এবার মাঘের শুরম্নতেই বাঘ কাঁপছে, আরও ১৫ জনের মৃতু্য- শৈত্যপ্রবাহ চলতে পারে আরও দু'দিন

নিখিল মানখিন বইছে উত্তুরে কনকনে বাতাস। কোথাও কোথাও শৈতপ্রবাহ মাঝারি থেকে তীব্র আকার নিয়েছে। মাঘের শুরম্নতেই বাঘ কাঁপছে। বুধবারও কুষ্টিয়া, নীলফামারী, গৌরনদী, ফরিদপুর, জামালপুর, কুড়িগ্রাম ও ঠাকুরগাঁওয়ে নতুন করে ১৫ জনের মৃতু্য হয়েছে। এ নিয়ে গত ২৪ দিনে শীতে মৃতু্যর সংখ্যা ১০২-এ দাঁড়াল। শিা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রছাত্রী এবং মাঠে কৃষকদের উপস্থিতি কমছে।
তিন দিন ধরে দেশের অধিকাংশ এলাকায় সূর্যের দেখা মিলছে না। ঘন কুয়াশায় জল, স্থল ও আকাশপথে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা রয়েই গেছে। সব ক'টি ফাইটের সিডিউল পিছিয়ে দেয়ার পরও বুধবার সকাল পৌনে দশটার একটি ফাইট জিয়া বিমানবন্দরে নামতে পারেনি। ঘন কুয়াশায় বুধবার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ৫ ঘণ্টা এবং মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরম্নটে ৭ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশায় ওই দু'নৌপথের কয়েক হাজার যাত্রীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। দিনের বেলাতেও হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে সড়কপথের সকল যানবাহন। অনেক এলাকায় মিল চাতালগুলো কয়েকদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। আগামী দু'দিনের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহের মাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও চলতি মাসে শীত খুব বেশি কমবে না।
তীব্র শীতের উৎস জানাতে গিয়ে আবহাওয়াবিদ রম্নবায়েত কবির বুধবার জনকণ্ঠকে জানান, উত্তর মেরম্নর ঠা-া বাতাস বাংলাদেশে প্রবেশ করলে শীতের তীব্রতা বাড়ে। রাশিয়া, চীন ও তিব্বত হয়ে আসা উত্তর মেরম্নর ওই ঠা-া বাতাস হিমালয়ের কারণে বাংলাদেশে সরাসরি প্রবেশ করতে পারে না। ওই ঠা-া বাতাস জম্মু-কাশ্মীর হয়ে ঘুরপথে বাংলাদেশে ঢোকে। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে ঘন কুয়াশা বিরাজ করছে বলে তিনি জানান।
আবহাওয়া অফিস জানায়, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলসমূহে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এবং ঈশ্বরদী, শ্রীমঙ্গল ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলসহ রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগে বিরাজমান তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বৃহস্পতিবার অব্যাহত থাকতে পারে এবং দু'এক জায়গায় হাল্কা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাজশাহী ও বগুড়া অঞ্চলসমূহে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং কুমিলস্না, চাঁদপুর, হাতিয়া, ফেনী, সৈয়দপুর, দিনাজপুর ও ভোলাসহ ঢাকা ও খুলনা বিভাগের বাকি অংশে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মঙ্গলবারের তুলনায় ১ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেলেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস কমে যায়। বুধবার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বৃহস্পতিবারের তুলনায় শূন্য দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস কমেছে।
রাজধানীতে ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। শীতের তীব্রতার পাশাপাশি ঠা-া হিমেল বাতাসের গতিও বেড়েছে। বুধবার সারাদিন ঘন কুয়াশা ও শীতের দখলে থাকে নগরীর আকাশ। সকাল সাড়ে এগারোটা পর্যনত্ম বিরাজ করে কনকনে শীত। দিনভর গরম কাপড় ব্যবহার করতে দেখা গেছে লোকজনকে। দুপুরে কিছু সময়ের জন্য শীতের তীব্রতা কমে এলেও কুয়াশা কেটে যায়নি। বিকেল সাড়ে চারটার পর নগরীতে বইতে থাকে ঠা-া বাতাস। বেড়ে যায় শীতের তীব্রতা। জিয়া বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ঘন কুয়াশায় জিয়া বিমানবন্দরের উড়োজাহাজগুলো আকাশে উড়তে নির্ধারিত সময়ের আড়াই থেকে দু'ঘণ্টা বেশি সময় নেয়। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮টি ফাইট বিলম্বে ছাড়তে বাধ্য হয়। এমন পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে কয়েকদিন আগে সিডিউল পরিবর্তনের সিদ্ধানত্ম নেয় কর্তৃপ। কিনত্মু সিদ্ধানত্ম নেয়ার পরও বুধবার এয়ার এ্যারাবিয়ার একটি ফাইট নির্ধারিত সময় সকাল পৌনে দশটায় জিয়া বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারেনি।
