রবীন্দ্রসঙ্গীত থেকে ব্যান্ডসঙ্গীত, পিঠা থেকে পিজা by ড. আর এম দেবনাথ

কী ভীষণ ঠাণ্ডা, এর মধ্যে কী বাইরে যাওয়ার চিন্তা করা যায়! না, পারা যায় না, বিশেষ করে একটু বয়স্ক হলে। কিন্তু বন্ধু ‘বকচুল’ যখন বললেন আজ বিকেলে ‘ছায়ানটে’ স্মরণসভা আছে একটা।
তখন আমি বললাম, না, ভাই যাব না। মাফ করবেন। পর মুহূর্তেই বললেন, ওয়াহিদ ভাইয়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভা। ওয়াহিদ ভাই মানে আমাদের শ্রদ্ধেয় ওয়াহিদুল হক ভাই। আমি সজোরে বললাম, যাব। কখন অনুষ্ঠান? সন্ধে সাতটায়। তাহলে রয়ানা দিতে হবে ৫টায়। শত হোক শান্তিনগর থেকে ধানমণ্ডি যেতে হবে। রাস্তাঘাটের বিশ্বাস নেই। দেড়-দুই ঘণ্টা লাগবে। লাগুক। ওয়াহিদ ভাইয়ের স্মরণসভা যেতেই হবে, ঠাণ্ডা হোক, মরণ হোক। যেই কথা সেই কাজ। ‘বকচুল’ (মাথায় সাদাচুল) ভাইকে নিয়ে রওনা দিলাম গাড়িতে। আমার মুখে কোন কথা নেই। নানা কথা মনে পড়ছে। কে এই ওয়াহিদুল হক? রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী? বৃক্ষপ্রেমী? আপাদমস্তক বাঙালী? সাচ্চা মুক্তিযোদ্ধা? বরেণ্য সাংবাদিক? আজীবন গৃহী সন্ন্যাসী? সঙ্গীতপ্রেমী? কত পরিচয় দেব? বাংলাদেশে ওয়াহিদুল হক একটাই। রাতে খুলনা থেকে ফিরে সকালে কুমিল্লা, সেখান থেকে চট্টগ্রাম। ফিরলেন ঢাকায়, এক রাত, তারপর আবার শ্রীহট্টে। কিসের নেশায় রবীন্দ্রসঙ্গীত, এর মাধ্যমে দেশাত্মবোধ জাগানো, বাঙালী হওয়ার সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করা। অসম্ভব এক ব্যক্তিত্ব। সাহিত্য, দর্শন, উদ্ভিদবিদ্যা, ধর্ম, রাজনীতি, সঙ্গীত সব ব্যাপারেই তিনি। গাড়িতে বসে এসব কথা ভাবছিলাম, আর ভাবছিলাম। আমি ডেবিট-ক্রেডিটের লোক। টাকা-পয়সা! এ প্রেক্ষাপটে যখনই ওয়াহিদ ভাইয়ের সঙ্গে কথা তখন আমার অন্য জগত আমি শ্রোতা-ছাত্র-শিক্ষার্থী। নদীর কলতান থেকে সুর, পাখির কিচিরমিচর থেকে সুর, চাষার মুখ থেকে সুর-এসব বদহজমী অথচ নতুন নতুন কথা। বকচুল দাদাকে কিছুই বলছি না এসব। তিনিও ভাবাপ্লুত। ওয়াহিদ ভাই নেই ভাবা যায়। এসব ভাবতে ভাবতে ধানমণ্ডি পৌঁছে গেলাম আধঘণ্টায়। ঢাকায় কী যে হল শান্তিনগর থেকে ধানমণ্ডি শঙ্করের কাছাকাছি আধঘণ্টায়! অসম্ভব ঘটনা। এখন কী করা যায়? সাতটায় অনুষ্ঠান। অনেক দেরি। ‘বকচুলকে’ বললাম চলুন একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকি। ধানমণ্ডি রেস্টুরেন্টের জায়গা। এটা আর ধানের বাজার নেই। এখানে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ঘরে ঘরে, ডায়াগনস্টিক সেন্টার রোডে রোডে, হাসপাতাল মোড়ে মোড়ে। রেস্টুরেন্ট পদে পদে। রিকশা, গাড়ি, বাস, পাজেরো সব চলছে এক সঙ্গে। মজার ধানমণ্ডি। এককালের ধানের বাজার, পরে গ্রাম, পরে নবীন মধ্যবিত্ত চাকরিজীবীর আবাসিক এলাকা, এখন দোকান-পাট, বাজার, আর বাজার, পোশাকের বাজার, রেস্তরাঁর বাজার, লেখাপড়ার বাজার, চিকিৎসার বাজার, বিদ্যালয়ের বাজার। এটা এখন বাণিজ্যিক এলাকা। কার অনুমতিতে? না, অনুমতি নেই। আবার দেখারও কেউ নেই। বকচুল দাদাকে বললাম, চলুন ঘণ্টা দেড়েক সময় রেস্তরাঁয় কাটাই। যেই কথা সেই কাজ।
