একুশ শতক- ডিজিটাল যুগের পেশা ॥ ইন্টারনেটই মূল কেন্দ্র by মোস্তফা জব্বার

তথ্যপ্রযুক্তি ও তার পেশা : তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে আমি তিনটি প্রধান স্রোতধারা চিহ্নিত করতে চাই। এসব ধারা বিভাজন কেবল বড় ধরনের ভাগ ইচ্ছে করলে আর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধারায় আইসিটি সংক্রান্ত কাজগুলোকে বিভাজন করা যেতে পারে।
ক) প্রোগ্রামিং বা সফটওয়্যার ডেভেলপ করা। এই কাজটি কম্পিউটারের বনেদি কাজ। কম্পিউটারের জন্মের পরপরই যারা এই যন্ত্রটিকে আয়ত্ত করে কাজ করতে পেরেছেন এই পেশাটি সেই ধারার। এর ক্ষেত্রটিও বিশাল।
খ) তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবা প্রদান। কম্পিউটার যখন গাণিতিক কাজের সীমানা অতিক্রম করল তখন একে কেন্দ্র করে সেবা প্রদানের কাজের ব্যাপক প্রসার ঘটে। এই স্রোতধারাটি সেই গোত্রীয়।
গ) কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার বিষয়ক কাজ ও সেবা প্রদান। এই ধারাটি হচ্ছে কম্পিউটারের সংযোজন, মেরামত, সফটওয়্যার ইন্সটলেশন, নেটওয়ার্ক স্থাপন ইত্যাদি।
ক) প্রোগ্রামিং বা সফটওয়্যার ডেভেলপ করা : আইসিটিকে ভিত্তি করে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রথম পেশাটি নিয়েই শুরুতে আলোচনা করা যেতে পারে। এটি প্রকৃতার্থে প্রথম জমানার কম্পিউটার পরিচালনার প্রাথমিক যোগ্যতা ছিল। কারণ তখন প্রোগ্রামিং না জানলে কম্পিউটার দিয়ে কোন কাজ করা যেত না।
বলা যেতে পারে এটি একুশ শতকের মহত্তম পেশা। সম্ভবত সবচেয়ে দামী পেশাও। এই কাজ করে যে পারিশ্রমিক পাওয়া যায় তা আর কোন কাজে পাওয়া যায় না। বিশ্বজুড়ে প্রোগ্রামারের চাহিদা বাড়ছেই। কিন্তু সেই বাড়তি চাহিদা পূরণ করার মতো অবস্থা আমাদের নেই। বরং আমাদের দেশেও খুব উন্নতমানের কাজ করতে পারেন তেমন প্রোগ্রামারের অভাব রয়েছে। আমরা যে পরিমাণ প্রোগ্রামার তৈরি করি তা এখন বিদেশী বা বড় কোম্পানিগুলোর চাহিদা মেটাতে পারে না। বরং বহু কোম্পানি এখন বাংলাদেশ থেকে তাদের প্রয়োজনীয় জনবল সংগ্রহ করতে পারে না। রফতানিতে আমাদের অবদান সীমিত থাকার পেছনেও এই জনবল সঙ্কট দায়ী। তাছাড়া এটিও মনে রাখা দরকার যে, এই খাতে দক্ষ জনবল তৈরি করার জন্য আমাদের পরিকল্পিত উদ্যোগেরও অভাব রয়েছে। কম্পিউটার বিজ্ঞানে চার বছরের অনার্স কোর্স সমাপ্ত করে এই খাতে প্রবেশ করার যে রেওয়াজটি রয়েছে সেটিকে বদলে শুধু প্রোগ্রামিং শেখার একটি ব্যবস্থা করা গেলে হয়ত এই খাতে আমরা বিপুল পরিমাণ মানুষ খুব দ্রুত তৈরি করতে পারতাম। অন্য ডিসিপ্লিনে শিক্ষাগ্রহণকারীরাও হয়ত এই খাতে যোগ দিতে পারত। কিন্তু সেই পথে আমরা পা বাড়াইনি। আমাদের এখানকার প্রবণতা হলো কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল শেখানোর নামে শিক্ষার্থীকে সকল বিষয়ের প-িত বানিয়ে ফেলা। কিন্তু যখন সে সার্টিফিকেটটি নিয়ে বের হয় তখন সব বিষয়ের জ্ঞান থাকলেও বিশেষ দক্ষতার অভাব থেকে যায়।
