রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের বীভৎস তাণ্ডব এবং কিছু প্রশ্ন শিকদার by মোহাম্মদ আলী

৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবির সুপরিকল্পিতভাবে তাণ্ডব চালিয়ে হত্যা করেছে মেধাবী ছাত্র ফারুক হোসেনকে। এই ঘৃণিত মধ্যযুগীয় নৃশংসতায় রগকাটাসহ অন্যান্য আঘাতে আহত হয়েছে অনেক ছাত্র।
নিহত ফারুক হোসেনের লাশ ফেলে দিয়েছিল সেপটিক ট্যাংকের ভিতর, যেমনটি তারা করেছিল ২০০৬ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তাহের আহমেদকে হত্যা করার পর। ভাগ্যাহত ফারুকের হতদরিদ্র বাবা-মায়ের হৃদয়বিদারক আহাজারিসহ এই নৃশংস বর্বরতার বর্ণনা এবং তার দৃশ্য সকল সংবাদপত্র এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে সারাদেশের মানুষ দেখেছেন। ফারুক ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র। গণিত বিভাগের অনার্স পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে প্রথম হয়েছিলেন। ফারুক বুকে ধারণ করেছিলেন স্বাধীনতার পতাকা, মনকে সিক্ত করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়। শাহ মখদুম হলের রুমে ফারুকের বেডের পাশে দেওয়ালে ঝুলানো দুটি বড় পোস্টারে লেখা ছিল, 'একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই।' সুতরাং যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের লেলিয়ে দেয়া এই জল্লাদদের কাছে ফারুকের অপরাধ কী ছিল, তা আর নতুন করে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই। প্রশ্ন সেখানে নয়। প্রশ্ন উঠছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের একাংশ এবং সামগ্রিকভাবে পুলিশের ব্যর্থতা, নিষ্ক্রিয়তা এবং উদ্দেশ্যমূলক ও প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা নিয়ে। শিবির কর্তৃক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরণের হত্যাকাণ্ড, আক্রমণ এবং যুদ্ধাবস্থা পরিস্থিতির সৃষ্টি করা নতুন কোন ঘটনা নয়। শিবিরের শক্তি কোথায়, কাঙ্তি ল্য অর্জনের জন্য কৃত্রিম পরিস্থিতি তৈরি করার অপকৌশল, হত্যাযজ্ঞ চালানো, বিশ্ববিদ্যালয় ও তার আশেপাশে তাদের আস্তানা কোথায়, কিভাবে সংঘটিত হয় এবং কার্যোদ্ধারের পর কী কৌশলে তারা পালিয়ে যায় ইত্যাদি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও পুলিশসহ কারও কাছে তা অজানা কোন বিষয় নয়।
মিডিয়ার বর্ণনায় জানা যায়, সংঘর্ষ শুরু হয় ওই দিন সন্ধ্যার পর থেকে। ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি এবং পুলিশের হস্তেেপ রাত ১২টার পূর্বেই উভয় গ্রুপ পিছু হটতে বাধ্য হয় এবং পরিস্থিতি কতর্ৃপরে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। কিন্তু শিবিরের অপকৌশল জানা বিধায়, ছাত্রলীগ পুনরায় সংগঠিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিতে চায়, যাতে রাতের বেলায় শিবির পুনরায় সংগঠিত হয়ে আক্রমণ চালাতে না পারে। কিন্তু পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি ছাত্রলীগকে আশ্বস্ত করে এই বলে যে, সব হলের সকল ছাত্রের