প্রসাধনী প্রতিষ্ঠানকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা
শিবানিজ অ্যারোমাকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই নামে ত্বক ফরসা করার ক্রিম, পাউডার, বডি লোশন, ফেসওয়াশ বাজারে পাওয়া যায়।
গতকাল সোমবার একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত রাজধানীর সাতারকুলে এসব প্রসাধন উৎপাদক প্রতিষ্ঠান কেয়ার অ্যান্ড কিউর ইন্টারন্যাশনালে অভিযান চালিয়ে জব্দ করে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল। অনুমোদন ছাড়া বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মানচিহ্ন (লোগো) ব্যবহারের অভিযোগে আদালত বিএসটিআই অধ্যাদেশ, ২০০৩-এর ১৯, ২৪ ও ৩২ ধারায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক রবীন্দ্র দেব ও কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসানকে চার মাসের কারাদণ্ড দেন। ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়।বিএসটিআই, ঢাকা জেলা প্রশাসন এবং মহানগর পুলিশের উদ্যোগে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এর নেতৃত্বে ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম মো. সেলিম হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর খাদ্য ও পণ্য উৎপাদনের বিরুদ্ধে এই অভিযান নিয়মিত চলবে।
অভিযানে থাকা বিএসটিআইয়ের পরিদর্শক মো. শহীদুল ইসলাম জানান, প্রতিষ্ঠানটির কারখানায় ক্ষতিকারক হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড, হাইড্রোকুইনান ও ব্লিচিং পাউডার পাওয়া যায়। এসব দ্রব্য ব্যবহার করেই তৈরি করা হয় প্রসাধন সামগ্রী, এটা স্বীকার করছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, সারা পৃথিবীতে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের ব্যবহার এখন নিষিদ্ধ। এটি ক্যানসার তৈরি করে। তিনি বলেন, হাইড্রোকুইনান ব্যবহারের ত্বকে সাময়িকভাবে সাদাটে ভাব দেখা যায়। কিন্তু এর ব্যবহারে ত্বকের কোষ গঠনের পরিবর্তন ঘটে। এ পর্যায়ে ত্বকের মধ্যে সাদা দাগ পড়ে যায়। ক্যানসারের পাশাপাশি যকৃৎ ও কিডনির জন্য এটা খুবই ক্ষতিকর।
No comments