সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ কর্তন

সরকার ১ জুলাই ২০১০ তারিখ থেকে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ কর্তনের নির্দেশ দিয়েছে (ব্যতিক্রম পেনশনার ও পারিবারিক সঞ্চয়পত্র)। পোস্ট অফিস অথবা সঞ্চয় ব্যুরো অফিসে গেলে দেখা যায়, বেশির ভাগ সঞ্চয়পত্র ক্রয়কারী বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও পেনশনার মুনাফার আশায় ভিড় করে আছেন।


মুনাফার টাকায় তাঁদের সংসারের খরচ বহুলাংশে মেটানো হয়। সরকার ১ জুলাই ২০১০ থেকে কর্তনের নির্দেশ দিয়েছে অথচ ৩০ জুন ২০১০ পর্যন্ত যেসব সঞ্চয়পত্র ক্রয় করা হয়েছে, সেসব সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ কর্তন করা হচ্ছে। এর আগে অর্থাৎ ৩০ জুন ২০১০ তারিখ পর্যন্ত যাঁরা সঞ্চয়পত্র ক্রয় করেছেন, তাঁদের নির্দিষ্ট হারে মুনাফার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কর্তনের কোনো কথা বলা হয়নি। আমরা ক্রেতা আর সরকার বিক্রেতা। ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে এটা লিখিত চুক্তি। এখন মুনাফার ১০ শতাংশ কেটে নিলে সরকার চুক্তি ভঙ্গ করবে বলে ধরা যাবে।
আমার স্ত্রী ত্রৈমাসিক মুনাফাভিত্তিক এক লাখ টাকা ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ও ২৭ মে ২০১০ দুটি মুনাফার টাকা ২৮৭৫+২৮৭৫=৫৭৫০ টাকা উঠায়নি। উদ্দেশ্য ছিল, আরো কিছু মুনাফা পেলে রান্নাঘরটা মেরামত করা যাবে। বর্তমানে ১০ শতাংশ কর্তনের আদেশের ফলে গত ১ জুলাইয়ের আগে প্রাপ্য ৫৭৫০ টাকা থেকে ৫৭৫ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। সময়মতো টাকা না ওঠানো অপরাধ হয়েছে এবং অর্থদণ্ড দিতে হয়েছে। এটাকে জুলুম আর স্বৈরাচারীব্যবস্থা ছাড়া আর কী বলা যেতে পারে? সদাশয় সরকারের কাছে অনুরোধ, গত ১ জুলাইয়ের আগে ক্রয়কৃত সব সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ১০ শতাংশ কর্তনের আদেশ রহিত করা হোক। অথবা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যে নিয়ম ছিল অর্থাৎ প্রতি আর্থিক বছরে দেড় লাখ টাকার ঊধর্ে্ব প্রাপ্ত মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ হারে কর্তনের নির্দেশ দেওয়া হোক। এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ বিনীতভাবে প্রার্থনা করছি।

মু. আ. সালাম
সালাম কর্নার, মালতিনগর, বগুড়া।

No comments

Powered by Blogger.