বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতু- অবৈধ বাসস্ট্যান্ড, যানজটে নাকাল যাত্রীরা by ইকবাল হোসেন

রাজধানীর বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতুর প্রবেশপথে অবৈধ বাসস্ট্যান্ড এবং সেতুর ওপরে গাড়ি থামিয়ে রেখে যাত্রী তোলার কারণে সেখানে সারাক্ষণ যানজট লেগেই থাকে। এতে সেতু দিয়ে যাতায়াত করা সাধারণ মানুষকে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সেতুর উত্তর প্রান্তে গিয়ে দেখা যায়, অবৈধ বাসস্ট্যান্ডে অনেকগুলো যানবাহন ছাড়াও সেতুর ওপরে টোলঘরের কাছে এবং লিংক সিঁড়ির সামনের এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মিনিবাস ও ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। টোলঘরের কাছে বাস থামিয়ে তোলা হচ্ছে যাত্রী। এ সময় সেতুর ওপরে যানজটে আটকে আছে অনেক যানবাহন।
মুন্সিগঞ্জ, মাওয়া, দোহার ও নবাবগঞ্জগামী যাত্রীবাহী বাসগুলোকে সেতুর ওপর অবৈধভাবে থামিয়ে যাত্রী তুলতে দেখা যায়। কেরানীগঞ্জের মান্দাইল এলাকার বাসিন্দা আবদুল হামিদ মিয়া জানান, নয়াবাজার এলাকার কিছু প্রভাবশালী পয়সা কামানোর জন্য অবৈধ বাসস্ট্যান্ড বসিয়েছেন। এর কারণে সব সময় সেতু ও নয়াবাজার এলাকায় যানজট লেগেই থাকে।
সপ্তাহে তিন দিন কাপড় কেনার জন্য ঢাকায় আসতে হয় দোহার এলাকার ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেনকে। তিনি এই যানজটের বড় শিকার। আলাপকালে তিনি বললেন, ‘একটা দিনও সময়মতো ঢাকায় যেতে ও আসতে পারিনি।’
সপ্তাহ খানেক ধরে মিটফোর্ড হাসপাতালে যাওয়া-আসা করতে হচ্ছে মগবাজারের বাসিন্দা মো. শিহাবকে। সেতুর ওপরে দাঁড়িয়ে কথা হলো তাঁর সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘তাঁতীবাজার থেকে মিটফোর্ডে রিকশায় আসতে ৩০-৩৫ মিনিট সময় লেগে যায়। যানজট না থাকলে পাঁচ-সাত মিনিটের বেশি লাগত না।’
বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতুর টোল আদায়কারী ইজারাদার মেসার্স ডোর হাউসের পরিচালক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘সেতুতে যাতে যানজটের সৃষ্টি না হয়, সে জন্য আমাদের চার-পাঁচজন লোক সর্বক্ষণ কাজ করে। তার পরও তারা নিরুপায়। যানজটের কারণে আমাদের টোল আদায় কমে যাচ্ছে।’
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিকী জানান, নয়াবাজার এলাকায় যানজট নিরসনের জন্য সারাক্ষণ ট্রাফিক পুলিশ তৎপর রয়েছে। এ ছাড়া সেতুতে যাতে যানবাহন ও যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে না রাখা হয়, সে জন্য চালকদের সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে। আইন অমান্যকারী চালকদের বিরুদ্ধে মামলাও হচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.