পদ্মশ্রী ঝর্ণাধারা চৌধুরী- অভিনন্দন ও শুভকামনা

ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রী। ভারতরত্ন, পদ্মবিভূষণ ও পদ্মভূষণের পরই পদ্মশ্রী পদকের অবস্থান। রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান হলেও শুধু ভারতীয়রা নন, ভিনদেশিরাও এসব সম্মানে ভূষিত হন। তবে ঝর্ণাধারা চৌধুরীই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে পদ্মশ্রী পুরস্কার পেলেন।
তিনি এ সম্মান পেলেন সমাজকর্মে বিশেষ অবদানের জন্য। নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগে প্রতিষ্ঠিত গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ট্রাস্টের হয়ে মানবসেবা করছেন বহু দশক ধরে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেও রেখেছেন অনন্য অবদান। পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর হাত থেকে আশ্রমের শিশুদের রক্ষা করে তিনি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। শরণার্থী শিবিরেও সেবামূলক কাজে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। এবারের পদ্ম পুরস্কারে বাঙালির জয়জয়কার। শনিবারের আনন্দবাজার জানাচ্ছে, এবার মোট আটজন বাঙালি পদ্ম পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। একমাত্র বিদেশি হিসেবে যিনি পুরস্কার পেলেন তিনিও একজন বাঙালি। একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে থেকে নিভৃতে মানবসেবা করেও যে এমন সম্মান অর্জন করা যায়_ তা ঝর্ণাধারা চৌধুরী প্রমাণ করলেন। তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ইতিমধ্যে বাংলাদেশেও অনেক স্বীকৃতি ও সম্মান লাভ করেছেন। এর আগেও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। নারীদের অগ্রগতির জন্য তিনি নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। পদ্মশ্রী পাওয়ার পর তিনি জানিয়েছেন, এ পুরস্কার বাংলাদেশের সবার ও নারী সমাজের। ঝর্ণাধারা চৌধুরী সেবার অনন্য আদর্শ স্থাপন করে ইতিমধ্যে একজন আইকনে পরিণত হয়েছেন। পদ্মশ্রী অর্জনের পর যারা তাকে জানতেন না, তারাও আগ্রহী হয়েছেন। এ আগ্রহ থেকে অনেকেই হয়তো মানবসেবার মহান ব্রত অবলম্বন করে এগিয়ে আসবেন। তার অনুপ্রেরণা দেশের মানুষকে কাজে নামতে উৎসাহিত করলে সেটিই হবে সবচেয়ে খুশির কথা। মহান এই সেবাব্রতীর প্রতি রইল আমাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

No comments

Powered by Blogger.