প্রোগ্রামিংয়ের কাজ নানাভাবে বিভক্ত। প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জেনে সফটওয়্যার বা এ্যাপ্লিকেশন তৈরি, ডাটাবেজ এ্যাপ্লিকেশন তৈরি, ওয়েব পেজ তৈরি, মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট তৈরি ইত্যাদি কাজ করা যেতে পারে। কেউ একজন সি# শিখতে পারেন। সেটি দিয়ে তিনি এ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম তৈরি করতে পারেন। কেউ একজন ভিজুয়াল বেসিকে কাজ করতে পারেন। কেউ ওরাকল, এসকিউএল জানতে পারেন। কেউ পিএইচপি জানতে পারেন। আবার কেউ শুধু ফ্লাশ বা এ্যাকশন স্ক্রিপ্ট জানতে পারেন। ইদানীংকালে মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করার ঝোঁকও বাড়ছে। প্রোগ্রামিংয়ের নবতম প্রবণতা হলো অবজেক্ট অরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং।
খ) আইটিইএস : আইটিইএস হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সেবা প্রদান করা। বাংলাদেশে এই কাজটির সূচনা হয় ডেস্কটপ পাবলিশিং থেকে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তখন একে আইসিটির কাজ বলে স্বীকার করা হয়নি। তবে এক সময়ে এটি অনুভব করা যায় যে, বাংলাদেশ থেকে সফটওয়ার রফতানির চাইতে অনেক বেশি সম্ভাবনার ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়ায় গ্রাফিক্স। সেই সুবাদে আমাদের রফতানি আয়ে গ্রাফিক্স বা ডেস্কটপ পাবলিশিং অবদান রাখতে শুরু করে।
তবে মোদ্দা কথাটি হচ্ছে আমরা কম্পিউটারের জন্য যে উন্নত জনবল প্রয়োজন সেটি তো তৈরি করতে পারছি না। অন্যদিকে আমরা সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল তৈরি করছি অনেক। দেশে এদের কর্মসংস্থানের সুযোগ কেবল সীমিত নয় বরং নেই বলা যায় রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় কাজ হচ্ছে এই জনবলকে কাজে লাগানো বা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। এক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ও মাল্টিমিডিয়া ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে পারে।
১) ওয়েব ডিজাইন : ওয়েব ডিজাইন একটি ভাল পেশা। দিনে দিনে এর প্রসার ঘটছে। দেশে-বিদেশে কাজের চাহিদা বাড়ছে। ভবিষ্যতে এর চাহিদা আরও বাড়বে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান-অফিস-আদালত-দফতর-বিভাগ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকার কথা। এর ফলে এইসব ওয়েবসাইট তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজের চাহিদা বাড়ছে। তবে এটি মনে রাখা দরকার যে, ওয়েব ডিজাইন কেবল এইচটিএমএল নয়। এখন ওয়েব মানে অনেক কিছু। এতে গ্রাফিক্স, অডিও-ভিডিও, রেডিও, ব্লগিং, ওয়েব কাস্ট; ইত্যাদি বহু প্রসঙ্গ এসে গেছে। বরং একটু ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে ওয়েব মানে এখন যতটা কোড লেখা তার চাইতে অনেক বেশি এর নান্দনিক সৌন্দর্য সৃষ্টি করা। ফলে এর সঙ্গে গ্রাফিক্স ও মাল্টিমিডিয়া যুক্ত হয়ে পড়েছে ব্যাপকভাবে। এসব কাজে সাধারণ শিক্ষা শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা যুক্ত হতে পারে। কারণ এসব কাজ করার জন্য কম্পিউটার বিজ্ঞানের স্নাতক হবার প্রয়োজন নেই। কিন্তু কিছুটা কোড লেখা এবং পুরোটা মগজ ব্যবহার করার যোগ্যতা থাকা জরুরি।
