শাহরুখ শহিদ স্মরণ, শাহ করিম উৎসব শুরু- সংস্কৃতি সংবাদ

 জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার শাহরম্নখ শহিদকে শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় স্মরণ করতে শুক্রবার চারম্নকলার বকুলতলায় সমবেত হয়েছিলেন প্রয়াতের বন্ধু স্বজন ও বিশিষ্টজনেরা। দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গন ও ফ্যাশন জগতের তারকাদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি অনুষ্ঠানে যোগ করেছিল ভিন্ন মাত্রা।
শাহরম্নখ শহিদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে বিকেলে শুরম্ন হয় অনুষ্ঠান। এতে স্মৃতিচারণ করেন দেশের প্রখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেল, চন্দ্র শেখর সাহা, সঙ্গীত শিল্পী মিতা হক, ফাহমিদা নবী, আলী ইমাম, মাহী বি. চৌধুরী, কানিজ আলমাস খান, এমদাদ হক, চঞ্চল মাহমুদ, ডা. শাকিল আহমেদ, ডা. আবদুল হানিফ, মুনি্ন সাহা, ইকবাল খোরশেদ, শাহিন আহমেদ, আশরাফুর রহমান, শাহরিয়ার শহিদ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, শাহরম্নখ শহীদ ছিলেন অত্যনত্ম মেধাবী পুরম্নষ। তাঁর ফ্যাশন ও শিল্প ভাবনা সকলকে অভিভূত করেছিল। কিন্তু এত সাফল্যের পরও মানুষটির মনে কোন অহম বাসা বাধতে পারেনি। বরং সব সময় একটা সারল্য তাঁকে ঘিরে থাকত। অন্যের ভাল কী করে হতে পারে, সে চিনত্মাতে নিজেকে ব্যতিব্যসত্ম রাখতেন তিনি।
অনুষ্ঠানে শিল্পী মিতা হক শাহরম্নখ শহিদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিবেদন করেন 'আমার সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায়' গানটি। তানভীর আলম গেয়ে শোনান শাহরম্নখ শহীদের প্রিয় একটি গান। 'চুপি চুপি চলে না গিয়ে, সে কেন বিদায় নিল না হেসে/ কে যে তারে ডেকে নিয়ে গেল' গানটি পরিবেশনের সময় আরও আবেগঘন হয়ে ওঠে পরিবেশ। প্রসঙ্গত, গত ২৭ ফেব্রম্নয়ারি রাতে প্রথিবী থেকে চির বিদায় নেন খ্যাতিমান এ ডিজাইনার।শীলু আবেদ কারম্নশিল্প পুরস্কার প্রদান শীলু আবেদ কারম্নশিল্প পুরস্কার-২০১০ শুক্রবার প্রদান করা হয়। পুরস্কার প্রদানের এটি ছিল ১২তম বছর। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের সৌজন্যে এ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় কারম্নশিল্প পরিষদ। মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে বিকেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ কারম্নশিল্পীর হাতে পুরস্কার তোলে দেন ফজলে হোসেন আবেদ। এ বছর পুরস্কার পান শেরপুরের রাশেদা বেগম। সম্মাননা স্মারক ছাড়াও তাঁর হাতে এক লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হয়। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শাহিদ হোসেন শামীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন বিশিষ্ট ফ্যাশন ডিজাইনার চন্দ্র শেখর সাহা, শীলু আবেদ মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ট্রাস্টি রফিকুল ইসলাম ও শিৰাবিদ সুরাইয়া আহমেদ। এর আগে অনুষ্ঠানে অকাল প্রয়াত ফ্যাশন ডিজাইনার শাহরম্নখ শহিদ স্মরণে এক মিনিটি নীরবতা পালন করা হয়। এ ছাড়াও এদিন কারম্নশিল্পীদের কাজ নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
বাউল করিম লোকউৎসব শুরম্ন সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম স্মরণে তাঁর জন্মভিটা দিরাই উপজেলার শুক্রবার থেকে শুরম্ন দু'দিনব্যাপী শাহ আবদুল করিম লোকউৎসব। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসব শুরম্নর পর বাউল সম্রাটের গানে-সুরে মেতে উঠেছেন দেশ বিদেশের ভক্ত- শীষ্যরা। ২০০৪ সাল থেকে ধলবাসীর উদ্যোগে শাহ আবদুল করিম লোকউৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শুক্রবার বিকেল ৩টায় উৎসবের উদ্বোধন করেন, বাউল সম্রাটের তিন বছর বয়সী নাতি শাহ নূর আলম ঝলক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন সংসদ সদস্য মতিউর রহমান, বাংলা একাডেমীর পরিচালক আব্দুল ওয়াহাব, সুনামগঞ্জ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র নূরম্নল ইসলাম বজলু, উৎসবের পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান বাংলালিংকের প্রতিনিধি ফরহাদ হোসেন, মেশাররফ হোসেন প্রমুখ। বাংলালিংকের পৰ থেকে অনুষ্ঠানে বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমকে মরণোত্তর সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
উৎসব আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান বাউলের পুত্র শাহ নূর জালাল জানান, এবারের উৎসবে দেশের প্রত্যনত্ম এলাকা থেকে হাজার হাজার বাউল ভক্ত-শীষ্য উপস্থিত হয়েছেন। এ ছাড়া দেশের প্রত্যনত্ম শিল্পীরা উপস্থিত হয়েছেন। তাঁরা দুই রাত গান পরিবেশন করবেন।
চিত্রকলা প্রদর্শনী বেঙ্গলে শুরম্ন শিল্পী দিপালী ভট্টাচার্যের একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুক্রবার থেকে বেঙ্গল গ্যালারি অব ফাইন আর্টসে শুরম্ন হয়েছে। 'স্মৃতির সঞ্চরণশীল বুনন' শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রদূত রজিত মিত্র।
প্রদর্শনীতে নিজের স্মৃতির শহর কলকাতাকে তুলে ধরেছেন শিল্পী। কলকাতার গবর্নমেন্ট কলেজ অব আর্টস এ্যান্ড ক্রাফটসের অধ্যৰের এটি ১৪তম একক প্রদর্শনী। বাংলাদেশে এর আগে শিল্পীর আরও তিনটি একক চিত্রকর্ম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এবারের পরিসর আগের চেয়ে খুবই বড়।

No comments

Powered by Blogger.