ঢুকে গেলাম একটি প্রসিদ্ধ রেস্তরাঁয়। আমার দ্বিধা ছিল। এসব রেস্তরাঁয় যুবক-যুবতীর আড্ডা। সাদাচুল বুড়ো মানুষের জায়গা এসব রেস্তরাঁয় হবে কী? ঢুকে দেখি খালি। সব খালি চেয়ার-টেবিল। বোঝা গেল এখনও কপোত-কপোতীদের আসার সময় হয়নি। মাত্র সাড়ে পাঁচটা, তার ওপর প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। একটা খুবই স্মার্ট মেয়ে আমাদের দু’জনকে বেশ আদব-কায়দার সঙ্গে বসাল। আমি খুবই চমকিত। এই মেয়েটি এই ব্যবহার কোথায় শিখল? তোমার বাড়ি কোথায়? মেয়েটি বলল আমরা পুরান ঢাকার মানুষ। সায়েদাবাদের কাছে বাড়ি ছিল, এখন নতুন ঢাকায়। আমি পড়ি একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে। বলে কী মেয়ে? পড়াশুনা করে, চাকরি করে? ইউনিফর্ম পরা। দেহের গড়ন, পোশাক, আচার-ব্যবহার সবই প্রশংসনীয়। মেয়েটিকে বললাম, আমরা তো কিছু খেতে পারব না। তোমরা যে খাবার দাও তা আমাদের দুইজনের পক্ষে খাওয়া সম্ভব নয়। তুমি বরং একটা কাজ কর, তোমার পছন্দমতো একটা কিছু দাও। তবে অবশ্যই কফি খাব। মেয়েটি বলল, আঙ্কেল, নিশ্চিন্ত থাকুন। ও কিছুক্ষণ পড় এনে দিল গারলিক মাশরুম, আর অনিয়ন রিং। নামে বোঝা দায়। কিন্তু যখন টেবিলে ‘সার্ভড’ হলো তখন মনে হলো খাওয়া যাবে। খুবই উপাদেয়। পটাপট সব খেয়ে ফেললাম। ভীষণ স্বাদ। বুড়ো হয়ে যাচ্ছি বোঝা গেল না। কথা বলছি আর খাচ্ছি, বলছি ওয়াহিদ ভাইয়ের কথা, তার ছোট ভাই বাচ্চু ভাইয়ের কথা, বলছি মিতার কথা। এসব প্রসঙ্গে কথা বলতে বলতে উঠল যুবকদের কথা। তারা কী ওয়াহিদ ভাইয়ের কথা জানে? তারা কী ‘ছায়ানটের’ কথা জানে? তারা কী রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে ভাবে? আমরা এসব প্রশ্নের জওয়াব দিতে গিয়ে নিশ্চিত হতে পারলাম না। আজকের প্রজন্ম ব্যস্ত অন্য কাজে। তাদের প্রিয় ব্যান্ডসঙ্গীত। টেলিভিশনে যা দেখি তা থেকে মনে হয় ষাটোর্ধরা আজ ভিন্ন গ্রহের মানুষ। সঙ্গীতের নামে, গানের নামে, সঙ্গীতচর্চার নামে যা মিডিয়ায় হয় তা সব সময় সহ্য করে নেয়া খুবই কষ্টকর। তাহলে কী হবে? এটাই বর্তমান জমানা। হয় সহ্য করা, না হয় সেকেলে হওয়া। এই ঝুঁকিতে গিয়ে লাভ নেই। জমানার ছেলেরা কেমন, তারা কিভাবে সব সময় সব কথা বোঝা যায় না। মনে হলো ডেস্কে দাঁড়ানো সেবাদানকারী একটা ছেলে গভীর আগ্রহে আমাদের লক্ষ্য করছে। কত বয়স হবে ওর? ২০-২২ বছর হবে হয়ত। তার আগ্রহ ভরা চোখ দুটো দেখে ওকে ডাকলাম কাছে। কী নাম তোমার বাবাজী? বলল একটা নাম যা এখানে উল্লেখ করলাম না সঙ্গত কারণেই। ওপর বাড়ি দক্ষিণ বঙ্গে। নড়াইলে। এত দূর থেকে ঢাকায় কিভাবে এলে? এসেছে পড়াশোনা করতে। এখানে এই রেস্তরাঁয় ও চাকরি করে পড়তে পড়তে। ধানম-িরই একটা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ও বিবিএ পড়ে। শেষ বর্ষ তার। পড়তে এসে চাকরি। এটা খ-কালীন চাকরি। বাবার কষ্ট দেখে ও চাকরিতে ঢুকেছে। বাবা কষ্ট করে এতদিন চালিয়েছে। চাকরি ছোট চাকরি। ক’ পয়সাই বা বেতন? এ দিয়েই সংসার চালানো এবং এ দিয়েই ছেলের পড়াশোনার খরচ মেটানো। এক বছরে খরচ প্রায় এক লাখ টাকা। চার বছরের কোর্সে চার লাখ টাকা। ভাবা যায়? একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে প্রতিবছর এক লাখ টাকা শিক্ষা খাতে ব্যয় করা কঠিন কাজ। এই লেখাপড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে করলে খরচ ‘অশ্বডিম্ব’। শুনেছি এখনো নাকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেতন ছয় টাকা না আট টাকা। সিট রেন্টও তাই। সেখানে বেতন বৃদ্ধির কথা হলে, সিট রেন্ট বৃদ্ধির কথা হলে সরকারের পতন হবে। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়লের প্রায় সব ছাত্রেরই একখানা মোবাইল আছে। তারা বড় বড় রেস্টুরেন্টে খায়। তাদের কী রেস্তরাঁয় চাকরি করতে হয়? আমি জানি না। যে রেস্তরাঁয় বসে কথা হচ্ছে সেখানে যারা চাকরি করে তারা সবাই বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী। বুঝলাম না, একজনও সেখানে নেই যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। যে ছেলেটির সঙ্গে কথা হচ্ছে ও সপ্তাহে চারদিন কাজ করে। প্রতিদিন চার ঘণ্টার ডিউটি। প্রতিঘণ্টায় ও পায় ৫০ টাকা। এই হিসাবে ও মাসে পায় মাত্র ৩২০০ টাকা। এটা কোন টাকাই নয়। ঢাকায় একজন রিকশাওয়ালা, ফেরিওয়ালাও দিনে ৪০০-৫০০ টাকা রোজগার করে। সেই তুলনায় ছাত্রটির রোজগার কিছুই না। তবু ছেলেটি বলল, আঙ্কেল আমার ভীষণ উপকার হচ্ছে, বাবা আমার খরচ চালাতে পারছিলেন না। প্রথমদিকে খরচ চালাতে গিয়ে তিনি কাহিল হয়ে পড়েন। আমি বাধ্য হয়ে চাকরি নিলাম। থাকি ধানম-ির একটা গলিতে। কত খরচ সেখানে? একটা মেস। সেখানে ওরা ছয়জন থাকে। ছয়জনই ছাত্র। চারজন দিনাজপুরের। দুইজন নড়াইলের। ছয়জনই বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা ছয়জন পড়ে। যে ছেলেটির সঙ্গে কথা বলছি ও মেসে খায় একবেলা। আরেক বেলা রেস্তরাঁয় খাবার পায়। তার খরচ কত? একবেলা খাওয়া বাবদ লাগে মাসে ১৫০০ টাকা। ঘর ভাড়া লাগে মাসে ২৫০০ টাকা তা আবার জনপ্রতি। বিদ্যুত ইত্যাদিতে যায় আরও ৩০০ টাকা। তাহলে মোট খরচ প্রায় ৪,৫০০ টাকা। আমি বললাম, তুমি বেতন পাও ৩২০০ টাকা, আর খরচ ৪৫০০ টাকা। বাকি টাকার খবর কী? এছাড়া আছে তোমার হাতখরচ। তুমি সিগারেট খাও? অন্যকোন বদঅভ্যাস আছে। ছেলেটি লজ্জা পেল। বলল যে ছয়জন তারা মেসে থাকে তারা কেই ধূমপান করে না, বাজে অভ্যাসও নেই। ছেলেটি বলল, পুষিয়ে যায় কারণ দিনে কিছু টিপস পাওয়া যায়। কেমন পাও? এর কোন ঠিক নেই। দিনে এক শ’ থেকে পাঁচ শ’ টাকা। নির্ভর করে কী ধরনের কাস্টমার একেক দিন এখানে আসে। ভাগ্য ভাল হলে বেশ টাকা পাওয়া যায়। আবার কোন কোন দিন যায় খারাপ। তবে গড়ে পুষিয়ে যায়। ছেলেটির এক বোন। ও এবার ইন্টারমিডিয়েট পাস করেছে। ওর সঙ্গে কথা হচ্ছে আর ভাবছি আমরা যখন ছাত্র তখন এই সুযোগ ছিল না।
