ভালো থাকুন- কেমন হবে বয়স্কদের স্নানঘর

৬৫ বছরের ওপরে শতকরা ৪০ ভাগ নারী-পুরুষ ঘরের মধ্যে পড়ে গিয়ে মারাত্মক সব সমস্যার সম্মুখীন হন। বয়স্কদের হাড় ভাঙা, সন্ধিবিচ্যুতি, পঙ্গু হয়ে যাওয়া, মস্তিষ্কে আঘাত পাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো পড়ে যাওয়া।
বিশ্বজুড়ে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের মৃত্যুর সপ্তম কারণ হলো পড়ে গিয়ে মৃত্যু। আর এই দুর্ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে নিজের স্নানঘর বা বাথরুমে। তাই বৃদ্ধ বা বৃদ্ধাদের ঘর এবং স্নানঘর কেমন হবে তার জন্য চিকিৎসকদের রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
বয়স্কদের স্নানাঘর কখনোই ভেজা বা পিচ্ছিল রাখা যাবে না। ব্যবহার করতে হবে খসখসে টাইলস যা মোটেও পিচ্ছিল নয়। গোসল বা ওজুর পর প্রতিবারই মেঝের পানি সরিয়ে দিতে হবে। গোসলের জায়গায় নন স্কিড বাথরুম ম্যাট অতিরিক্তি পানি শুষে নিয়ে ব্যালান্স রাখতে সাহায্য করবে। গোসলের জন্য বাথ চেয়ার বা টুল ব্যবহার করতে হবে, আর পানিসহ বালতিটা থাকবে ঠিক টুলের পাশে। পানি নেওয়ার মগটির হাতল লম্বা ও হালকা ওজন থাকবে।
কমোডটি সাধারণ উচ্চতার চেয়ে আরেকটু উঁচু হলে ভালো। কমোড থেকে ওঠার জন্য টয়লেট চেয়ার বা কমোড চেয়ার পাওয়া যায়। আর কমোডটি হবে বাথরুমের দরজার ঠিক পাশে, যেন বয়স্ক মানুষটিকে ওই পর্যন্ত পৌঁছতে অনেক হাঁটতে না হয়।
বাথরুমটি যথেষ্ট আলোকিত থাকবে। রাতের বেলা সম্ভব হলে আলো জ্বালিয়েই রাখা যায় সব সময়। আলোর সুইচটি ঠিক দরজার পাশে হাতের উচ্চতায় থাকবে।
বাথরুমের দরজা প্লাস্টিক বা ঘষা কাচের হলে ভালো। বয়স্কদের জন্য গোল নবের চেয়ে লম্বা হাতল ভালো। সহজ লক বা তালা থাকবে, শক্ত ছিটকিনি নয়। প্রয়োজনে লক সিস্টেমই উঠিয়ে দিন, কেবল দরজা ভেজানো যাবে। দরজাটি অবশ্যই বাইরের দিকে খুলবে।
বাথরুমের দেয়ালে বিভিন্ন জায়গায়, বিশেষ করে কমোডের পাশে ও গোসলের জায়গাটির পাশে গ্র্যাব বার্ট বা ধরার হাতল লাগিয়ে নিন। এগুলো লম্বালম্বি বা আড়াআড়ি লাগাতে হবে, বাঁকা করে নয়। টাওয়েল স্ট্যান্ড বা পানির কল ধরে ওঠার চেষ্টা করবেন না, এতে শরীরের ভারসাম্য থাকে না।
ঘরের ভেতর বা বাথরুমের সামনে সহজে সরে যায় এমন কোনো ম্যাট বা পাপোশ রাখা চলবে না। বাথরুমের জন্য গ্র্যবিং স্যান্ডেল পরুন, কিছুতেই খালি পায়ে বা শুধু মোজা পরে বাথরুমে যাওয়া যাবে না। সূত্র: প্র্যাকটিস অব জেরিয়াট্রিকস।

No comments

Powered by Blogger.