নজরুলের সুরে মুগ্ধ ত্রিপুরা

কে দূরন্ত বাজাও ঝড়ের ব্যাকুল বাঁশি’ সমবেত এ গানটি যেন সত্যিকার অর্থেই ঝড় তুলে ফেলল অডিটরিয়ামে। আগারতলা প্রেসক্লাব অডিটরিয়ামে সমবেত কণ্ঠের এ গানটি আকৃষ্ট করেছে সবাইকে। আর করবেই না কেন, শুদ্ধ সুর ও স্বরে গাওয়া যে কোন গান শ্রোতার হৃদয় ছুঁয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। শুদ্ধ নজরুল সঙ্গীত চর্চা ও প্রসারের লক্ষ্যে ৫


থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত সুর-অঞ্জলি আয়োজন করে এক কর্মশালার। এ কর্মশালা পরিচালনার দায়িত্ব পড়ে বাংলাদেশের তিন কৃতী নজরুল সঙ্গীত শিল্পীর ওপর। তাঁরা হলেন রশিদুন নবী, খায়রুল আনাম শাকিল এবং মইদুল ইসলাম। পুরো প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. রশিদুন নবী।
শুদ্ধভাবে নজরুল সঙ্গীত প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য ভারতের কোন রাজ্যে এই প্রথম বাংলাদেশী কোন প্রশিক্ষককে আমন্ত্রণ জানানো হলো। আগরতলা প্রেসক্লাব অডিটরিয়ামে ৫ জুলাই ২০১২ তারিখ বিকেল ৫টায় নজরুল সঙ্গীত কর্মশালার উদ্বোধন করেন আগরতলা সরকারী সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ড. ত্রিপুরেন্দ্র ভৌমিক। সুর-অঞ্জলির পরিচালক বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীতশিল্পী, প্রশিক্ষক ও গবেষক মায়া রায়ের স্বাগত ভাষণের পর ড. রশিদুন নবীর পরিচালনায় কর্মশালা শুরু হয়। প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি তিনি ভারতে প্রচলিত ১০-১২টি নজরুল সঙ্গীতের বিকৃত এবং শুদ্ধ সুর গেয়ে শোনান। আগরতলা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থীসহ প্রায় পঞ্চাশ শিক্ষার্থী এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী পঙ্কজ মিত্র, দিলীপ চৌধুরী, শ্রীকান্ত ভট্টাচার্য প্রমুখ। নজরুল সঙ্গীতকে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক উপস্থাপনের পাশাপাশি সুর-অঞ্জলির উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং নজরুল সঙ্গীতের বিকৃতি ও বিভ্রান্তি রোধের লক্ষ্যে সুর-অঞ্জলির মতো অন্যদেরও আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বাংলাদেশের গুণী তিন শিল্পী। তৌফিক অপু

No comments

Powered by Blogger.