আজহারুল ইসলামকে সেফহোমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে আজ- যুদ্ধাপরাধী বিচার

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে তদন্তের স্বার্থে সেফহোমে নিয়ে আজ জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের এ নেতাকে তদন্তের স্বার্থে সেফহোমে নিয়ে একদিনের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ অনুযায়ী ১০ দিনের মধ্যে অভিযুক্তকে সেফহোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথাও উল্লেখ করে দেয়া হয়।
আজ তাঁকে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংস্থার প্রধান এম এ হান্নান খান। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনের আনা এক আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। তবে কবে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তার দিন তারিখ ঠিক করেছেন তদন্ত সংস্থার সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এছাড়াও আগামী ১৯ মার্চ তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে আদেশ দেয়া হয়েছে। গত ২ ডিসেম্বর এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করে প্রসিকিউশন। পরে এটিএম আজহারের বিষয়ে তদন্তের স্বার্থে এবং অধিক তথ্য সংগ্রহ করার জন্য গত ২৮ জানুয়ারি প্রসিকিউটর নূরজাহান মুক্তা তাঁকে সেফহোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন। ওইদিনই আবেদনের পক্ষে প্রসিকিউটর নূরজাহান বেগম মুক্তা এবং আসামিপক্ষে এ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান শুনানি করেন। প্রসিকিউটর নূরজাহান বেগম মুক্তা সাংবাদিকদের বলেন, এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বেশ কিছু অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে তাঁকে তদন্ত সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এজন্য ধানম-িতে স্থাপিত ‘সেফ হোমে’ নিয়ে তাঁকে দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদ করতে আবেদন পেশ করা হয়। ট্রাইব্যুনাল একদিনের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়।
তিনি বলেন, এর মধ্যে তদন্তে এ টি এম আজহারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর রংপুরে একাত্তর সালে হত্যা এবং হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ পাক বাহিনীকে সহায়তা এবং ’৭১-এর ১২ এপ্রিল সৈয়দপুর থেকে ৩টি ট্রাকে করে নিরস্ত্র বাঙালীদের ধরে নিয়ে আসা এবং ডা. জিকরুল হকসহ ৮৪ জনকে হত্যার সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের আদেশে মগবাজারে তাঁর বাসা থেকে গত বছরের ২২ আগস্ট তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.