১) ইন্টারনেটকেন্দ্রিক মার্কেটিং : এক সময়ে আমরা মিডিয়া বলতে রেডিও, টেলিভিশন ও কাগজকে বুঝতাম। ব্যবসা-বাণিজ্য বা পণ্যের বাজারজাতকরণ তাই সেইসব মিডিয়াকেন্দ্রিক ছিল। কিন্তু যতই আমরা ডিজিটাল দুনিয়াতে যাচ্ছি ততোই এটি উপলব্ধির মাঝে আসছে যে, ইন্টারনেট হলো সকল মিডিয়ার সেরা মিডিয়া। এজন্য সনাতন মিডিয়ার পাশাপাশি এখন ইন্টারনেটকেন্দ্রিক মার্কেটিং খুবই জনপ্রিয় হচ্ছে। এসব কাজের মাঝে রয়েছে ইন্টারনেটে যারা তথ্য খোঁজেন তাদের সামনে তথ্য তুলে ধরা। এই কাজটিকে বলা হয় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। এই কাজটির জন্য ওয়েবসাইটে এমন সব ব্যবস্থা করা হয় যাতে কীওয়ার্ড ধরে অনুসন্ধান করার সময় খুব সহজেই ইন্টারনেটের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়। ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপন প্রদান, কোন ঘটনার বিবরণ তৈরি, ই-মেইল পাঠছানো, ফেসবুক বা টুইটারে বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্কে স্ট্যাটাস দেয়া বা ব্লগ লেখা ইত্যাদি শত সহস্র্র প্রকারে ইন্টারনেটে মার্কেটিং করা যায়।
২) শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তি : যদিও আমি গ্রাফিক্স মাল্টিমিডিয়ার নানা খাত নিয়ে কথা বলেছি তথাপি আমার নিজের কাছে মনে হয় বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির বড় ক্ষেত্রটি হলো শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার। এমন এক খাত যার সঙ্গে কেবল যে দেশের সকল মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত তাই নয় বরং তথ্যপ্রযুক্তির সকল ক্ষেত্রে একটি বিশাল সম্ভাবনার ক্ষেত্র হচ্ছে এটি।
এক্ষেত্রে আমরা এরই মাঝে একটি চমৎকার বীজ বপন করতে সক্ষম হয়েছি। ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বর মাসে দেশে প্রথম আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুল নামের এক ধরনের কম্পিউটারে শিক্ষাদানকারী স্কুলের সূচনা হয়। এই সব স্কুল ২০০৩ সালে ৩২টিতে উন্নীত হয়। এসব স্কুলে শিশুদের জন্য শিক্ষামূলক সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয়। ২০১২ সালে এসে দেখছি যে সেই ৯৯ সালের কর্মকা- এখন সরকারের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকারে পরিণত হয়েছে। সরকার দেশজুড়ে কম্পিউটার ল্যাব গড়ে তোলার পাশাপাশি এখন স্মার্ট ক্লাসরুম গড়ে তুলছে। ২০১৫ সালের মাঝে আমাদের সব ক’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাসরুম স্মার্ট ক্লাসরুমে পরিণত হবার কথা। এর মানে দাঁড়াবে ছেলেমেয়েরা কম্পিউটারকে শিক্ষালাভের জন্য ব্যবহার করবে। এর বড় মানেটি হলো ক্লাসরুমের জন্য শিক্ষামূলক উপাদান দরকার। আমি আশা করি অচিরেই এই সব সফটওয়্যার ভুলে ভরা নোট বই ও ফাঁকিবাজ গৃহশিক্ষকের বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। মাল্টিমিডিয়ার মূল নিয়ামক গ্রাফিক্স, টেক্সট, অডিও, ভিডিও ও এনিমেশনের প্রতিটি সেক্টরকে আকর্ষণীয় ও চিত্তাকর্ষকভাবে ব্যবহার করে পড়াশোনার একঘেয়ে ব্যাপারটিকে অনেকখানি বদলে ফেলা সম্ভব।
