আর্কটিকের ওজোনস্তরে রেকর্ড পরিমাণ ক্ষয়

আর্কটিক (উত্তর মেরু) অঞ্চলে এ বছর বায়ুমণ্ডলের ওজোনস্তরে ভয়াবহ ধরনের ক্ষয় হয়েছে। এর ফলে ওই অঞ্চলকে এই প্রথমবারের মতো ‘ওজোনগহ্বর’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা।
বিখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার-এ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার ওপরে ওজোনস্তরের কমপক্ষে ৮০ শতাংশ ক্ষয়ে গেছে। এবার শীতকাল অস্বাভাবিক মাত্রায় দীর্ঘায়িত হওয়ায় এমনটা হয়েছে। ওজোনক্ষয়ের জন্য দায়ী রাসায়নিক ক্লোরিন শীতের মধ্যে সবচেয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠে। তবে আবারও এমন মাত্রাতিরিক্ত ওজোনক্ষয়ের ঘটনা ঘটতে পারে কি না, সে বিষয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা।
আর্কটিকে ওজোনস্তর ক্ষয়ের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছিল গত এপ্রিলে। এরপর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এই প্রথম তা বিস্তারিতভাবে জানানো হলো ন্যাচার-এ।
নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির (জেপিএল) মাইকেল সানেটি বলেন, আর্কটিক অঞ্চলের বায়ুমণ্ডলের স্ট্রাটোস্ফিয়ারে শীত-গ্রীষ্মের বেশ তারতম্য পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু গত কয়েক দশকে সেখানে শীতের মাত্রা অনেক বেশি। কাজেই এসবের ভিত্তিতে আমাদের মনে হচ্ছে, সেখানে শীতের মাত্রা আরও বাড়তে পারে। আর যদি সেটা ঘটে এবং ক্লোরিনের মাত্রা বৃদ্ধি ও তা অতিসক্রিয় হয়ে ওঠে, তাহলে সেখানকার ওজোনস্তর আরও ক্ষয় হতে পারে।
ওজোনক্ষয়ের অন্যতম উপাদান ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (সিএফসি) আসে রেফ্রিজারেটর ও অগ্নিনির্বাপকের মতো যন্ত্রের ব্যবহার থেকে। এর ফলে ওজোনস্তর ক্ষয়ের ঘটনা প্রথমে ধরা পড়ে এন্টার্কটিকা (দক্ষিণ মেরু) অঞ্চলে। এখন সেখানকার ওজোনস্তরে অনেকগুলো ছিদ্রের সৃষ্টি হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.