মেয়র লোকমান হত্যাকাণ্ড-জট খুলছে, তদন্তে মোড় পরিবর্তনের আভাস-মন্ত্রীর ভাই সালাউদ্দিন বাচ্চুও গ্রেপ্তার! by পারভেজ খান ও সুমন বর্মণ

রসিংদীর পৌর মেয়র লোকমান হোসেনকে কারা হত্যা করেছে, কেন হত্যা করেছে, হত্যার ব্যাপারে কোথায় ও কত দফায় পরিকল্পনা করা হয়েছে, ভাড়াটে খুনিকে কিভাবে জোগাড় করেছে এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কে বা কারা অর্থ জোগান দিয়েছে_সেসবের পূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত চার আসামির কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ কথা জানান তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা। তাঁর মতে, তদন্তে এমন কিছু তথ্য এসেছে_এতে হত্যার ঘটনাটি নাটকীয় মোড় নিতে পারে।


এদিকে লোকমান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত অপর দুই আসামি আবদুল মতিন সরকার এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর ভাই সালাহউদ্দিন আহমেদ বাচ্চুকে গ্রেপ্তারের কথা তদন্ত-সংশ্লিষ্ট পুলিশ স্বীকার না করলেও গোয়েন্দা পুলিশ ও সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বাচ্চুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বুধবার রাতে রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে। সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের নির্দেশে গ্রেপ্তারের বিষয়টি গোপন রেখেছে পুলিশ। তাদের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তত্ত্বাবধানে কড়া নজরদারিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে পরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে।
এই দুই এজাহারভুক্ত আসামিকে ধরা হলেও বিষয়টি পুলিশের পক্ষ থেকে স্বীকার না করায় নরসিংদীবাসী ক্ষুব্ধ এবং বিস্মিত। গতকাল এলাকার অনেকের সঙ্গে কথা হয়। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায়, প্রধানমন্ত্রী এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিজে তদারকি করছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু তদন্তের। এর পরও পুলিশের এই রহস্যজনক ভূমিকা তাদের মাঝে বিভিন্ন রহস্যের জন্ম দিয়েছে। তারা মনে করছে, প্রধানমন্ত্রীকে তদন্তের সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে না। ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে যুক্ত একটি প্রভাবশালী মহল মন্ত্রী রাজু এবং তাঁর ভাই বাচ্চুকে মামলা থেকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, এজাহারে বাদী ১৪ জনকে আসামি করলেও তাঁদের মধ্যে এমন কয়েকজন আছেন, যাঁরা আদৌ এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন। আবার এজাহারে নেই_এমন কয়েকজন এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত। এর বাইরে অপরিচিত ভাড়াটে খুনি তো আছেই। মামলার তদন্তে এমন কিছু তথ্য আসছে, যাতে ঘটনাটি নাটকীয় মোড় নিতে পারে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নরসিংদীর জুনু, হুমায়ুন কবীর, সাত্তার হাজিসহ কয়েকজনকে সন্দেহভাজন মনে করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সাত্তার হাজির বাড়িতে হামলা চালায় এবং অগি্নসংযোগ করে। হত্যাকাণ্ডে তাঁদের সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। নিহত লোকমানের সঙ্গে এজাহারভুক্ত আসামি তারেক আহমেদ ও আশরাফ সরকারের সম্পত্তি নিয়েও বিরোধ ছিল। তদন্তে এসব বিষয়ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, হত্যাকাণ্ড ঘটাতে মোটা অঙ্কের টাকায় ভাড়াটে খুনি আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে কয়েকজন ঢাকার সন্ত্রাসী। এই সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আলোচনা করেছিল গ্রেপ্তারকৃত আসামি কাজী টিপ্পন। হত্যাকাণ্ডের আগে ঢাকার গুলশানের একটি বাড়িতে ও শাহবাগে কয়েক দফা বৈঠক হয় বলেও তদন্তে জানা গেছে। তথ্যগুলোর আরো যাচাই-বাছাই চলছে। এ ছাড়া পলাতক তিন আসামি মোবারক হোসেন মোবা, নুরুল ইসলাম ও কবীর সরকার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের সানওয়ে লেগুনপার্কের একটি অ্যাপার্টমেন্টে আছে। অ্যাপার্টমেন্টটি নরসিংদীরই এক পলাতক সন্ত্রাসী সুমনের। সুমন ডাকাতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। মামলার এজাহারভুক্ত আরেক পলাতক আসামি তারেক এলাকায় প্রচারণা চালিয়েছিল, সে সৌদি আরব যাচ্ছে হজ করতে। