়নের এই পৃথিবীর উন্নয়নের ট্রেন থেকে আমরা পিছিয়ে পড়ব। নতুন প্রজন্ম বা আগামী প্রজন্মকে যে কোন মূল্যে বিশ্বমানের না করতে পারলে উন্নয়নের ট্রেনের যাত্রী হিসেবে টিকে থাকার কোন পথ নেই। তাই প্রাথমিক স্কুল সমাপনী পরীৰা থেকেও অনেক জরম্নরী এ কাজগুলো শুরম্ন করা।
  2. এই প্রসঙ্গ ধরেই বলা যেতে পারে, অষ্টম শ্রেণীতে যে সমাপনী পরীৰা নিতে যাচ্ছে সরকার এ নিয়ে বেশ কিছু বিষয় ভাবার ও সিদ্ধানত্ম নেবার আছে। কেবল অষ্টম শ্রেণীর বৃত্তির বদলে একটি সমাপনী পরীৰা বা অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীর শিৰা, পরিসংখ্যান এ বিষয়ে একটি ধারণা নেবার জন্য এই পরীৰা নেবার প্রয়োজন হতে পারে না। অষ্টম শ্রেণীর পরীৰা যাতে একটি প্রয়োজনীয় পরীৰা হয় সেজন্যই এ পরীৰা নিতে হবে। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীর বয়স তের থেকে চৌদ্দ বছর। এ বয়স নিঃসন্দেহে একটি প্রয়োজনীয় পরীৰা দেবার বয়স। তাছাড়া অষ্টম শ্রেণী অর্থাৎ আট বছর একজন ছাত্র বা ছাত্রী একটি নির্দিষ্ট ডিসিপিলিনের ভিতর দিয়ে পার হয়ে আসে। যার ফলে সে একটি প্রয়োজনীয় পরীৰা দেবার উপযুক্ত হবে। তাছাড়া আরও কিছু বিষয় এখন শিৰা ও কর্মৰেত্রসহ সব ৰেত্রে ভেবে দেখা দরকার। কারণ, বর্তমানে পৃথিবী যে সময়টি পার করছে এটা প্রযুক্তির সময়। তথ্য এবং প্রযুক্তির যে চরম উৎকর্ষ সময় মানুষ একদিন কল্পনা করেছিল_ বলা যেতে পারে বর্তমান পৃথিবী সেখানে পেঁৗছে গেছে। এ ৰেত্রে মানুষের জন্য আরও বেশি আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে বর্তমান প্রযুক্তির চরিত্র। বর্তমানে গোট পৃথিবী যে প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ করছে এই প্রযুক্তি মানুষ শৈশব থেকে শুরম্ন করে বাল্য ও কৈশোরে দ্রম্নত আয়ত্ত করতে পারে। প্রযুক্তির এই চরিত্রের কারণে এখন পৃথিবীতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ৰেত্রে সাধারণ কর্মী থেকে শুরম্ন করে নির্বাহীর বয়স কমে এসেছে। অধিকাংশ শিৰার মূল উদ্দেশ্য মানুষকে কাজের উপযোগী করে তোলা। তাই সব দেশেরই শিৰানীতে এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হয়, শিৰার এক একটি সত্মর শেষে যেন একটি শ্রেণী কোন না কোন কাজে প্রবেশ করতে পারে। অন্যদিকে সবধরনের কাজে যাবার জন্য শিৰার যে সত্মরকে ধরা হয় ওই গ্রাজুয়েশন করার বয়সটিও কাজের ৰেত্রের সঙ্গে মিলিয়ে ধরা হয়। বর্তমানে শিৰা তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর হওয়াতে এ ৰেত্রে অনেক দেশ পুনর্বিবেচনা করছে। তারা গ্রাজুয়েশনের জন্য শিৰাবর্ষের সংখ্যা কমিয়ে এনেছে। যাতে কম বয়সে গ্রাজুয়েশন করতে পারে। এবং কর্মৰেত্রে প্রবেশ করতে পারে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ১৬ থেকে ১৭ বছরের ভিতর অনেকে গ্রাজুয়েশান করছে। এবং যথেষ্ট গুরম্নত্বপূর্ণ দায়িত্বে প্রবেশ করছে। তাছাড়া এখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এটাও দেখা যাচ্ছে, প্রযুক্তিনির্ভর কাজ করছে কিশোর বা তরম্নণরা। তারা অনেক ভালও করছে। বাংলাদেশেরও কর্মৰেত্র ও শিৰা ব্যবস্থায় এ বিষয় অনেক বেশি গুরম্নত্বের সঙ্গে নেয়া দরকার। কারণ, এটা ভুললে চলবে না আমাদের মূল সম্পদ জনসম্পদ ও পানিসম্পদ। এ দুটোই এখন আমাদের জন্য সমস্যা। কিন্তু ভবিষ্যতে এ দুইকে কাজে লাগিয়েই আমাদের উন্নত হতে হবে। তাই আমাদের শিৰা ব্যবস্থার ভিতর এ বিষয়টি নিয়ে আসতে হবে যেন বর্তমানের থেকে কম বয়সে শিৰা শেষে কাজে প্রবেশ করতে পারে। এবং শিৰার প্রাথমিক একটি সত্মর ঠিক করা দরকার যেখানে কম বয়স থেকে কাজে প্রবেশের অধিকার অর্জন করা সম্ভব। আর এটা যদি বারো বা তের হয় হলেও সঠিক। এ হিসেবে সরকার বর্তমানে অষ্টম শ্রেণীতে যে সমাপনী পরীৰার সিদ্ধানত্ম নিয়েছে এই পরীৰাই হতে পারে কাজে প্রবেশের প্রথম সত্মর। এই পরীৰার সনদপত্র যাতে বিভিন্ন কাজের ৰেত্রে প্রবেশ অধিকার দেয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
