বিরোধী দল সংসদে অন্তর্বর্তী সরকারের বিল আনুক by কাজী সিরাজ

দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোটেই ভালো নয়। ১২ মার্চ যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে অস্বস্তি, সঙ্গে আতঙ্ক। শুধু রাজনৈতিক অঙ্গনই নয়, সর্বত্র ছড়িয়ে পড়া অস্বস্তি ও আতঙ্ক থেকে নাগরিক সমাজও মুক্ত নয়। অন্যান্য দাবির সঙ্গে মূলত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রায় আড়াই মাস


হাতে রেখে ১২ মার্চ 'ঢাকা চলো' কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আমাদের সংবিধানের মৌলিক অধিকার অধ্যায়ের ৩৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে, 'জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধানিষেধসাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হইবার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকিবে।' ঢাকা চলো কর্মসূচি ঘোষণা করে বেগম জিয়া অসাংবিধানিক বা বেআইনি কোনো কাজ করেননি। একই ধরনের সভা-সমাজেশ ও মানববন্ধন করার মৌলিক অধিকার অন্যান্য দল-মতের মানুষের মতো শাসকদল আওয়ামী লীগেরও নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বিরোধী দলের বা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী-প্রতিপক্ষের কোনো প্রতিবাদী বা দাবি আদায়ের কর্মসূচির দিনে-ক্ষণে-স্থানে শাসকদলও কেন কর্মসূচি ঘোষণা করবে? বিরোধী দলের কর্মসূচি ঘোষণার প্রায় এক মাস পর শাসকদলের কর্মসূচি ঘোষণাকে অপরের মৌলিক অধিকার হরণের অশুভ প্রয়াস বলে চিত্রিত করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। লীগ সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী এবং কোনো কোনো দায়িত্বশীল লীগ নেতা মাঠ দখলে রাখার যে ধরনের 'রণহুঙ্কার' দিয়েছেন, আম জনতার তাতে আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ারই কথা। আমাদের দেশের ক্ষমতার কাঙালদের লাঠিসোঁটা, লগি-বৈঠা আর রাম দা-কিরিচ-পিস্তলের 'খেলা' অতীতে দেশ-বিদেশের মানুষ অত্যন্ত বেদনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ করেছে। তাই ১২ মার্চকে ঘিরে শান্তিপ্রিয় দেশবাসীর মনে অতীতের মতো হত্যা-সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের ভয়ংকর দৃশ্যাবলী ফের জেগে ওঠা অমূলক নয়।
সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে এ সময়ের ক্ষমতাকেন্দ্রিক দ্বন্দ্ব ও বিরোধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে। আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের একের প্রতি অন্যের সন্দেহ ও অবিশ্বাস এত প্রকট যে একজন নিজের নাক কেটে অপরের যাত্রা ভঙ্গ করতে কুণ্ঠা বোধ করে না। নিজেরা নিজেদের অবিশ্বস্ত প্রমাণ করে রাজনীতিবিদরাই অরাজনৈতিক, গণবিচ্ছিন্ন এবং আমাদের সংবিধানের মৌলিক চেতনাবিরোধী নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিলেন। নির্দ্বিধায় বলা চলে, এর প্রধান উদ্যোক্তা আজকের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ১৯৯৪ সালের ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত মাগুরা-২ আসনের উপনির্বাচনে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল বিএনপির অতিরিক্ত ও দৃষ্টিকটু বাড়াবাড়ির ফলে আসনটি আওয়ামী লীগের হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগ এবং তাদের আন্দোলনের পার্টনার জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামী ঘোষণা করে যে বিএনপি সরকারের অধীনে তারা আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। এরপর জামায়াতের তৎকালীন আমির ও বর্তমানে যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিচারাধীন অধ্যাপক গোলাম আযম প্রথম কেয়ারটেকার সরকারের একটা কনসেপ্ট তুলে ধরেন। এরপর আওয়ামী লীগ অনড় অবস্থান গ্রহণ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে। এ ব্যাপারে তারা আমাদের সংবিধানকে অগ্রাহ্য করে। বাংলাদেশে সংবিধানের ১১ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে, 'প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, সেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে এবং প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হইবে।' সংবিধানে তিন মাস-দুই বছর তো দূরের কথা (তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে ড. ফখরুদ্দীনের অবৈধ সরকার দুই বছর ক্ষমতায় ছিল) তিন মিনিটের জন্যও অনির্বাচিত ব্যক্তিদের দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ ছিল না। সংবিধানে ১১ নম্বর অনুচ্ছেদ বলবৎ থাকা অবস্থায়ই আওয়ামী লীগ ১৯৯৩ সালের ২৮ অক্টোবর পঞ্চম জাতীয় সংসদে অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের জন্য বিল জমাদান করে। এতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের প্রধান বিচারপতিকে অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের আহ্বান জানাবেন, যিনি যথাসম্ভব ছোট আকারে একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করবেন। পরবর্তী পর্যায়ে তাঁরা সংসদে একটি সংশোধিত বিল জমা দেন, যাতে প্রস্তাব করা হয় যে রাষ্ট্রপতি দেশের প্রধান বিচারপতি অথবা জাতীয় সংসদে বিদ্যমান সব দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে যেকোনো ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের আহ্বান জানাবেন, যিনি প্রধান উপদেষ্টা রূপে গণ্য হবেন। জামায়াতে ইসলামীর নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার গঠন বিষয়ক বিলে প্রস্তাব করা হয়, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর রাষ্ট্রপতি তাঁর সন্তোষ অনুযায়ী একজন সিনিয়র উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করবেন। আর জাতীয় পার্টির বিলে প্রস্তাব করা হয় যে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর রাষ্ট্রপতি তাঁর সন্তোষ অনুযায়ী একজন অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করবেন, যিনি উত্তরাধিকারী হিসেবে একটি অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভা গঠন করবেন। তিনটি বল পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, কোনো দলই বিদ্যমান সংসদের নির্বাচিত সদস্যদের মধ্য থেকে সর্বসম্মতভাবে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাব করেনি। বর্তমান বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া তখন ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ঘোরবিরোধী। ১৯৯৫ সালের ২৪ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেছিলেন, বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী কোনো অনির্বাচিত কিংবা মনোনীত ব্যক্তির পক্ষে এখন আর দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া সম্ভব নয়। দেশে এখন একটি নির্বাচিত সংসদ ও একজন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন। অথচ বিরোধী দলের নেতারা ১৯৯০ সালের মতো সরকার পরিবর্তন চান। বর্তমান সংবিধানের আওতায় যা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। দুই নেত্রীই তাঁদের অবস্থান সম্পূর্ণ পাল্টে ফেলেছেন। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সালে ষষ্ঠ জাতীয় সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাস হওয়ার আগ পর্যন্ত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বক্তব্য এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য মিলিয়ে দেখলে নাম ছাড়া বক্তব্যের কোথাও অমিল খুঁজে পাওয়া যাবে না। ১৯৯৩ সালে সংসদে বিল জমা দেওয়ার পর তৎকালীন বিরোধী দল সংসদে যায়নি। শাসকদল বিএনপি বারবার বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, 'আপনারা সংসদে আসুন, আলাপ-আলোচনা করুন।' তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ২৫.১১.৯৫-এ দেওয়া ভাষণে বলেছিলেন, 'আমরা বিরোধী দলকে বলেছিলাম, জাতীয় সংসদে এসে আপনাদের জমা দেওয়া বিল উত্থাপন করুন, আমরা আলোচনা করব। গ্রহণযোগ্য হলে সমর্থনও করব।' কিন্তু বিরোধী দল সংসদে যায়নি। তারা দাবি করেছিল, সরকারি দলকে আগে বলতে হবে যে তারা বিরোধী দলের বিল পাস করিয়ে দেবে। বেগম জিয়া যখন তাঁর এই ভাষণ দেন, এর প্রায় এক বছর আগে ১৯৯৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিরোধী দলের সব সদস্য (আ. লীগ, জাপা, জামায়াত) একযোগে পদত্যাগ করেন। বেগম জিয়ার রেকর্ডেড এ বক্তব্যটি উল্লেখ করলাম এ কারণে যে ১৯৯৪ সালের ২৮ ডিসেম্বরের আগে বারবার দেওয়া বক্তব্যটিই তিনি উল্লেখ করেছিলেন সেই ভাষণে। এখনকার সরকারি দলও একই ইস্যুতে বিরোধী দলের প্রতি হুবহু একই আহ্বান জানাচ্ছে। এরাও বলছে, 'সংসদে আসুন, বিল আনুন, যৌক্তিক হলে সমর্থন করব।' পর্যবেক্ষকদের অনেকেই বলতে চান, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে উটকো ঝামেলাটা যেহেতু শাসকদলই বাধিয়েছে, এই জট খোলার দায়িত্বও সরকারি দলেরই। তা ছাড়া আমাদের সমকালীন রাজনৈতিক সংস্কৃতি