দু'দলেরই মনোবল চাঙ্গা, আজ মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু- বাংলাদেশ দলে দু'টি পরিবর্তন

বাংলাদেশ দলে দুটি পরিবর্তন। পেসার শাহাদাত হোসেনের জায়গায় খেলবেন শফিউল ইসলাম। আর ব্যাটসম্যান আফতাব আহমেদের স্থান নেবেন টেস্টে অভিষিক্ত জহিরুল ইসলাম।
ইংল্যান্ড দলে পরিবর্তনের আভাস রয়েছে। স্পিনার ট্রেডওয়েলকে খেলান হতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রাম টেস্টের স্কোয়াড অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনাই উজ্জ্বল। একাদশে পরিবর্তন থাকলেও একটি জায়গাতে দু'দলই সহঅবস্থানে। সেটি কী? দু'দলেরই মনোবল চাঙ্গা। আর সেই ভীত নিয়েই আজ শনিবার শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে লড়াই করতে মাঠে নামবে টাইগার ও ইংলিশরা। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরম্ন হবে সকাল সাড়ে নয়টায়।
চট্টগ্রাম টেস্টে একদল জয়ী, ইংল্যান্ড। ১৮১ রানের বিশাল জয় পেয়েছে কুকবাহিনী। আরেক দল পরাজিত, বাংলাদেশ। তবে ম্যাচটিতে শেষ দুদিনে যা করে দেখিয়েছে টাইগাররা, তাতে ম্যাচে হার হয়েছে ঠিকই। কিন্তু লড়াই করেই হেরেছে শাকিববাহিনী। জুনায়েদ সিদ্দিকী-মুশফিকুর রহীম জুটি দেখিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশও পারে। ইংলিশদের চোখের ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিল। ৫১৩ রানের বিশাল টার্গেট দিয়ে হারের শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল। হতাশায় ডুবেছিল। পঞ্চম দিনের প্রথম সেশন পর্যনত্ম মাথায় চিনত্মার ভাঁজ পড়েছিল ইংলিশদের। শেষ পর্যনত্ম জুনায়েদ ও মুশফিকুর দুজনকেই সাজঘরে ফেরাতে সম হয়। চিনত্মাও দূর হয়। জয়ের হাসি নিয়েই মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড। শেষ দিন প্রথম সেশন পর্যনত্ম মনোবল দুর্বল হয়ে পড়েছিল ইংলিশদের। শেষ পর্যনত্ম মনোবল চাঙ্গা করেই মাঠ ছাড়তে সম হয় ইংল্যান্ড। ঠিক তেমনি বাংলাদেশও মনোবলের ভিত মজবুত করেই চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসে। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই আজ ইংলিশদের বিরম্নদ্ধে লড়াই শুরম্ন করবে টাইগাররা। এখন দেখা যাক কী হয়।
গতকাল শুক্রবার সকালে অনুশীলন করে বাংলাদেশ। দুপুরে নিজেদের ঝালিয়ে নেয় ইংল্যান্ড। দু'দলের ক্রিকেটারদেরই স্বসত্মিতে থাকতে দেখা যায়। ব্যাটিং-বোলিং সব বিভাগেই সর্বশেষ অনুশীলন করে নেন। তামিম, জুনায়েদরা ব্যাটিং অনুশীলন পুরোদমে সেরে নেন। রাজ্জাক, শাকিব, শফিউলরা বল হাতে প্রতিপকে ঘায়েল করার জন্য সবের্াত্তম চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার মন্ত্র নিয়ে নেন। পিটারসেন, কলিংউডরা বাংলাদেশ বোলারদের ঘাম ঝরাতে কঠোর ব্যাটিং অনুশীলন করেন। আর সোয়ান, ফিনরা নিজেদেরকে গুছিয়ে নেন। আবারও তা-ব দেখানোর চেষ্টা চালিয়ে যান। চট্টগ্রাম টেস্টসহ এ পর্যনত্ম মোট পাঁচটি টেস্ট হয় দুদলের মধ্যে। পাঁচটিতেই জিতে ইংল্যান্ড। ২০০৩ সালে বাংলাদেশে ৭ উইকেট ও ৩২৯ রানে জয় পায় ইংলিশরা। এরপর ২০০৫ সালে নিজ দেশে ইনিংস ও ২৬১ রান এবং ইনিংস ও ২৭ রানে জেতে ইংল্যান্ড। চট্টগ্রামেও ইনিংস জয়ের সুযোগ ছিল। কিন্তু বোলাররা কানত্ম হয়ে পড়ায় ফলোঅনে পড়া বাংলাদেশকে আর ব্যাটিংয়ে পাঠায়নি ইংল্যান্ড। বোলারদের বিশ্রাম দিতে আবার নিজেরাই ব্যাটিংয়ে নামে। সেই সুযোগে বাংলাদেশও দেখিয়ে দেয় নিজেদের মতা। জুনায়েদ-মুশফিকুরের জুটি (১৬৭ রানের জুটি) পঞ্চম দিনের দ্বিতীয় সেশন টিকতে পারলেই অঘটন হতে পারত। চট্টগ্রাম টেস্টে আশানুরম্নপ নৈপুণ্য দেখায় বাংলাদেশ। জয়ের সম্ভাবনাও জাগায়। যা এখন পর্যনত্ম ইংল্যান্ডের বিরম্নদ্ধে দেখাতে পারেনি টাইগাররা। এবার তাই করে দেখায় শাকিব, মুশফিক, তামিম, জুনায়েদরা। অবশ্য বাংলাদেশ কোচ জেমি সিডন্স চাচ্ছেন দলের ধারাবাহিকতা। ম্যাচে ল্যের কথা বলতে নারাজ কোচ। চান চট্টগ্রাম টেস্টে নৈপুণ্যের ধারাবাহিকতা মিরপুরেও বজায় রাখতে। এজন্য ব্যাটসম্যানদের দিকেই বিশেষ নজর তার। ইংলিশ অধিনায়ক কুকও ম্যাচ জয়ের কথা জোর গলায় বলছেন না। বাংলাদেশকে সমীহ করছেন। লড়াইয়ের আশা করছেন। জয় পেলে তা সহজ হবে না এমনটিও ভাবছেন।

No comments

Powered by Blogger.