আমি না উচ্চারণ করে বিরাগ ভাজন হতে চাই না

সংসদ রিপোর্টার 'দেশে কোন কোন পত্রিকার মালিক বা বিশেষ কোন পত্রিকার মালিক ভূমিদসু্য ও কালো টাকার মালিক তা সবাই জানেন। আমি নাম উচ্চারণ করে তাদের বিরাগভাজন হতে চাই না।
কোন সংবাদপত্রের মালিক ও সম্পাদকের বিরম্নদ্ধে কথা বলা সমীচীন বলেও মনে করছি না।' বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজউদ্দিন আহম্মেদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রীর পৰে এ মনত্মব্য করেন আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরম্নল ইসলাম। সম্প্রতি ভূমিদসু্যদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর এক অনুষ্ঠানে পূর্ত প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান উপস্থিত কয়েকজন ডেভেলপারকে (যার মধ্যে পত্রিকার মালিকও আছেন) সরাসরি ভূমিদসু্যতার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে অভিযুক্ত করেন। পূর্ত প্রতিমন্ত্রীর সে বক্তব্য নিয়েই সংসদে আলোচনার এক পর্যায়ে আইন প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এদিকে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে নিহত ও আহত সাংবাদিকদের মামলার সুষ্ঠু তদনত্ম করে বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে আশ্বাস দেন আইন প্রতিমন্ত্রী। সংসদকে তিনি জানান, মহাজোট সরকারের সময়ে কোন সাংবাদিক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।
একদিন বিরতির পর বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় স্পীকার এ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরম্ন হয়। অধিবেশনের শুরম্নতে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য আশরাফ উদ্দিন নিজানের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমান মহাজোট সরকার ৰমতায় আসার পর সরাদেশে সন্ত্রাসীদের হাতে কোন সাংবাদিক নিহত হয়নি। সরকার সাংবাদিকদের ওপর বিভিন্ন ধরনের হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধে কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিউর এ্যাক্ট-১৮৯৮ সংশোধনের জন্য ইতোমধ্যে সংসদে উত্থাপন করেছে। আইনটি পাস হলে সাংবাদিক, সম্পাদক, প্রকাশক, লেখকগণের গ্রেফতারের বিধানটি বাতিল হবে। এ ছাড়াও প্রয়োজন হলে ুব্ধ সাংবাদিকরা বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ পেশ করতে পারবেন।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকির সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, আহত ও নিহত সাংবাদিকদের পরিবারকে সহায়তা করার ব্যবস্থা আছে মন্ত্রণালয়ে। এমনকি নিহতদের স্বজনদের যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি দেয়ারও ব্যবস্থা রয়েছে। শওকত হোসেন বাদশাহর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, চার দলীয় জোট সরকারের সময়ে নির্যাতনের শিকার সাংবাদিকদের মামলাগুলো তদনত্মে জজ কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতির নেতৃত্বে একটি তদনত্ম কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিচার করা হবে। কোন মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হয়ে থাকলে সেটারও সুষ্ঠু তদনত্ম করা হবে।
মোঃ শাহরিয়ার আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যে সকল সংবাদপত্র ৭ম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ-২০০৮ বাসত্মবায়ন করবে না তাদের সরকার ঘোষিত বিজ্ঞাপনের বর্ধিত হার দেয়া হবে না। এবং বিদেশ হতে শুল্কমুক্ত নিউজ প্রিন্ট আমদানির সুযোগ দেয়া হবে না। এছড়া ওয়েজ বোর্ড বাসত্মবায়নের জন্য সরকার ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি ত্রিপীয় মনিটরিং টিম গঠন করেছে।
বেগম ফরিদুন্নাহার লাইলীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের একটি পৃথক শিৰা ও উন্নয়নমূলক চ্যানেল দ্রম্নত চালু করার পরিকল্পনা আছে। এই নতুন চ্যানেলের মাধ্যমে সংসদের কার্যক্রম সরাসরি সমপ্রচার করা হবে। কে এম খালিদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মানোন্নয়নে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ভারতে বাংলাদেশের চ্যানেল প্রচারের বিষয়ে পদৰেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
এবিএম আবুল কাশেমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম টেলিভিশন কেন্দ্রকে ডিজিটাল ও আধুনিকায়ন করা হবে। চট্টগ্রাম টেলিভিশনে একটি ডিজিটাল টেরিস্ট্রিয়াল ট্রান্সমিটার স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

No comments

Powered by Blogger.