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, গত ৩০ অক্টোবর সে সৌদি আরব নয়, দুবাই গেছে। বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছে।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর যারা ক্ষোভে প্রকাশ করেন, তাঁদের একজন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও নরসিংদী সরকারি কলেজ সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম কাইয়ুম। তিনি নিহত লোকমানের খুব কাছের মানুষ হিসেবেই পরিচিত। ঘটনার পর কে বা কারা তাঁকে অপহরণ ও হত্যার চেষ্টা চালায় বলে তিনি থানায় মামলা করেন। পুলিশের তদন্ত এমন কৌশলে চলছে যে কাইয়ুমও তাঁদের সন্দেহের বাইরে নন। তাঁর গতিবিধির ওপরও নজর রাখা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের পর মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত এজাহারভুক্ত আসামি মোবার সঙ্গে তিনি টেলিফোনে কথাও বলেছেন।
এ ব্যাপারে এস এম কাইয়ুম গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, তাঁকে যে সন্দেহ করা হচ্ছে, তা তিনি নিজেও জানেন। তাঁকে ঢাকায় র‌্যাব কার্যালয়ে নিয়ে টানা চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। সরকারের একাধিক সংস্থা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এখন পুলিশ, র‌্যাব বা ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তারাই ভালো বলতে পারবেন।
কাইয়ুম বলেন, মোবা তাঁর অপরিচিত কেউ নন। তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদেরই একজন। ঘটনার কয়েক দিন পর মোবা নিজেই তাঁকে ফোন করে। সে জানতে চায়, এই হত্যাকাণ্ডে তাকে কেন আসামি করা হয়েছে। এই টেলিফোনের বিষয়টি র‌্যাব ও পুলিশকে তিনিই জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে কাইয়ুম বলেন, বাচ্চু এবং মতিন সরকারকে গ্রেপ্তারের ঘটনাটি পুলিশের এড়িয়ে যাওয়া রহস্যজনক। এতে তিনি ন্যায়বিচার পাবেন না বলে শঙ্কিত।
নরসিংদী সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মঞ্জুর এলাহী গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, হত্যাকারীরা একজন পৌর মেয়র লোকমানকে খুন করেনি; খুন করেছে নরসিংদীকে। নরসিংদীর রাজনৈতিক ঐতিহ্যকে। সব হত্যাকাণ্ডই অস্বাভাবিক, কিন্তু এভাবে লোকমানের মতো জনপ্রিয় একজন রাজনীতিক বা জনপ্রতিনিধির খুন হওয়ার ঘটনা সব নরসিংদীবাসীকেই আতঙ্কিত করেছে। তিনি নিজেও আতঙ্কগ্রস্ত বলে জানান।
মামলার তদারকি কর্মকর্তা ও নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন গতকাল কালের কণ্ঠকে জানান, এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাজনৈতিক আধিপত্য, সামাজিক আধিপত্য, প্রভাব বিস্তারের লড়াই, অর্থ নিয়ে বিরোধ, পূর্বশত্রুতাজনিত বিরোধ_সবই কাজ করেছে। সব কিছুর ওপর আধিপত্য বিস্তারের বিষয়টি। তবে এখনো স্পষ্ট করে বলার কিছু আসেনি। আরেকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই অনেক রহস্যের জবাব স্পষ্ট হয়ে ওঠবে। পুলিশ আশাবাদী, ১৫ দিনের মধ্যে খোলামেলাভাবে সব কিছু বলা যাবে।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাচ্চু এবং মতিন সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না, তা তিনি জানেন না।
এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর শহরের ভেলানগর এলাকা থেকে একটি রিভলবার উদ্ধার করা হয়। সেটা অনেক মূল্যবান। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে তিনটি গুলির খোসাও উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো এখন ব্যালেস্টিক পরীক্ষার জন্য সিআইডি দপ্তরে। রবিবার নাগাদ রিপোর্ট তাঁদের হাতে এসে পেঁৗছতে পারে। হত্যাকাণ্ডে কী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, তখন স্পষ্ট করে বলা যাবে।