নিরাপত্তার দায়িত্ব তাঁরা নিয়েছেন, তাই ছাত্রলীগের এভাবে অবস্থান নিয়ে থাকার আর কোন প্রয়োজন নেই। কথামতো ছাত্রলীগ সংঘবদ্ধ অবস্থান ত্যাগ করে যে যার হলে এবং শহরের হোস্টেলে চলে যায়। পরপরই প্রক্টরিয়াল বডি ও মোতায়েনকৃত অতিরিক্ত পুলিশও ক্যাম্পাস ত্যাগ করে। হলে অবস্থানরত ছাত্রলীগের ছেলেরা নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কায় এক রুমে দুই-তিনজন একসঙ্গে শুয়ে পড়ে। শাহ মখদুম হলের টিভি রুমে নিহত ফারুকসহ ১০/১২ জন একসঙ্গে বিশ্রামে চলে যায়। এই যে ছাত্রলীগের সংঘবদ্ধ অবস্থান নেয়া, পুলিশের নির্দেশে স্থান ত্যাগ ইত্যাদি যে ঘটনাপ্রবাহ, সেই সময়ে এবং সুযোগে ছাত্রশিবির বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশর্্ববতর্ী এলাকায়, সকলের জানা ও চেনা শিবিরের আস্তানাসমূহে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সুসংগঠিত হতে থাকে একেবারে সামরিক কায়দায় আক্রমণের পূর্ব প্রস্তুতির জন্য। ছাত্রলীগ, অতিরিক্ত পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল ক্যাম্পাস ত্যাগ করার অল্পণ পরেই শুরু হয় শিবিরের আক্রমণ। স্বল্পসংখ্যক পুলিশ যারা তখনও দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল তারাও ছাত্রদের রায় এগিয়ে আসেনি। শিবিরের চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে ফারুকের সঙ্গী আহত শফিউল্লাহ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, "দরজা ভেঙে বাইরে গিয়ে পুলিশের পায়ের উপর পড়ে বলেছিলাম, ভাই বাঁচান। পুলিশ পা-ঝাড়া দিয়ে ফেলে চলে যায়।" আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন অন্য এক ছাত্র আসাদ বলেন, "শিবিরের কমর্ীরা তাঁকে মারধর করতে শুরু করলে তিনি হলের পুলিশ বক্সে ঢোকার চেষ্টা করেন। দুই পুলিশ সদস্যের সামনে থেকেই তাঁকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়" (প্রথম আলো, ১০ ফেব্রুয়ারি)। যে প্রশ্নগুলো জনমনে ঘুরেফিরে আসছে তা এ রকম যে, পূর্বের অভিজ্ঞতা, শিবিরের চরিত্র এবং অপকৌশল জানা থাকার পরেও মোতায়েনকৃত অতিরিক্ত পুলিশ কেন ক্যাম্পাস থেকে প্রত্যাহার করা হলো? (২) বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশর্্ববতর্ী এলাকাসমূহে শিবিরের আস্তানা সম্পর্কে সকলের জানা থাকা সত্ত্বেও সেখানে অভিযান চালিয়ে কেন শিবিরের আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি ও সংঘবদ্ধ হওয়াকে প্রতিহত করা হলো না? (৩) রাত আনুমানিক ১টা ৪০ মিনিটে শিবির পুনরায় আক্রমণ চালানোর কত সময় পরে নতুনভাবে অতিরিক্ত পুলিশ ক্যাম্পাসে ফিরে আসে, যে সময়ের মধ্যে শিবির তাদের অপারেশন শেষ করতে সম হয়? (৪) শোনা যায়, পুলিশ আসার পরে শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। তাহলে আক্রমণকারী শিবিরের সকল ক্যাডার নিরাপদে পালিয়ে যেতে সম হলো কিভাবে? (৫) ওই রাতেই পলায়নরত শিবির ক্যাডারদের পিছনে পিছনে পুলিশ পশ্চাদ্ধাবন কেন অব্যাহত রাখল না এবং তাদের চিহ্নিত আস্তানাগুলোর ওপর কর্ডন ও সার্চ অপারেশন চালানো হলো না কী কারণে?
