ঢাকা-মাওয়া সড়কে পলাশী যুদ্ধ!- মূল কারণ মাইক্রো ভাড়ায় বচসা by মীর নাসির উদ্দিন

মিয়া একটি মাইক্রোবাস ভাড়াকে কেন্দ্র করে কেরানীগঞ্জ ও সিরাজদিখানবাসীর ভিতর ঘটে গেল 'পলাশীর যুদ্ধ'। শত শত বছর আগের দেশী অস্ত্র নিয়ে দুই উপজেলার মানুষ প্রায় আড়াই ঘণ্টা লড়াই করলেন।
পলাশী যুদ্ধে অবশ্য মহিলা বাহিনী ছিল না। কিন্তু এ যুদ্ধে টেঁটা হাতে দৌড়াতে দেখা গেল মহিলাদের। ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে এই যুদ্ধে ব্যবহৃত হয় রামদা, জুইত্যা, গেতা ও টেঁটাসহ নানান ধরনের দেশী অস্ত্র, যা দেখে উপস্থিত পুলিশ সুপার ঘটনাকে পলাশীর যুদ্ধ হিসাবেই আখ্যায়িত করলেন।
মহাসড়কের ওপরে সকাল সাতটা থেকে বেলা বারোটা অবধি এই যুদ্ধ ঘটে দফায় দফায়।
দুই পৰে প্রায় ৫ হাজার মানুষ এ সংঘর্ষে অংশ নেয়। যার ফলে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আটকপড়ে হাজার হাজার মানুষ। শুক্রবার এই সংঘর্ষ হয় মূলত বৃহস্পতিবারের একটি মাইক্রোবাস ভাড়াকে কেন্দ্র করে। বৃহস্পতিবার সিরাজদিখানের খাসকান্দি গ্রামের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম সরকারের ভাতিজা হাসেম ও আবুল মাইক্রোবাস ভাড়া করতে যায় কেরানীগঞ্জের আব্দুলস্নাপুর। সেখানে মাইক্রোবাস চালক বাবুল ভাড়া বেশি দাবি করলে হাসেম ও আবুল তাকে গালি দেয়। পরে চালক এলাকার লোক নিয়ে তাদের মারধর করে। হাসেম ও আবুল খবর দিলে তাদের এলাকার লোকজন এলে মারামারি হয়। এর জের ধরেই শুক্রবারের এই ঘটনাটি ঘটে।
সিরাজদিখান এলাকায় নেতৃত্ব দেন সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুস ছালাম সরকার। অন্যদিকে কেরানীগঞ্জে নেতৃত্ব দেন বারেক মাতবর।
ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার আব্দুলস্নাপুর, রসুলপুর ও সাকতা এবং মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার বালুর চর ইউনিয়নের খাসকান্দি, পাইনার চর, মোলস্নার চর, বুলবুলিয়ারচরসহ ১০/১২টি গ্রাম এই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দেশীয় অস্ত্রের ব্যবহার ছাড়াও বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ছোড়া হয়। এতে ৩০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
দেশী অস্ত্রের এই মহড়া এবং দুটি এলাকার এই সংঘর্ষ শেষ পর্যনত্ম আপোসে রফা হয়। কেরানীগঞ্জের সরকার দলীয় এমপি নসরম্নল হামিদ বিপুর উপস্থিতিতে ঢাকা ও মুন্সীগঞ্জ জেলার ইউএনও, পুলিশ কর্মকর্তারা বিচারের আশ্বাস দিলে এ সংঘর্ষ বন্ধ হয়।
তবে এর আগে বেলা বারোটার দিকে র্যাব-পুলিশ পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

No comments

Powered by Blogger.