দিল্লিকে ঢাকার চিঠি, সীমান্ত হত্যায় ক্ষুব্ধ, উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ
সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে নিরস্ত্র বাংলাদেশি হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে তা বন্ধে দিল্লিকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলেছে ঢাকা। বাংলাদেশি হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ।
এর পাশাপাশি সীমান্ত হত্যাকাণ্ড পুরোপুরি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে ভারতের দেওয়া অঙ্গীকারের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। গত রোববার সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের কাছে পাঠানো চিঠিতে এসব বক্তব্যই তুলে ধরেছে বাংলাদেশ।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গতকাল সোমবার ভারতকে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে। এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি গতকাল তাঁর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘সীমান্ত হত্যাকাণ্ড অমার্জনীয়। সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ধরনের ঘটনা নিশ্চয়ই কারও কাম্য নয়। সম্প্রতি সীমান্তে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি হত্যার বিষয়ে গতকাল (রোববার) ভারতের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সীমান্ত হত্যা বন্ধের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত হত্যার সংখ্যা কমেছে। তবে আমরা চাই সীমান্ত হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে। এ জন্য দুই পক্ষের ভূমিকা রয়েছে।’
বিএসএফ গুলি করে বাংলাদেশের লোকজনকে হত্যা করে—সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের করণীয় কী? এ প্রশ্নের উত্তরে দীপু মনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খতিয়ে দেখলে পুরো ঘটনা পরিষ্কার হয়। তবে এটা ঠিক, গুলি যে করে, তার দায়টা বেশি। পাশাপাশি রাতের বেলা যাতে আমাদের লোকজন সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা না করেন, সে ব্যাপারে আমাদের করণীয় আছে। বাংলাদেশের প্রশাসনের বিষয়টির দিকে নজর দেওয়া উচিত।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ভারতকে দেওয়া গত রোববারের চিঠিতে সম্প্রতি বিএসএফের হাতে সাত বাংলাদেশি হত্যার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। বিএসএফের গুলি, হত্যা ও নির্যাতনের বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অনুসন্ধানের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর এ ব্যাপারে ভারতের কাছে প্রতিবাদ জানানো হয়। বিজিবির প্রতিবেদন গত রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
ভারতকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ভারতের পক্ষ থেকে সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার আশ্বাস দেওয়ার পরও সীমান্ত হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। নিরস্ত্র এসব বাংলাদেশি হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ। তাই বাংলাদেশ এসব হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানায়। সেই সঙ্গে এসব হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে তদন্ত চালিয়ে দোষী লোকজনকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ। ভবিষ্যতে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে ভারতকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে ভারতীয় নেতৃত্ব সীমান্ত হত্যা পুরোপুরি বন্ধের ব্যাপারে অতীতে যে আশ্বাস দিয়েছে, ভারতকে তা মনে করিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বিএসএফ চারজন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সীমান্ত হত্যা বন্ধের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত হত্যার সংখ্যা কমেছে। তবে আমরা চাই সীমান্ত হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে। এ জন্য দুই পক্ষের ভূমিকা রয়েছে।’
বিএসএফ গুলি করে বাংলাদেশের লোকজনকে হত্যা করে—সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের করণীয় কী? এ প্রশ্নের উত্তরে দীপু মনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খতিয়ে দেখলে পুরো ঘটনা পরিষ্কার হয়। তবে এটা ঠিক, গুলি যে করে, তার দায়টা বেশি। পাশাপাশি রাতের বেলা যাতে আমাদের লোকজন সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা না করেন, সে ব্যাপারে আমাদের করণীয় আছে। বাংলাদেশের প্রশাসনের বিষয়টির দিকে নজর দেওয়া উচিত।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ভারতকে দেওয়া গত রোববারের চিঠিতে সম্প্রতি বিএসএফের হাতে সাত বাংলাদেশি হত্যার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। বিএসএফের গুলি, হত্যা ও নির্যাতনের বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অনুসন্ধানের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর এ ব্যাপারে ভারতের কাছে প্রতিবাদ জানানো হয়। বিজিবির প্রতিবেদন গত রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
ভারতকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ভারতের পক্ষ থেকে সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার আশ্বাস দেওয়ার পরও সীমান্ত হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। নিরস্ত্র এসব বাংলাদেশি হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ। তাই বাংলাদেশ এসব হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানায়। সেই সঙ্গে এসব হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে তদন্ত চালিয়ে দোষী লোকজনকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ। ভবিষ্যতে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে ভারতকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে ভারতীয় নেতৃত্ব সীমান্ত হত্যা পুরোপুরি বন্ধের ব্যাপারে অতীতে যে আশ্বাস দিয়েছে, ভারতকে তা মনে করিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বিএসএফ চারজন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে।
No comments