ঘটনার বর্ণনা এবং পূর্বাপর পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করার পর এরকম অনেক প্রশ্ন জড়ো হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী জনমানুষের মনে। উত্তরও যে খুব একটা অজানা তাও নয়। ঘটনার জের ধরে নিম্নস্তরের ৭/৮ জন পুলিশকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ইতোপূর্বে বহুবার একই রকম পুলিশী ব্যর্থতার পর নিম্নস্তরের কিছু পুলিশকে সাসপেন্ড করার উদাহরণ আছে। কিন্তু তাতে পরিস্থিতির যে কোন রকম উন্নতি হয়নি, তা আর বলার অপো রাখে না। পুলিশের এ ধরনের ব্যর্থতা, নিষ্ক্রিয়তা বা উদ্দেশ্যমূলক কর্মকাণ্ডকে ইতোপূর্বে সব সময়ই শুধুমাত্র ওই নির্দিষ্ট ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার চেষ্টা করা হয়েছে। তাই গৃহীত ব্যবস্থা কখনই কাঙ্তি ফল দেয়নি বা সমগ্র পুলিশ বাহিনীর ওপর তার কোন প্রভাব কখনও পড়েনি। ফোর্সের ভিতর একই ধরনের প্রশ্নবিদ্ধ ঘটনা বারবার কেন ঘটে, তা নির্ণয় করে দূর করতে হলে পুলিশের অঙ্গীকার, মোটিভেশন, মনস্তাত্তি্বকতা এবং প্রশিণসহ সমগ্র বিষয়ই বিশ্লেষণের দাবি রাখে। তাই একই রকম ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তিতে টপ টু বটম কাউকে প্রশ্নের উর্ধে রাখা যায় না। আর তখনই 'চেন অব কমান্ডের' বিষয়টি চলে আসে স্বাভাবিকভাবে। আর সেখানে অবশ্যই উপরের দিকে একটা গুরুত্বপূর্ণ স্তর পর্যন্ত কেউ-ই দায়দায়িত্ব এড়াতে পারবে না। ভিয়েতনামের 'মাইলাই' হত্যাকাণ্ডের কথা আমাদের অনেকেরই জানা আছে। ভিয়েতনামের একটা গ্রামে ওই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছিল মার্কিন সেনাবাহিনীর এক প্লাটুন সৈন্য কতর্ৃক, যার নেতৃত্বে ছিলেন একজন জুনিয়র অফিসার, লেফটেন্যান্ট ক্যালি। বিশ্ব জনমতের প্রতি সম্মান দেখাতে এবং ওই রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি সম্পূর্ণভাবে রোধকল্পে লেফটেন্যান্ট ক্যালির পাঁচ স্তর উপরের কমান্ডার (ডিভিশনাল কমান্ডার) মেজর জেনারেল মাইকেল মুরকে তাৎণিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল। পরবতর্ীতে লেফটেন্যান্ট ক্যালিরও কোর্ট মার্শালে বিচার হয়েছিল। কথা হলো, দিন বদলের সনদ বাস্তবায়নে যে ধরনের মোটিভেশন ও মনস্তাত্তি্বকতার দরকার, সেইভাবে পরো বা নীরবতা অবলম্বন করে অভ্যর্থনা জানিয়েছিল, তাদের দ্বারা কি এ কাজ হবে? রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির দায়-দায়িত্ব এবং অঙ্গীকার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তারা সব জেনেশুনে কেন সেদিন সারারাত কাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখলেন না বা সে পদপেগুলো নিলে এমন হৃদয় বিদারক দুর্ঘটনা এড়ানো যেত যা নিতে পারলেন না। পত্রিকায় এসেছে এ বডির ভিতর অনেকেই জামায়াত-শিবিরের প্রতি সহানুভূতিশীল, যারা নানা কায়দা করে গোয়েন্দা ছাড়পত্র তাদের প েজোগাড় করেছেন। বোঝা যাচ্ছে একেবারে গোড়াতেই গলদ রয়েছে। যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো একটা রাষ্ট্রের চোখ-কান হিসাবে কাজ করে, সেখানেই যদি আস্থার অভাব পরিলতি হয় তাহলে দাঁড়াবার জায়গা তো আর থাকে না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, 'ছাত্রলীগে শিবির ঢুকে পড়েছে।'