স্বাধীনতার পূর্বে সত্তরের দশকে ঢাকা ছিল ছোট শহর। সদরঘাট দিয়ে শুরু, বলতে গেল ধানম-িতে শেষ। ওদিকে শান্তিনগর শেষ। সদরঘাট থেকে ধানমণ্ডি যেতে রিকশা ভাড়া একটাকা-দেড় টাকা। শহরে প্রাইভেট গাড়ি কোথায়? কোথায়ই বা বাস? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একমাত্র সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের কথাই ওঠে না। মুক্তিযুদ্ধ যারা করেছে তারা ভাবেওনি যে বাংলাদেশে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় হবে, হবে বেসরকারী ব্যাংক-বীমা। কারণ এসবের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেই দেশের স্বাধীনতা। অদ্ভুত সোনার বাংলা, এখন সবই বেসরকারী। পাকিস্তান আমলে নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলেরা, গরিব ছেলেরা পড়ত টিউশনি করে। জগন্নাথ হলে যেসব ছেলে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ রাতে মারা যায় তাদের অনেকেই মারা যায় মাসিক বেতনের টাকার জন্য অপেক্ষা করে। ২৬ মার্চ কালরাত্রি। আর ৪ দিন গেলেই টিউশনির টাকা। সেই টাকা তারা পায়নি। বর্বর পাকিস্তানী সেনাবাহিনী তাদের এর আগেই শেষ করে। আজকে সেইদিন নেই। এখন ছেলেমেয়েরা ‘পার্টটাইম’ চাকরি করতে পারে। এই সেদিন যে ছেলেটি বাণিজ্যমেলায় একটি দোকানে কাজ করতে করতে দুর্ঘটনায় মারা গেল ও ছিল ঐ দোকানে খ-কালীন চাকরিজীবী। এসব আজ ঢাকায় চালু হয়েছে। আমরা শুনতাম বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ার খরচ যোগাড় করে পার্টটাইম চাকরি করে। ঢাকায় এ ব্যবস্থা হবে, একই ব্যবস্থায় আমাদের মফস্বলের ছেলেমেয়েরা ঢাকায় পড়াশোনা করবে তা ছিল অকল্পনীয় কিন্তু এটা হচ্ছে। ছেলেমেয়েদের অনেকেই নিজের টাকাতেই পড়াশোনা করছে। এ এক নতুন জগৎ, নতুন অভিজ্ঞতা। ছেলেমেয়েরা পিঠা ছাড়ছে ‘পিজা’ ধরছে। মাছ-ভাত ছাড়ছে বিরানি খাচ্ছে, রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলসঙ্গীতে অনুৎসাহী হচ্ছে, যাচ্ছে ব্যান্ডসঙ্গীতে, ডলার চিনছে, টাকা চিনছে। চিড়া খাওয়া ছাড়ছে, ধরছে কর্নফ্লেকস। ব্যাংক-বীমাতে এজিএম থাকছে না, হচ্ছে এভিপি; ‘ফ্লোর’ থাকছে না। হচ্ছে ‘লেভেল’। বার্ষিক হিসাব থাকছে না, হচ্ছে সেমিস্টার। রিকশাওয়ালা ‘চাচা’ নয়, মামা। কাঁচাবাজারে কী নেবেন চলে না, চলে কী খাবেন। কত পরিবর্তন চারদিকে। এ সবের মধ্যেই বসবাস। এসবের মধ্যেই ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার’ কথা। এসবের মধ্যেই ওয়াহিদ ভাইকে স্মরণ, যিনি পুঁটি মাছ খেতে হেঁটে হেঁটে চলে যেতেন শিল্পী এমদাদ ভাইয়ের বাড়িতে। তার স্মরণসভা উপলক্ষেই বললাম এত কথা। ওয়াহিদ ভাই নেই, আছে তাঁর কীর্তি ‘ছায়ানট।’ সেই ‘ছায়ানটেও’ কত পরিবর্তন তাই না!
লেখক : সাবেক অধ্যাপক, বিআইবিএম

No comments

Powered by Blogger.