২ খুনীর রিভিউ আবেদন ১৯ জানুয়ারির মধ্যে- বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা

 জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার খুনী লে. কর্নেল (বরখাসত্ম) সৈয়দ ফারম্নক রহমান ও লে. কর্নেল (অব) মহিউদ্দিন আহমেদের (আর্টিলারি) আইনজীবী খান সাইফুর রহমান রিভিউ পিটিশন দাখিলের জন্য এখনও 'আপটুডেট না'। তিনি শেষ সময় ১৯ জানুয়ারির মধ্যেই দুই খুনীর জন্য রিভিউ পিটিশন দাখিল করবেন। বৃহস্পতিবার জনকণ্ঠকে তিনি এ কথা বলেছেন।
উলেস্নখ্য, কারাগারে আটক দ-িত পাঁচ খুনীর মধ্যে এখন পর্যনত্ম তিনজন রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে। মেজর (অব) বজলুল হুদা এবং লে. কর্নেল (অব) একেএম মহিউদ্দিনের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুলস্নাহ আল মামুন ১১ জানুয়ারি আপীল বিভাগের সংশিস্নষ্ট মোশনে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছেন। অপর খুনী লে. কর্নেল (অব) সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খানের আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান ১২ জানুয়ারি রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছেন। এখন মাত্র ২ খুনীর পৰে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়নি।
রাষ্ট্রপতির কাছে ৰমাভিৰা আবেদনকারী বঙ্গবন্ধুর খুনীদের রিভিউ পিটিশন দাখিলের পর তা শুনানির জন্য ২৪ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছে চেম্বার বিচারপতি মোঃ মোজাম্মেল হোসেন। এর মধ্যে ৫টি আবেদনপত্র জমা পড়লে একই সঙ্গে শুনানি হবে। একটি সূত্র জানায় ২৪ জানুয়ারিতেই সিদ্ধানত্ম দেয়া হতে পারে। রাষ্ট্রপৰের প্রধান কেঁৗসুলি আনিসুল হক জানিয়েছেন, রিভিউ শুনানিতে বেশি সময় নেয়া হবে না। দ্রম্নততম সময়ের মধ্যেই শুনানি নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।
এর আগে বঙ্গবন্ধুর তিন খুনী মেজর (অব) বজলুল হুদা, লে. কর্নেল (অব) মহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি) ও লে. কর্নেল (অব) একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ (ল্যান্সার) রাষ্ট্রপতির নিকট প্রাণভিৰার আবেদন করে। এখনও অপর দুই খুনী লে. কর্নেল (বরখাসত্ম) সৈয়দ ফারম্নক রহমান ও লে. কর্নেল (অব) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান প্রাণভিৰার আবেদন করেনি। প্রাণভিৰার আবেদন নিয়ে ইতোমধ্যে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও রাষ্ট্রপতির প্রধান কেঁৗসুলি আনিসুল হক দু'ধরনের কথা বলেছেন।
এদিকে কারা সূত্রে জানা গেছে, তারা পাঁচ খুনীর রায় কার্যকর করতে প্রস্তুত। সব ধরনের আনুষঙ্গিক কাজ সমাধা হয়েছে। ফাঁসি দেয়ার জলস্নাদ থেকে শুরম্ন করে 'ম্যানিলা রোপ' ফাঁসি দেয়ার দড়িও সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। চূড়ানত্ম আইনী প্রক্রিয়া শষ হলেই পাঁচ আসামির রায় কার্যকর করা হবে। তবে কৌশলগত কারণে কারা কর্তৃপৰ আগেভাগে কিছু জানাবে না। রিভিউ শুনানি নিষ্পত্তি এবং রাষ্ট্রপতির ৰমা প্রার্থনার প্রক্রিয়া শেষেই রায় কার্যকর হবে। এৰেত্রে রিভিউ পিটিশন রিজেক্ট হলে, রাষ্ট্রপতি তাদেরকে (খুনী) ৰমা প্রদর্শন করবেন না বলে জানা গেছে। কারণ খুনীরা দেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ৰমতায় এসে বিচার প্রক্রিয়া শুরম্ন করে। সর্বশেষ আপীল বিভাগের রায়ে খুনীদের মৃতু্যদ- বহাল রয়েছে। ১২ খুনীর মধ্যে ৫ জন কারাগারে আটক রয়েছে। বাকি ৭ জনের মধ্যে ১ জন বিদেশে মারা গেছে। আর ৬ জন বিদেশে পলাতক অবস্থায় রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.