মনে পড়ে স্বাধীনতা অর্জনের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অন্তর্দ্বন্দ্বের সুযোগ বুঝে রাজাকার গমিরউদ্দিন প্রধানের ছেলে শফিউল আলম প্রধান ট্রোজান হর্স হয়ে আওয়ামী লীগের একদম অন্দর মহলে ঢুকে রাতারাতি হয়ে গিয়েছিল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। শফিউল আলম প্রধান প্রথম সুযোগেই সূর্য সেন হলের সাত খুনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর অন্যতম শক্তির উৎস ছাত্রলীগকে একদম ছিন্ন-ভিন্ন করে ফেলে। সরকারের মাননীয় মন্ত্রীগণ প্রায়ই বিগত জামায়াত-বিএনপি সরকার কর্তৃক প্রশাসনের সকল েেত্র এবং স্তরে চরম দলীয়করণের কথা বলে থাকেন। কথাটি শতভাগ সত্য। সেদিন এক সাংবাদিক বন্ধু কথায় কথায় বলছিলেন যে, তিনি বর্তমান সময়ের বেসামরিক প্রশাসনের সাতজন সর্বোচ্চ পদের অফিসারকে ভালভাবে চেনেন ও জানেন যাঁরা বিগত সময়ে জামায়াত-বিএনপির গুণকীর্তনে মুখে সর্বদা ফেনা তুলে রাখতেন। সাংবাদিক বন্ধু ওই অফিসারদের প্রত্যেককে নাকি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কিভাবে তারা রাতারাতি আবার বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হয়ে গেলেন? প্রতিউত্তরে যা পাওয়া গেল তার সারমর্ম করলে দাঁড়ায় এ রকম যে, চাকরির শেষ পর্যায়ে এসে তাঁরা পদবির সুযোগ সুবিধাগুলো ভোগ করে কোনমতে সম্মানের সঙ্গে অবসরে যেতে চান। স্বাধীনতার পর আজ পর্যন্ত রাষ্ট্রের যে েেত্র যে রকম উন্নতি প্রত্যাশিত ছিল তার অনেক কিছুই হয়নি। তবে প্রশাসনকে এ রকম স্থবিরতা এবং সীমাহীন দলীয়করণ থেকে মুক্ত করার জন্য যে ধরনের প্রশাসনিক ও ম্যানেজমেন্ট মেধার প্রয়োজন তার অভাব হয়তো রয়েছে, তবে একেবারে যে মেধা নেই তাও নয়। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের একাংশের ফাঁসি হয়েছে। ধর্মান্ধ ও তাদের সহযোগীদের প্রাণভোমরা সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী চূড়ান্তভাবে সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক বাতিল হয়ে গেছে। অচিরেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হবে। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ও চট্টগ্রামের দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের বিচারও হতে হবে। কারণ এ সবই আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার। তাই স্বাভাবিক কারণেই একাত্তরের পরাজিত যুদ্ধাপরাধীরা ও তাদের আশ্রয় প্রশ্রয়দানকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী সব দিক থেকেই মরণকামড় দেয়ার চেষ্টা করবে, তাতে কারও কোন সন্দেহ থাকা উচিত নয়। তাই ২০০৯ সালের শুরুতে, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর পরই জনকণ্ঠের এই চতুরঙ্গের পাতায় লিখেছিলাম, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশের মুক্তিকামী মানুষ পঁচাত্তরের হারানো ভূমি পুনরুদ্ধার করেছে। তবে শত্রুপ পঁচাত্তরের চেয়ে এখন আরও বেশি শক্তিশালী। তারা সুযোগ পেলেই তাদের সকল অস্ত্র ব্যবহার করে প্রতিআক্রমণ করবেই। তাই সেই প্রতিআক্রমণকে প্রতিহত করার জন্য যেখানে যে অস্ত্রটি বসানো দরকার তা যেন ঠিকমত বসানো হয়। তা যে হয়নি, সেটার প্রমাণ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ফারুক হোসেনের মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ড।

No comments

Powered by Blogger.