সাক্ষাৎকারে ডেভিড ক্যামেরন-ফকল্যান্ডস নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনে যুদ্ধে নামব

দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরীয় ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে প্রয়োজনে যুদ্ধ করতেও প্রস্তুত ব্রিটেন। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।
সম্প্রতি আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ক্রিস্তিনা ফারনান্দেজ কিরচনার এক খোলা চিঠিতে ফকল্যান্ডসের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিতে ব্রিটেনের প্রতি আহ্বান জানানোর পর বিষয়টি নিয়ে ব্রিটেনের অবস্থান স্পষ্ট করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
ব্রিটেন ১৮৩৩ সাল থেকে ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ শাসন করছে। নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে ১৯৮২ সালে আর্জেন্টিনা ওই অঞ্চলে হামলা চালালেও সফল হতে পারেনি। এ সময় থেকেই ব্রিটিশ সেনা মোতায়েন রয়েছে দ্বীপপুঞ্জে। আর্জেন্টিনাও এ অঞ্চলের দখল ফিরে পাওয়ার আশা ছাড়েনি।
বিবিসির অ্যান্ড্রু মার শো-তে গত রবিবার ক্যামেরনের সাক্ষাৎকারটি সম্প্রচার করা হয়। তিনি বলেন, ফকল্যান্ডসে ব্রিটেনের 'শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা' রয়েছে। দ্রুতগামী ব্রিটিশ বিমান ও সেনা মোতায়েন রয়েছে দ্বীপপুঞ্জে। ক্যামেরন বলেন, 'আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, সামরিক শক্তি ব্যবহার করে হলেও দ্বীপপুঞ্জের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে ব্রিটেন। পুরো বিষয়টির নিয়মিত প্রতিবেদন আসে আমার কাছে।'
এই দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে ব্রিটেন লড়াই করবে কি না প্রশ্ন করা হলে ক্যামেরন বলেন, 'অবশ্যই আমরা লড়ব।' তিনি জানান, অর্থনৈতিক মন্দার কারণে প্রতিরক্ষা খাতে বাজেটের ব্যাপক কাটছাঁটের পরও ফকল্যান্ডসের ব্যাপারে ব্রিটেনের আগ্রহ রয়েছে, 'বছরে সাড়ে তিন হাজার কোটি পাউন্ডের প্রতিরক্ষা বাজেট আমাদের। যা এখনো বিশ্বের প্রথম পাঁচটি প্রতিরক্ষা বাজেটের একটি।' এর আগে গত সপ্তাহে ক্যামেরন বলেন, ফকল্যান্ডসের প্রায় তিন হাজার অধিবাসীও ব্রিটেনের সঙ্গে থাকতে আগ্রহী।
গত বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান ও ইনডিপেনডেন্টে বিজ্ঞাপন দিয়ে এক খোলা চিঠিতে কিরচনার ফকল্যান্ডসের নিয়ন্ত্রণ আর্জেন্টিনার হাতে ছেড়ে দিতে ব্রিটেনের প্রতি আহ্বান জানান। ফকল্যান্ডসবাসী কাদের সঙ্গে থাকতে চায় তা জানতে আগামী মার্চে গণভোট হবে।
২০২০ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকতে চাই : ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চান ক্যামেরন। এর মধ্যে ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নসহ হাতে নেওয়া সংস্কার পদক্ষেপগুলোও শেষ করতে চান তিনি। ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গত রবিবার তিনি এ কথা জানান। এর মধ্য দিয়েই ২০১৫ সালে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ব্যাপারে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে মুখ খুললেন তিনি। সূত্র : এএফপি, দ্য সান।

No comments

Powered by Blogger.