নয়াদিল্লীতে বিডিআর বিএসএফ ডিজি পর্যায়ে বৈঠক শুরু

 বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মহাপরিচালক পর্যায়ের ছয় দিনব্যাপী বৈঠক সোমবার নয়াদিল্লীতে বিএসএফ সদর দফতরে শুরু হয়েছে।

বৈঠকে ১৯ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল মইনুল ইসলাম। ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন বিএসএফ প্রধান রমন শ্রীবাস্তভ।
বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল মইনুল ইসলাম ঢাকা ত্যাগের আগে শনিবার বাসসকে বলেন, ঢাকায় ২০০৯ সালের জুলাই মাসে বিএসএফের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভারত গুলি বন্ধের আশ্বাস দিলেও বিগত মাসগুলোতে তাদের কার্যক্রমে এর প্রতিফলন ঘটেনি। তাই আমাদের এজেন্ডায় সীমানত্মে বিএসএফের গুলিবর্ষণের বিষয়টি প্রাধান্য পাবে। বিডিআর সদর দফতরে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফ্রেব্রম্নয়ারির বিদ্রোহের পর বিএসএফের সঙ্গে বিডিআরের এটি তৃতীয় বৈঠক।
সীমানত্মে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের সমস্যা হিসেবে প্রতীয়মান হওয়ায় আজকের বৈঠকে এসব নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
এছাড়া বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলে বিএসএফের ভূমি দখল প্রবণতার বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পেতে পারে। অপরদিকে ভারত বাংলাদেশী সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশ ও আনত্মঃসীমানত্ম অপরাধে তাদের সংশ্লিষ্টতা, যৌথ সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা তৈরি, নারী ও শিশু পাচার এবং জিরো লাইনের ১৫০ গজের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের বিষয়গুলো আলোচনায় তুলে ধরবে বলে ধারণা করা হচ্ছে ।
বৈঠকে বাংলাদেশেরও সীমানত্মে যৌথ টহল, যৌথ ও সমন্বিত সীমানত্ম ব্যবস্থাপনা গঠন, অনুপ্রবেশ, বাংলাদেশের গ্রাসবাসীদের লৰ্য করে বিএসএফ ও ভারতীয় সন্ত্রাসীদের গুলি, পুশ ইন এবং জিরো লাইনের ১৫০ গজের মধ্যে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ নিয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে ।
সূত্র জানায়, ঢাকায় চলতি বছরের প্রথম দিকে অনুষ্ঠিত বিডিআর ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে আনত্মঃসীমানত্ম বিশেষ করে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশীদের হত্যার বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।
বিডিআর প্রধান দিনের শেষে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম ও স্বরাষ্ট্র সচিব জি কে পিলস্নাইয়ের সঙ্গে বৈঠক করার কথা। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল বৈঠকে যোগ দিতে রবিবার নয়াদিলী পৌঁছায়। ইন্দিরা গান্ধী আনত্মর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান বিএসএফ প্রধান রমন শ্রীবাসত্মভ।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিডিআর সদর দফতরের পরিচালক (প্রশিৰণ), বেশ কয়েকজন সেক্টর কমান্ডার, নয়াদিলস্নীতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের রাজনৈতিক কাউন্সিলর, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ বিভাগের পরিচালক এবং স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ যৌথ নদী কমিশনের বাংলাদেশ প্রতিনিধিগণ।