নিজস্ব সংবাদদাতা দৌলতপুর থেকে জানান, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে তীব্র শীতে বুধবার ২ জনের মৃতু্য হয়েছে। এরা হচ্ছে উপজেলার মহিষকু-ি গ্রামের নেহেজান খাতুন (৬৫) ও ফিলিপনগর গ্রামের রাজিয়া খাতুন (৬৮)। তীব্র শীতে দৌলতপুরের জনজীবন বিপর্যসত্ম হয়ে পড়েছে। দিনভর সূর্য দেখা যায়নি। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে যাচ্ছে লোকজন। দিনমজুরদের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে বহুগুণ। এখন পর্যনত্ম সরকারী ও বেসরকারীভাবে শীতার্তদের মধ্যে কোন শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়নি।
স্টাফ রিপোর্টার মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, ঘন কুয়াশায় মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরম্নটে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যনত্ম দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় পদ্মার মাঝে যাত্রী ও পরিবহনসহ ফুললোড অবস্থায় রো রো ফেরি, ভাষা শহীদ বরকত, শাহ মখদুম, ফেরি রানীগঞ্জ, যমুনা, টাপলু ও লেন্টিসহ ৬টি ফেরি আটকা পড়ে দীর্ঘ সময় নোঙর করে থাকে। যাত্রীরা কনকনে শীতের মধ্যে চরম দুর্ভোগের শিকার হন। মাওয়া বিআইডবিস্নউটিসি অফিসের মেরিন অফিসার আব্দুল সোবহান জানান, মঙ্গলার রাত সাড়ে ৩টা থেকে পদ্মা অববাহিকায় ঘন কুয়াশা নেমে এলে ফেরি চালকরা বয়া, বাতি ও মার্কা দেখতে না পারায় দিক নির্ণয়ে ব্যর্থ হন। আর ফেরি পারাপার বন্ধ করে দেয়া হয়।
নিজস্ব সংবাদদাতা রাজবাড়ী থেকে জানান, রাজবাড়ীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। শীতের তীব্রতায় মানুষজন একপ্রকার গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশায় বুধবার ভোর ৪টা থেকে সকাল ৯টা পর্যনত্ম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ৫ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় মাঝ নদীতে কোন কিছু দৃশ্যমান না হওয়ায় ৩টি ফেরি নোঙর করে থাকে। ফেরির প্রায় ৪০টি যানবাহনের সহস্রাধিক যাত্রীকে মাঝ নদীতে আটকা পড়ে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার ময়মনসিংহ থেকে জানান, হাড় কাঁপানো ও কনকনে শীতের তীব্রতার কাছে ক্রমেই অসহায় হয়ে পড়েছে ময়মনসিংহের মানুষজন। সবচেয়ে বেশি কাতর হয়ে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। কোল্ড ডায়রিয়ায় বুধবার পর্যনত্ম ময়মনসিংহের সূর্যকানত্ম হাসপাতালে অর্ধ শতাধিক শিশু চিকিৎসা নিচ্ছিল। এর বাইরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডগুলোতেও ছিল কোল্ড ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রানত্ম শিশুদের আকস্মিক ভিড়। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার থেকে কোল্ড ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রানত্ম শিশুরা হাসপাতালে আসতে শুরম্ন করেছে। বুধবার জেলার কোথাও সূর্যের দেখা মেলেনি। সকাল-সন্ধ্যায় মানুষজন নিতানত্ম প্রয়োজন ছাড়া কেউই বাসাবাড়ি থেকে বের হয়নি। শহর ছিল তুলনামূলক ফাঁকা। মঙ্গলবার রাতে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসন থেকে শহরের রেলওয়ে স্টেশন বলাশপুর মুক্তিযোদ্ধা আবাসিক পলস্নীতে শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
নিজস্ব সংবাদদাতা নীলফামারী থেকে জানান, নীলফামারীর ডিমলায় শীতজনিত রোগে আক্রানত্ম হয়ে বুধবার ভোরে বাবুরহাট গ্রামের আজিজার রহমান (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃতু্য হয়েছে। শীতবস্ত্রের অভাবে অসংখ্য অসহায় মানুষ শীতজনিত রোগে আক্রানত্ম হচ্ছে। বুধবার সুচিনত্মা ফাউন্ডেশন প্রধানমন্ত্রী তনয় সজীব ওয়াজেদ জয়ের প েউত্তরের বিভিন্ন স্থানে শীতবস্ত্র বিতরণ করে।
নিজস্ব সংবাদদাতা গৌরনদী থেকে জানান, বরিশালের গৌরনদীর জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। গত দু'দিন সূর্যের দেখা মিলছে না। শীতে আক্রানত্ম হয়ে উপজেলার সাওড়া গ্রামের রওশন আরা বেগম (৮৫) নামের এক বৃদ্ধ মারা যান। হাসপাতালে প্রতিদিন জ্বর, সর্দি, কাশিসহ শীতজনিত রোগে আক্রানত্মের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ঘন কুয়াশা ও শীতের কারণে ইরি-বোরো আবাদ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলার কৃষকরা।
