সবজির বাজারে স্বস্তি, চাল পেঁয়াজে ফের অস্থিরতা

 চাল ও পেঁয়াজে ফের অস্থিরতা দেখা দিলেও স্বস্তি ফিরেছে শীতকালীন সবজির বাজারে। নাজিরশাইল বাদে প্রায় সব ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৩-৪ টাকা পর্যন্ত।
প্রতিকেজিতে ১০ টাকা বাড়ায় আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ পেতে ভোক্তাকে ৪৫-৫০ টাকা গুণতে হচ্ছে। প্রতিকেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে নতুন ওঠা দেশী পেঁয়াজের দাম। ৩৫-৩৭ টাকা কিনতে হচ্ছে এই পেঁয়াজ। দাম বাড়ার তালিকায় যোগ হয়েছে ব্রয়লার মুরগি। কেজিপ্রতি ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা।
অতি প্রয়োজনীয় এসব নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও ভোক্তাদের স্বস্তি মিলেছে সবজির বাজারে। কিন্তু সবজির দাম কমার আনন্দ ম্লান করে দিচ্ছে চাল ও পেঁয়াজের উচ্চমূল্য বৃদ্ধি।
প্রতিকেজি আলু ও শিম বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। মানভেদে ২৫-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে টমেটো। এ ছাড়া ফুলকপি-বাঁধাকপির দামও কমতির দিকে রয়েছে। প্রতিকেজি মটরশুটি পাওয়া যাচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। দাম কমছে অন্যান্য শাক-সবজিরও। তবে কাঁচামরিচ এবং করল্লা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। বিক্রেতরা বলছেন, শীঘ্রই এ দুটি পণ্যের দামও কমে আসবে।
কাপ্তান বাজারে সবজি কিনতে এসেছেন নবগ্রামের বাসিন্দা সত্যজিৎ সাহা। নিত্যপণ্যের দাম প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, সবজির দাম তুলনামূলক কমছে। বিশেষ করে টমেটো, আলু এবং শিমের মতো পণ্যের দাম কমায় বাজারে এক ধরনের স্বস্তি ফিরে এসেছে। কিন্তু পেঁয়াজ এবং চালের দাম বাড়ার কারণে সবজির দাম কমার তৃপ্তি পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এক পণ্যের দাম কমলে তো আরেক পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। অথচ পেঁয়াজ এবং চালের দাম বাড়ার কোন যৌক্তিক কারণ নেই।
ব্যবসায়ীরা ও দুটি পণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সময় খোড়া যুক্তি দাঁড় করিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছেন। আর এসব হচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরের দুর্বল বাজার মনিটরিংয়ের কারণে। তিনি বলেন, আমরা ভোক্তা সাধারণ এখন অনেক সচেতন। টেলিভিশন এবং সংবাদপত্রের বদৌলতে প্রতিদিনের তাৎক্ষণিক খবর পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে ভোজ্যতেলের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। ওই বৈঠকের পর সয়াবিন তেলের দাম কমে আসে। ইতোপূর্বে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়েও ব্যবসায়ীরা কারসাজির আশ্রয় নিয়েছেন। সরকারকে প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর দাম কমেছে। মিডিয়ার কল্যাণে আমার মতো সাধারণ ভোক্তারা এসব তথ্য জানতে পেরেছে। কিন্তু আবার চাল ও পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় চাল এবং পেঁয়াজের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকারের জরুরী বৈঠক প্রয়োজন। তাহলে হয়ত এ দুটি পণ্যের দাম কমে আসবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে ভোজ্যতেল, চিনি, আটা এবং ডালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে প্রতিহালিতে ১ টাকা কমে মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।

No comments

Powered by Blogger.