সরকারি দলের আশ্বাসে বিরোধী দলের বিশ্বাস স্থাপনের মতো অনুকূল নয়। উল্লেখ্য, বর্তমান সরকার সংবিধান সংশোধনের জন্য সাজেদা চৌধুরীকে প্রধান করে যে কমিটি করেছিল, সেই কমিটির প্রায় সবাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখার পক্ষে মতপ্রকাশ করেছিলেন এবং তা বিভিন্ন সময়ে মিডিয়ায় প্রকাশও হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শেষ বৈঠকেই সব পাল্টে যায় এবং উচ্চ আদালতের একটি রায়ের অসম্পূর্ণ ব্যাখ্যা দিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেওয়া হয়। পরে জানা গেছে, উচ্চ আদালত সংসদ চাইলে আরো দুই টার্ম নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বহাল রাখা যেতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু আদালতের রায়ের এ অংশটি সংসদকে অবহিতই করা হয়নি। দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল (মহাজোটভুক্ত কোনো কোনো দলও), বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ ও জনসমাজের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে অবস্থান নিলেও লীগ সরকার তা আমলে নেয়নি। তারা আরো খারাপ যে কাজটি করেছে তা হচ্ছে, উচ্চ আদালতের দোহাই দিয়ে নিজেরা সাধু সেজে বোঝাতে চাইছে উচ্চ আদালত সে রায় না দিলে তারা ব্যবস্থাটি বাতিল করত না। জনগণের ক্ষোভের মুখ তারা কৌশলে ঘুরিয়ে দিতে চেয়েছে অন্যদিকে। সরকারের এটি একটি অনৈতিক অবস্থান। তাদের বলা উচিত ছিল দলীয় বা সরকারি সিদ্ধান্তেই তারা তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করেছে।
জনগণের ক্রোধের আগুন আর দ্রোহী দৃঢ়তার সামনে পুলিশের লাঠি-গুলি-টিয়ার গ্যাস তুচ্ছ বলে প্রমাণিত হয়েছে অতীতে। এমন অভিজ্ঞতা আওয়ামী লীগেরও কম নেই। আমরা দেশের বর্তমান প্রধান দুই পক্ষকে হানাহানি-সহিংসতা-সংঘাতের পথ পরিহার করে উদ্ভূত পরিস্থিতির একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজে বের করার জন্য অনুরোধ করছি। দেশ ও জাতির স্বার্থে তা খুবই জরুরি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধান থেকে বাতিল হয়ে গেছে বলে সে রকম কোনো ব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তন সম্ভব নয় বলে শাসকদলের পক্ষ থেকে যেসব কথাবার্তা বলা হচ্ছে, তা সমস্যা সমাধানের পক্ষে অন্তরায়। তাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে তারা যখন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার জন্য নিরাপোষ লড়াই করছিল, তখনো তো সংবিধানে এ ব্যবস্থা ছিল না। তারা লড়াই করে তা আদায় করেছে। কাজেই এক সংশোধনীতে (পঞ্চদশ) ব্যবস্থাটি বাতিল হলেও আরেক সংশোধনীর (ষষ্ঠদশ) মাধ্যমে কি বিকল্প আরেকটি ব্যবস্থা প্রবর্তন করা যায় না? ইতিমধ্যে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক নানা মহল থেকে এ ব্যাপারে কিছু প্রস্তাব এসেছে বলে পত্রপত্রিকায় খবর ছাপা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের উন্নয়ন সহযোগী অন্যরাও এই মনোভাব স্পষ্ট করেছে যে তারা সব দলের অংশগ্রহণে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চায় বাংলাদেশে। এ ইস্যুতে বাংলাদেশে নিযুক্ত তাদের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের তৎপরতা প্রায় মাস কয়েক ধরে আমরা লক্ষ করছি। তাদের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিনিধিরাও বাংলাদেশ সফর করছেন ঘন ঘন। সর্বশেষ সফর করে গেলেন মার্কিন উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্ট ও'ব্লেক। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়ে গেছেন। ১৯৯৪ সালে এবং ওয়ান-ইলেভেনের আগেও এ ধরনের কূটনৈতিক (বৈদেশিক) তৎপরতার কথা আমাদের মনে আছে। এটা বড়ই দুর্ভাগ্যের যে আমাদের সমস্যা সমাধান করতে আসে বিদেশিরা। আমরা নিজেরা কেন আমাদের সমস্যার সমাধান করতে পারি না? দুই নেত্রীর কাছে আমাদের সনির্বন্ধ অনুরোধ, এবার নিজেরা নিজেদের সমস্যা মেটান। বিরোধীদলীয় নেতার কাছে অনুরোধ করতে চাই, আপনি যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে এসে দলীয় সরকার ছাড়া অন্য যেকোনো ধরনের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন, আপনার সে ধারণা বিল আকারে সংসদে জমা দিন। সংসদে এ নিয়ে কথা বলুন। শাসকদল বৈরী আচরণ করলে ওয়াকআউট করুন, জনগণকে বলুন। লড়াই করুন সংসদের ভেতরে ও বাইরে_সমানতালে। এতে দেশ-বিদেশে আপনার শক্তি ও সমর্থন বাড়বে।
লেখক : সাংবাদিক

No comments

Powered by Blogger.