নিজস্ব সংবাদদাতা বোয়ালমারী (ফরিদপুর) জানান, বিপর্যসত্ম জনজীবন। দিনভর সূর্যের আলো দেখা যায়নি। ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। ছিন্নমূল আর খেটেখাওয়া মানুষ পড়েছে চরম বিপদে। উপজেলার চালিননগর গ্রামের মোঃ জিন্নাহ মোল্যা(৭৫) মঙ্গলবার রাত সাড়ে এগারোটায় তীব্র শীতে মারা যান। পৌরসভার শিবপুর গ্রামের গিরিবল দাস(৮০) বুধবার ভোরে হাসপাতালে নেয়ারপথে মারা যান।
নিজস্ব সংবাদদাতা মাদারীপুর থেকে জানান, তীব্র শীতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গত দু'দিনে শীতে জেলার বিভিন্ন স্থানে ৫ জনের মৃতু্য হয়েছে। মঙ্গলবার পোটলা পাগল (৪৫)ও কালকিনির পাঙ্গাশিয়া গ্রামের আফতাবউদ্দিন হাওলাদার (৮০) মারা যান। আরও মৃতু্য ঘটে ভ্যানচালক নূর মোহাম্মদ হাওলাদার (৬০), লোকমান হাওলাদার (৪৫) ও জয়নব বিবির (৮৫)।
নিজস্ব সংবাদদাতা জামালপুর থেকে জানান, অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যসত্ম জনজীবন। দিনমজুররা কাজ করতে পারছে না। শীতজনিত রোগে আক্রানত্মের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বুধবার শীতজনিত রোগে আক্রানত্ম হয়ে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে বাবু ও মারম্নফ নামে দু'র্ িশশুর মৃতু্য হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার কুড়িগ্রাম থেকে জানান, জনজীবন বিপর্যসত্ম হয়ে পড়েছে। টানা চারদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। আগুনের কু-লী পাকিয়ে শীত নিবারণের সময় আগুন লেগে উলিপুরের মধ্যবাজারে ১০টি দোকান ভস্মীভূত হয়ে যায়। শীতজনিত রোগে আক্রানত্মের সংখ্যা বেড়েছে বহুগুণ। গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম শহরের ফুলজান (৬৫) ও বতুয়ালী গ্রামের জহুর আলী (৭২) শীতজনিত রোগে মারা গেছে। ঘন কুয়াশার কারণে জেলার মিল চাতালগুলো কয়েকদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। প্রতিকেজিতে চালের দাম দু'থেকে তিন টাকা বেড়ে গেছে। ব্যক্তিগত ও বিভিন্ন সংস্থার শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকা ও চর গ্রামের শতকরা ৭০ ভাগ ভূমিহীনের শীতবস্ত্র নেই। কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশায় স্থবির হয়ে পড়েছে পুরো এলাকা।
নিজস্ব সংবাদদাতা ঠাকুরগাঁও থেকে জানান, শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত। শীতে বিপর্যসত্ম স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। শীতজনিত রোগে আক্রানত্মের সংখ্যা বেড়েছে। শীতজনিত রোগে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আসির আলী (৮০) ও আমির আলীর(৭০) মৃতু্য হয়েছে। বুধবার সারাদিন তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় আকাশ ঢাকা ছিল। জেলার দু'লাখের বেশি মানুষ হাড় কাঁপানো শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে। কিনত্মু জেলা ত্রাণভা-ারে কোন মজুদ নেই। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন সূত্র জানায়, ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৩ হাজার ৬শ' ৯৬টি, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৮শ' এবং রিহ্যাব থেকে পাঠানো ৬শ' ৫০টি কম্বল ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়ে গেছে। জেলা প্রশাসকের একটি সূত্র জানায়, ৫০ হাজার কম্বল ও ১০ লাখ টাকা চেয়ে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে। কিনত্মু এখন পর্যনত্ম কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
নিজস্ব সংবাদদাতা দাউদকান্দি (কুমিলস্না) থেকে জানান, তীব্র শীত জেঁকে বসেছে। গত দু'দিন ধরে দাউদকান্দির আকাশে সূর্যের দেখা মেলেনি। শিা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। মাঠে কৃষকদের উপস্থিতি নেই বলইে চলে।
নিজস্ব সংবাদদাতা নওগাঁ থেকে জানান, প্রচ- শীতে জনজীবন বিপর্যসত্ম। তাপমাত্রা ছিল খুবই কম। শীতজনিত রোগে আক্রানত্মের সংখ্যা বেড়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার বগুড়া অফিস থেকে জানান, শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। দিনভর সূর্যের দেখা মেলেনি। শীতজনিত রোগে আক্রানত্মের সংখ্যা গত দু'সপ্তাহে প্রায় ৯শ'তে পৌঁছেছে।
স্টাফ রিপোর্টার রাজশাহী থেকে জানান, তীব্র শীতে কাঁপছে রাজশাহীবাসী। হিমেল বাতাসে জনদুর্ভোগ বাড়ছে। জনজীবন বিপর্যসত্ম প্রায়। দু'দিন ধরে সূর্য দেখা যাচ্ছে না। বিকেল হলেই শীতের তীব্রতা বাড়ছে। সন্ধ্যা হলেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে রাসত্মাঘাট। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দোকানপাট। রোগ বালাইয়ের প্রকোপ বেড়েই চলেছে।

No comments

Powered by Blogger.