শেয়ার ছাড়ার সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে ২৬ প্রতিষ্ঠানকে- সরকারী এ সব সংস্থার বাজাওে আসার সর্বোচ্চ সময় ৬ মাস

অর্থনৈতিক রিপোর্টার আগামী ছয় মাসের মধ্যে সরকারের ২৬টি প্রতিষ্ঠানকে শেয়ার ছাড়ার সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। শেয়ারবাজারে অপ্রয়োজনীয় মূল্য বৃদ্ধি রোধে লিস্টিং কোম্পানির সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ থেকে এ সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়।
বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ সিদ্ধানত্ম গ্রহণ করেন। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের সংপ্তি ব্রিফিংয়ে জানান, জাতীয় আয়ের ৩০ শতাংশ অর্থ রয়েছে শেয়ারবাজারে। এই বিশাল অঙ্কের টাকার সদ্ব্যবহার প্রয়োজন। এ জন্য শেয়ারবাজারে আইপিও বেশি পরিমাণ আসা দরকার। সরকারের অনেক প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। বিশেষ করে বিদু্যত, জ্বালানি, শিল্প, সেতু বিভাগ, যোগাযোগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ৩২টি প্রতিষ্ঠানের সংযোগ রয়েছে। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। তবে প্রত্যেকে শেয়ারবাজারে আসার মতো সকল প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়ে ৩, ৪ ও ৬ মাসের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শেয়ারবাজারে কোম্পানির তুলনায় টাকা বেশি। জাতীয় স্বার্থে আরও কোম্পানি থাকা দরকার। ২৬টি প্রতিষ্ঠানের সম্পদ পূর্ণ বণ্টন করা হবে কিনা সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেশিরভাগ সরকারী প্রতিষ্ঠানের সম্পদ পূর্ণ বণ্টন হয়েছে। সরকারী অনেক কোম্পানি শেয়ার ছাড়তে চায় না। এটা নির্বুদ্ধিতার পরিচয়। বাজারে শেয়ার ছাড়া হলে কোন তি নেই কোম্পানির জন্য। আরও ভাল। শেয়ারবাজারে মনোপলি হচ্ছে এমন অভিযোগের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী উত্তর না দিয়ে বলেন, পুঁজিবাজার ব্যাপক বিসত্মৃত হয়েছে। কিন্তু সে অনুযায়ী কেনাকাটা কম হচ্ছে। ইউনিলিভারকে বাজারে নিয়ে আসা হবে কিনা জানতে চাইলে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বাজারে আসার সিদ্ধানত্ম নেয়ার ব্যাপারে তাদের সময় দেয়া হয়েছে।
সূত্র মতে, ২০০৫ সালে সরকারের ৬২টি প্রতিষ্ঠানকে শেয়ারবাজারে নিয়ে আসার পরিকল্পনা নেয়া হয়। পরে কাটছাঁট করে সেখান থেকে নেমে ৩৮-এ আনা হয়। বর্তমানে ৬টি সরকারী প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারে রয়েছে। বাকি ৩২টি থেকে বাছাই করে ২৬টি প্রতিষ্ঠানকে শেয়ারবাজারে নিয়ে আসার সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়।

No comments

Powered by Blogger.