কয়েকজন নরসিংদীবাসী গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেছে, লোকমান হত্যাকাণ্ডের পর নরসিংদীর চারজন সংসদ সদস্য খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন। কিন্তু পরে মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু দেশে ফেরার পর তাঁরা অনেকটাই পাল্টে যান। এখন তাঁদের ভূমিকা রহস্যজনক। তাঁদের কেউ কেউ এখন হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের বদলে মন্ত্রী ও তাঁর ভাইকে রক্ষার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। তাঁদের হস্তক্ষেপের কারণেই বাচ্চু ও মতিন সরকার আটক হলেও পুলিশ সেটা প্রকাশ করছে না। হয়তো কোনো সাজানো নাটক তৈরি করছে পুলিশ। সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো, হত্যাকাণ্ডের পর তিন সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম হীরু, জহিরুল হক ভুঁইয়া মোহন এবং আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ ঘোড়াশালে নাজমুল সিএনজি স্টেশনে গোপন বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী ও তাঁর ভাইকে কিভাবে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া যায় সে আলোচনাই নাকি হয়েছে ওই বৈঠকে।
গতকাল এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ কালের কণ্ঠকে বলেন, যে অভিযোগ আনা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। মূলত ওই দিন তাঁরা নরসিংদীতে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির এক বৈঠকে যাচ্ছিলেন। সেখানে একত্র হয়ে তাঁরা নরসিংদী আসেন। লোকমান হত্যাকাণ্ড নিয়ে সেখানে কোনো কথাই হয়নি।
দিলীপ এ কথা বললেও ভিন্ন কথা বললেন সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভুঁইয়া মোহন। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকের দিনে নয়, ওই সিএনজি স্টেশনে তাঁরা বসে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক শোকসভার দিনে। বৈঠকে তাঁদের মধ্যে নরসিংদীর আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে কথা হয়। আলোচনা হয় লোকমান হত্যাকাণ্ড নিয়েও। আর এই আলোচনার স্বার্থেই সেখানে প্রশাসনের ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ডাকা হয়েছিল। তবে হত্যার দায় থেকে মন্ত্রী বা তাঁর ভাইকে বাঁচানোর ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়নি বলে তিনি জানান।
গতকাল মামলার বাদী নিহত লোকমানের ছোট ভাই কামরুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সন্তুষ্টই ছিলেন এত দিন। এখনো পুলিশের প্রতি তাঁর আস্থা আছে। কিন্তু মতিন সরকার ও বাচ্চুকে গ্রেপ্তার করেও কেন বিষয়টি গোপন রাখা হচ্ছে, তা তিনি বুঝতে পারছেন না। তাঁর মতে, এতে তাদের মধ্যেও ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এখন কিছুটা শঙ্কিতও। ঘাতকরা লোকমানকে খুন করে থেমে নেই। ওদের লোকজন এখন তাঁদেরও দেখে নেবে বলে হুমকি দিচ্ছে।
নিহত লোকমানের স্ত্রী নুশরাত বুবলী কালের কণ্ঠকে বলেন, মন্ত্রীর ভাই বাচ্চু ও মতিন সরকারের গ্রেপ্তার নিয়ে পুলিশের লুকোচুরি খেলায় তিনি ন্যায়বিচার নিয়ে শঙ্কিত। তবে তিনি আশাবাদী, যেখানে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং মনিটরিং করছেন, সেখানে কারো কোনো অশুভ পরিকল্পনাই টিকবে না।
উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বর রাতে সন্ত্রাসীর গুলিতে প্রাণ হারান নরসিংদী পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই কামরুজ্জামান বাদী হয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর ছোট ভাই সালাউদ্দিন আহমেদ বাচ্চুকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। আসামিদের মধ্যে দুজন ছাড়া সবাই ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে জড়িত। হত্যাকাণ্ডের পর জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ওই মোটরসাইকেলের সূত্র ধরে গত ১২ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশ টঙ্গীর মোটরসাইকেল গ্যারেজ মালিক হাজি সেলিমকে গ্রেপ্তার করে। হাজি সেলিম লোকমান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মোবারক হোসেন মোবার ভাতিজি জামাই। এরপর সেলিমের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গোয়েন্দা পুলিশ গত রবিবার গোপালগঞ্জ থেকে পেশাদার খুনি ও সন্ত্রাসী টিপ্পনকে গ্রেপ্তার করে। গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকার খিলগাঁও থেকে গ্রেপ্তার হয় এজাহারভুক্ত আরেক আসামি নরসিংদী শহর যুবলীগের সভাপতি আশরাফ হোসেন সরকার। তিনি এজাহারভুক্ত আরেক আসামি মতিন সরকারের ছোট ভাই। তাঁদের তিনজনকেই রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।

No comments

Powered by Blogger.