এবারের ব্যালন ডি'অরও মেসির

নেতিবাচক দিক বলতে ছিল একটাই- তেমন বড় কোনো শিরোপা জিততে না পারা। তবে সব রেকর্ড মুছে দিয়ে যে বছর ৯১টি গোল করেছেন, সেই বছরে বার্সেলোনা আর আর্জেন্টিনার শিরোপা জিততে না পারার দায়টা পুরোপুরি কাঁধে নিতে হয়নি শেষ পর্যন্ত লিওনেল মেসিকে! তাই ২০১২ সালের ফিফা ব্যালন
ডি'অর পুরস্কারটাও উঠেছে বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন তারকারই হাতে। কাল রাতে জুরিখের ফিফা গালা নাইটে এ পুরস্কার জিতে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি। চারবার ফিফা বর্ষসেরা কিংবা ব্যালন ডি'অর জয়ের রেকর্ড আর কারোরই নেই, মেসি সেই পুরস্কার জিতলেন টানা চতুর্থবারের মতো! দুই বছর আগে বিশ্বের সেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি হিসেবে প্রচলিত সবচেয়ে বড় দুটি পুরস্কার এক করে ফেলার আগে ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকী আর ফুটবলের বিশ্ব সংস্থা আলাদা করে দিত ব্যালন ডি'অর এবং ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার। ২০০৯ সালে আলাদাভাবে দুটি পুরস্কারই জিতেছিলেন খুদে জাদুকর। আর দুটি মিলে ২০১০ সালে ফিফা ব্যালন ডি'অর প্রবর্তনের পর থেকে তো তাঁরই জয়জয়কার। মিশেল প্লাতিনির টানা তিনবার ব্যালন ডি'অর জয়ের রেকর্ডটা গত বছরই ছুঁয়েছিলেন। এবার ছাড়িয়ে গেলেন সেটাকেও।
তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন বার্সেলোনায় তাঁর সতীর্থ আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা আর রিয়াল মাদ্রিদের সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও। তবে ইতালিয়ান তারকা ফ্যাবিও ক্যানাভারো যখন তাঁর নামটাই ঘোষণা করলেন, সেটা নাকি বিশ্বাস হচ্ছিল না মেসির নিজেরই, 'সত্যি বলতে কী, এটা আসলেই অবিশ্বাস্য। চতুর্থবারের মতো যে পুরস্কারটা জিতলাম, সেটা আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।'
মেসির সঙ্গে বছরের সেরা নারী ফুটবলারের পুরস্কারটি পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাবি ওয়ামবাখ, বছরের সেরা গোলের স্বীকৃতি ফেরেঙ্ক পুসকাস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তুর্কি ক্লাব ফেনারবাচের স্ট্রাইকার মিরোস্লাভ স্টক আর বছরের সেরা কোচ নির্বাচিত হয়েছেন স্পেনকে টানা দ্বিতীয় ইউরো জেতানো ভিসেন্তে দেল বস্ক।

No comments

Powered by Blogger.