হাইতিতে ওষুধ ও অন্যান্য সহায়তা পাঠানোর নির্দেশ

 ভূমিকম্পে হাইতিতে নিহতদের স্মরণে শোক প্রকাশের মধ্য দিয়ে শুরম্ন হয় মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের পৰ থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ওষুধ ও অন্যান্য সহযোগিতা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর পর ভারত সফর সফল হওয়ায় মন্ত্রিসভার পৰ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো হয়। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে হাইতিকে এই সহযোগিতা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকের শুরম্নতে ভয়াবহ ভূমিকম্প নিহত ও তাদের শোকসনত্মপ্ত পরিবারের প্রতি মন্ত্রিসভা থেকে শোক প্রকাশ করা হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে হাইতিকে ওষুধ ও অন্যান্য সহযোগিতা পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর পরই ভারত সফর সফল হওয়ায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা মনে করে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সফল হয়েছে। এই সফরে মোট পাঁচটি চুক্তি স্বাৰরিত হয়েছে। এতে দু'দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক প্রসার ঘটবে। উভয় দেশে এতে উপকৃত হবে। এই চুক্তির সুফল দু'দেশের জনগণই ভোগ করবে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ইন্দিরা গান্ধী শানত্মি পুরস্কার আমি বাংলাদেশ ও ভারতের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য উৎসর্গ করছি।
মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর লৰ্যে তিনটি আইন সংশোধনের প্রসত্মাব প্রত্যাহার করা হয়েছে। আরও যাচাই-বাছাই করে পরবর্তীতে এটি উত্থাপন করা হবে বলে সংশিস্নষ্ট সূত্র জানিয়েছে। সংশোধনের প্রসত্মাব সংক্রানত্ম এই তিনটি আইনের মধ্যে ছিল 'দ্য প্রেসিডেন্ট'স (রিমিউনারেশন এ্যান্ড পিভিলেজ) এ্যাক্ট, ১৯৭৫; দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স'স (রিমিউনারেশন এ্যান্ড পিভিলেজ) এ্যাক্ট, ১৯৭৫ এবং দ্য মিনিস্টার'স, মিনিস্টার'স অব এস্টেট এ্যান্ড ডেপুটি মিনিস্টার'স (রিমিউনারেশন এ্যান্ড পিভিলেজ) এ্যাক্ট, ১৯৭৩।
বৈঠকে ন্যাশানাল সার্ভিস মাধ্যমিক ও তদূধর্্ব পর্যায়ের শিৰাগত যোগ্যতা সম্পন্ন যুব/যুব মহিলাদের অস্থায়ী কর্মসংস্থান কর্মসূচী বাসত্মবায়ন নীতিমালায় গোপালগঞ্জ জেলাকে অনত্মর্ভুক্ত করার প্রসত্মাব অনুমোদন দেয়া হয়। এর আগে এই কর্মসূচীতে বরগুনা ও কুড়িগ্রাম জেলা আনত্মর্ভুক্ত ছিল। এখন এর সঙ্গে এই কর্মসূচীতে গোপালগঞ্জ জেলাও অনত্মর্ভুক্ত হয়েছে।
এছাড়া পাবলিক সার্ভেন্টস (রিটারমেন্ট) (এ্যামেন্টমেন্ট) আইন, ২০১০ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। সম্প্রতি দেশের মুক্তিযোদ্ধা চাকুরেদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। বিগত ১৩ ডিসেম্বর এক অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে পাবলিক সার্ভেন্ট আইনের সংশোধন করা হয়েছে। এটি সংসদে পাস না করলে তা অকার্যকর হয়ে যাবে। তাই আইনটি সংসদে পাস করানোর বিষয় এই খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠকে "ইন্টার ন্যাশনাল লং ডিসট্যান্স টেলিকমিউনিকেশনস সার্ভিস পলিসি, ২০০৯"-এর খসড়ার অনুমোদন ও বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড আইন, ২০০৯ এর খসাড়া নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। পর্যটন বোর্ড আইন তৈরি বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি মন্ত্রিসভা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী আইনরে খসড়া তৈরি করা হবে।
এছাড়া মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তনের সুপারিশ অনুমোদন করা হয়েছে। এর নতুন নাম হবে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়। অর্থৎ পশুর পরিবর্তে প্রাণী করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সভাকৰে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সংশিস্নষ্ট সচিবগণ এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব।

No comments

Powered by Blogger.