মেহেরপুরে যুবলীগ নেতা খুন- মামলা, আসামির প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

মেহেরপুর পৌরসভার কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে সদর থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তাঁর স্ত্রী বেলী খাতুন।
আসামিরা হচ্ছেন: জেলা যুবলীগের সভাপতি সাজ্জাদুল আনাম, সহপ্রচার সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মাহফিজুর রহমান, শহর যুবলীগের সদস্য আফজার হোসেন, মাহফুজুর রহমান ও আরিফ হোসেন। পুলিশ গতকাল বুধবার শহীদুল ইসলামকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে গতকাল জেলা ছাত্রলীগ শহরে মিছিল বের করে।
মিছিল থেকে শহরের মাস্টারপাড়ায় আসামি আফজার হোসেনের কম্পিউটার প্রশিক্ষণকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ২০টি কম্পিউটার ভাঙচুর করে এবং প্রতিষ্ঠানে আগুন ধরিয়ে দেয়।
হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মেহেরপুর পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কাউন্সিলররা গতকাল কালো ব্যাচ ধারণ, কর্মবিরতি ও পৌরসভায় কালোপতাকা উত্তোলন কর্মসূচি পালন করেছেন।
আসামি সাজ্জাদুল আনাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘যুবলীগ এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চায়। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে আমাকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।’
জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল আলম বলেন, ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতাদের আসামি করা হয়েছে। মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দিতে বুধবার (গতকাল) জেলা যুবলীগ ও অঙ্গসংগঠনগুলো যৌথসভায় বসবে।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক জানান, আসামি শহীদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান শুরু হয়েছে। সন্দেহভাজন কয়েকজনকে ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক হত্যাকাণ্ডে ব্যবহূত একটি পিস্তল ঘটনাস্থলের অদূরে একটি ডোবা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২৮ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে আবদুল্লাহ আল মামুন শহরের কাঁসারী পাড়ায় শহীদুল ইসলামের (মামলার আসামি) বাড়িতে বসে গল্প করছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা ওই বাড়িতে ঢুকে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে।

No comments

Powered by Blogger.