  3. তবে শুধু আইন করে কাজের ৰেত্রে প্রবেশ অধিকার কখনই নিশ্চিত করা যায় না। এখানে প্রয়োজন শিৰার ওই সত্মর পর্যনত্ম পেঁৗছানোর পরে বা ওই সত্মর পাস করার পরে সে যেন আসলে একটি বিশেষ মানের কোন না কোন কাজের যোগ্য হয়। বর্তমানের তথ্যপ্রযুক্তি থেকে শুরম্ন করে প্রযুক্তিনির্ভর বা প্রযুক্তি সংক্রানত্ম বহু কাজ আছে যার ব্যবহারিক প্রয়োজনের কাজ করতে তিন থেকে চার বছরের সাধারণ ডিসিপিলিনই যথেষ্ট। তাই চার বছরে মোটামুটি ভাষা ও গণিত শেখা ও চার বছর অন্য শিৰার সঙ্গে প্রযুক্তির ব্যবহারিক শিৰা নিয়ে অনেকেই এ সব ব্যবহারিক কাজে ঢুকে পড়তে পারে। এবং এই কাজের সুযোগ শুধু দেশে নয়, বিদেশেও রয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিৰা ছাড়া এই বয়েসের অনেকেই কিন্তু নানাভাবে এ সব কাজে এখন ঢুকে পড়ছে। তাই অষ্টম শ্রেণী অবধি যদি শিৰার বিষয়বস্তু সেভাবে সাজানো হয় তাহলে অষ্টম শ্রেণী পাস করে এ সুযোগ নিতে আরও বেশি সুবিধা হবে।
  4. সরকার যে মুহূর্তে অষ্টম শ্রেণী সমাপনী পরীৰা নিতে যাচ্ছে এ সময়ে এ বিষয়টি সকলের ভেবে দেখা দরকার। কারণ, শুধু পরীৰা নেবার জন্য একটি পরীৰা নিয়ে কোন লাভ নেই। বরং এই পরীৰাটি যদি কাজে প্রবেশে বা কোন বিশেষ শিৰায় প্রবেশের একটি সত্মর অর্জনের হয় সেটাই হবে সঠিক সিদ্ধানত্ম। এছাড়া বর্তমান শিৰানীতিতে অষ্টম শ্রেণীর পরে নানান ডিসিপিলিনে যাবার একটি গাইড লাইন আছে। এই গাইড ্লাইনের আলোকে বিষয়টি নিয়ে আরও বাসত্মবসম্মত হওয়া দরকার। কারণ, অষ্টম শ্রেণী সত্মরে এসে কোন মতেই শুধু যাচাই-বাছাই এর জন্য একটি পরীৰার সত্মর হতে পারে না। এ পরীৰাটিকে অবশ্যই একটি প্রয়োজনীয় পরীৰায় পরিণত করতে হবে। এই পরীৰার সনদ যেন ছাত্রছাত্রীকে বিভিন্ন পেশা ও শিৰায় প্রবেশ অধিকার দেয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
  5. বর্তমানের শিশু, বালক ও কিশোরদের চরিত্র বিশেস্নষণ করেও কিন্তু এমনি কিশোর বয়সের জন্য সিদ্ধানত্ম নেবার, কাজে প্রবেশ করার বা নির্দিষ্ট কোন ডিসিপিলিনে পড়াশোনা করার এ সত্মরটি তৈরি করা দরকার। কারণ, বর্তমানের শিশু, কিশোর বা তরম্নণরা অনেক বেশি অগ্রসর। তারা কম বয়স থেকে নানান মাধ্যমে তথ্য, উপাত্ত যেমন আয়ত্ত করে তেমনি কর্মদৰ হবার সুযোগ পায়। তাছাড়া আরও একটি বিষয় এদের ৰেত্রে লৰ্য করা যায়, আগের দিনের যে কোন কিশোর বা তরম্নণের থেকে এরা অনেক বেশি ক্যারিয়ার সচেতন। তাই বর্তমানের কিশোর বা তরম্নণদের চরিত্রের সঙ্গে মিলিয়ে পরীৰার এ সত্মরটির কথা ভাবা যেতে পারে। আমাদের যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেন, যারা রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য নির্বাচিত হন, তাঁরা নিশ্চয়ই খেয়াল করেন তাদের নির্বাচনের সময় বিপুল সংখ্যক কিশোর নির্বাচনী কর্মকা-ে অংশ নেয়। এদের কারও বয়স ১৮ হয়নি। তারা শেষ অবধি ভোট দিতে পারে না। কিন্তু তাদের কাজ, তাদের সিদ্ধানত্ম, তাদের আচরণ প্রমাণ করে তারা রাজনৈতিক সিদ্ধানত্ম নেবার যোগ্য। যারা রাজনৈতিক সিদ্ধানত্ম নিতে পারে, নির্বাচনের প্রশ্নে সিদ্ধানত্ম নিতে পারে তারা কর্মৰেত্রেও প্রবেশ করতে পারে। এজন্য এই কিশোরদের সপৰে , তাদের শিৰার সপৰে এই রাজনৈতিক সিদ্ধানত্ম রাজনৈতিক সরকারকেই নিতে হবে।
  6. ংধিফবংযৎড়ু@মসধরষ.পড়স

No comments

Powered by Blogger.