বিএনপির দৃষ্টিতে প্রধানমন্ত্রীর সফর পুরো ব্যর্থ- কাল বক্তব্য রাখবেন খালেদা জিয়া

 প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর শতভাগ ব্যর্থ হয়েছে বলে মনত্মব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে দাবি করেছেন, তাঁর ভারত সফর নাকি শতভাগ সফল হয়েছে।
কিন্তু আমাদের দৃষ্টিতে প্রধানমন্ত্রীর সফর সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। দেশের স্বার্থে কোন অর্জন লৰ্য করা যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর সফর ও তিনটি চুক্তি করায় ভারত লাভবান হয়েছে। তিনটি চুক্তি ও দুইটি সমঝোতাস্মারক করায় বাংলাদেশের জনগণ উদ্বিগ্ন। দেশের কল্যাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী কিছুই আনতে পারেননি। এই চুক্তি অসম ও দেশবিরোধী। এই চুক্তিতে দেশের অপূরণীয় ৰতি হয়েছে বলে মনত্মব্য করেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর ও তাঁর বক্তব্যের জবাব শনিবার দেবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন। সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমরা সব সময় সংসদ অধিবেশনে যেতে প্রস্তুত আছি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সংসদে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের দলের সংসদীয় সভা হবে। ওই সভায় সিদ্ধানত্ম হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে দেশবাসী উপকৃত হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাব দেবেন আমাদের নেত্রী বেগম জিয়া। কাল শনিবার সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে পারেন তিনি।
বুধবার রাতে গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির সদ্য নির্বাচিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ভারতের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করা ট্রানজিট, চট্রগ্রাম ও মংলা বন্দর, সন্ত্রাস দমন ও সংস্কৃতি বিনিময় সংক্রানত্ম চুক্তির বিরম্নদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। এই চুক্তির বিরম্নদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে রাজপথে আন্দোলনের কর্মসূচী দেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়। প্রথমদিকে সভা, সেমিনার, আলোচনাসভা, নগরীতে মিছিল, সমাবেশ, বিৰোভ, মানববন্ধন ও হরতাল কর্মসূচী পর্যনত্ম দেয়া হতে পারে। স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধানত্ম অনুযায়ী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ভারতে যেসব চুক্তি করেছেন তার নিন্দা জ্ঞাপন করেন বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরম্নল ইসলাম আলমগীর, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফজলুর রহমান পটল, শামসুজ্জামান দুদু, বিরোধী দলের চীফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারম্নক, সাংসদ শাম্মী আখতার, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ।
খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় করা তিনটি চুক্তিতে দেশের স্বার্থ রৰা হয়নি। তিনি বলেন, যে তিনটি চুক্তি হয় তাতে ভারতই লাভবান হয়েছে। এসব চুক্তির কারণে দেশের অপূরণীয় ৰতি হয়েছে। চুক্তিগুলোকে অসম ও দেশবিরোধী বলেও আখ্যায়িত করেন তিনি। উলেস্নখ্য, নবম জাতীয় সংসদে প্রথম অধিবেশনের পর বিরোধী দল বিএনপি আর যোগ দেয়নি। সংসদের পরিবেশ সৃষ্টিতে ইতোমধ্যে বিএনপি দশ দফা শর্ত দিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সংসদে যাওয়া সম্ভব নয়। সরকার পরিবেশ সৃষ্টি করলেই অধিবেশনে বিএনপি যাবে বলে জানান তিনি। হাইতিতে ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানি ও ৰয়ৰতিতে দুঃখ ও সমবেদনা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।

No comments

Powered by Blogger.