আমরা একটি অঙ্ক করে দেখেছি, একজন মাল্টিমিডিয়ার ছাত্র তাদের ইন্টার্নীশিপের সময়কালীন পূর্ণ মনোযোগ ও পরিশ্রমের সঙ্গে কাজ করলে তার পক্ষে এক বছরের মধ্যে চমৎকার একটি শিক্ষামূলক সফটওয়্যার তৈরি করা সম্ভব। এ ব্যাপারে ডিজাইন, লাইব্রেরী, ক্যামেরা, ক্যাপচার, ইন্টারনেট, এনিমেশন, প্রোগ্রামিংসহ সব ব্যাপারেই প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান তাকে পূর্ণ সহযোগিতা দিতে পারে। যদি তার প্রতিটি সফটওয়্যারের বিক্রয়মূল্য তিনশ’ টাকা হয় এবং সে যদি সারাদেশে এক বছরে তার সফটওয়্যারের এক হাজারটি কপিও বিক্রি করতে সমর্থ হয় তবে প্রোডাকশন খরচ বাবদ বিশ হাজার টাকা, মাল্টিমিডিয়া কোর্স ফি বাবদ বিশ হাজার টাকা এবং বিক্রেতাকে প্রতি সিডিতে পঞ্চাশ টাকা কমিশন দিয়েও তার লাভ থাকবে দুই লক্ষ টাকা, যা প্রতি মাসে সাড়ে ষোলো হাজার টাকা আয়ের শামিল। অর্থাৎ প্রথম দুই মাসেই তার পুরো কোর্স ফি উঠে আসবে। যদি তার এডুকেশনাল সফটওয়্যারটি মোটামুটি মানসম্পন্ন হয় তবে বছরে এক হাজার কপি বিক্রয় করা কোন অলীক ব্যাপার নয়। মাত্র তিনশ’ টাকা মূল্যমানের এক সিডিতে একজন অভিভাবকের সন্তান পাচ্ছে তার পুরো পাঠ্য বইয়ের অডিও ভিজুয়াল সমাধান। তাতে থাকছে প্রয়োজনীয় ভিডিও, রেফারেন্স ছবি, শব্দ, বিগত কয়েক বছরের সমাধান করা প্রশ্নপত্র, ইন্টারএকটিভ মাল্টিপল চয়েস কোশ্চেন্স, মেধা যাচাইয়ের জন্য পাঠ্য পুস্তকের ওপরে নির্মিত আর্কেড গেমস ছাড়াও প্রাসঙ্গিক নানাবিধ তথ্য। অনেক অভিভাবকই তার সন্তানের জন্য প্রতি মাসে এর চেয়ে অনেক বেশি পয়সা খরচ করে থাকেন। তাছাড়া একটি সিডির ধারণ ক্ষমতা তার পাঠ্য পুস্তকের সাইজের কয়েক সহস্র গুণ বেশি। ব্যাপারটি যদি এমনই হয়, তবে সেই সফটওয়্যারটি কিনতে কোন অভিভাবকের তো দ্বিধা করার কথা নয়। বাংলাদেশে সাড়ে তিন লাখ হোম ইউজারদের কাছে পিসি আছে (প্রতিদিন তা বাড়ছে)। তাদের মধ্যে বছরে হাজারখানেক মানসম্পন্ন শিক্ষামূলক সিডি বিক্রয় করা দুঃসাধ্য নয়। তাছাড়া প্রতি বছরই আপনার সফটওয়ারটি আপগ্রেড হয়ে নতুন নতুন তথ্য ও আঙ্গিকে প্রকাশিত হবে।
বেকারত্বের গ্লানিতে জর্জরিত, সম্মুখে অন্ধকার নিয়ে আমাদের তরুণ সমাজের জন্য তার আত্মকর্মসংস্থানের এই বিষয়টি ভেবে দেখার মতো।
৩) এনিমেশন শিল্প : কার্টুন বা এনিমেশন একটি দারুণ শ্রমঘন শিল্প। আমরা টেলিভিশনে যে কার্টুন ছবিগুলো দেখি তা দেখে ভাবতেও পারি না এই শিশুতোষ ছবিগুলোর পেছনে কি বিপুল পরিমাণ জনশক্তি কাজ করে এবং এটির নির্মাণ কাজে কি পরিমাণ অর্থ ব্যয়িত হয়। টেলিভিশনে যে মুভি দেখানো হয় তাতে প্রতি সেকেন্ডে ২৫ টি ফ্রেম অতিক্রান্ত হয়। তাই কার্টুন ছবিকে বাস্তবসম্মত করতে হলে প্রতি সেকেন্ডে ২৫টি ফ্রেম তৈরি করতে হয়। অর্থাৎ ‘টম এন্ড জেরি’ ছবিটির একটি এপিসোডের দৈর্ঘ্য যদি ২০ মিনিট হয় তবে তাতে মোট ফ্রেম সংখ্যা হবে ২৫* ৬০* ২০= ৩০,০০০। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফ্রেমগুলো মাল্টিলেয়ার নিয়ে থাকে, তাই দেখা যায় ২০ মিনিটের একটি এপিসোড তৈরি করতে ৫০,০০০ এরও বেশি ফ্রেম আঁকতে হচ্ছে। শুধু এঁকেই যে ব্যাপারটি শেষ হয়ে যায় তাই নয়। ফ্রেমগুলোকে যথাযথভাবে রং করতে হয় এবং রোস্টার ক্যামেরায় তার ছবি তুলে শব্দ সম্পাদন করে তবেই তা প্রদর্শনযোগ্য হয়ে থাকে।


ঢাকা, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ॥ লেখক তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান- সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ-এর প্রণেতা ॥ ই-মেইল : mustafajabbar@gmail.com, ওয়েবপেজ :www.bijoyekushe.net

No comments

Powered by Blogger.