নেতৃত্বের জন্য চেহারা!

লম্বা গঠনের মুখমণ্ডল রয়েছে যেসব ব্যক্তির, তাদের মধ্যে নেতৃত্বের সহজাত প্রবণতা থাকে। তাদের ওপর সংকটকালেও অন্যদের আস্থা বজায় থাকে। স্কটল্যান্ডের গবেষকেরা ইভল্যুশনারি সাইকোলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গবেষণায় নেতৃত্বদানকারী স্কটল্যান্ডের সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী ড্যানিয়েল রে বলেন, নেতা হিসেবে কর্তৃত্বময় চেহারার অধিকারী ব্যক্তিদের গ্রহণযোগ্যতা বেশি। বড় ধরনের বিপদ বা হুমকির মুখে সাধারণ মানুষ কর্তৃত্বময় নেতাদের ওপর ভরসা রাখতে পছন্দ করে।
গবেষণার শুরুতে নারী-পুরুষের কিছু ছবি থেকে ক্রান্তিকালে কাঙ্ক্ষিত নেতার ছবি বাছাই করতে স্বেচ্ছাসেবীদের বলা হয়। ফলাফলে দেখা যায়, স্বেচ্ছাসেবীরা লম্বা মুখের আদলবিশিষ্ট চেহারার ছবিই তুলনামূলক বেশি হারে বেছে নিয়েছেন। তবে নারী নেতৃত্বের ক্ষেত্রে গবেষকেরা নিশ্চিত হতে পারেননি। কারণ, চুলের কারণে তাদের মুখ অনেক সময় গোলাকার দেখায়। এই গবেষণার বাস্তব উদাহরণ হিসেবে গবেষকেরা যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার ও মার্গারেট থ্যাচার এবং ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজির নাম উল্লেখ করেন।
ব্যক্তির শারীরিক উচ্চতাও নেতা হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তুলনামূলক লম্বা প্রার্থীদের সাফল্যের হার বেশি। ইনডিপেন্ডেন্ট।

No comments

Powered by Blogger.