আমাকেও কি কাদম্বিনীর মতো মরে প্রমাণ করতে হবে আমিই রহিম... আদালতে সাবেক পিআইও by আব্দুর রহিমের আৰেপ

 সাবেক প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (পিআইও), সাবেক দ্য পাকিসত্মান অবজারভারের (বর্তমানে বাংলাদেশ অবজারভার) নির্বাহী সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুর রহিমের গুলশানের বাড়িটি দখল করতে মরিয়া প্রতারকচক্র।
১৯৬৭ সালের ২২ জুলাই গুলশানের ২৬ নম্বর রোডের পৌনে ১২ কাঠা জমির ওপর নির্মিত ২০/এ হোল্ডিংয়ের বাড়িটি তৎকালীন ডিআইটি কতর্ৃক বরাদ্দ পান প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুর রহিম। তখন থেকেই তিনি বাড়িটিতে বসবাস করে আসছেন। প্রতারকচক্র অন্য একজনকে আব্দুর রহিম বানিয়ে তার কাছ থেকে আমমোক্তারনামা সৃষ্টি করে বাড়ি বিক্রি কিংবা প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুর রহিমকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জনৈক শাহজাহান মোলস্না ওই বাড়িটি গোপনে বিক্রি করার জন্য মা-বাবা বিল্ডার্স নামে এক ডেভেলপার কোম্পানির কাছে বায়না করার চেষ্টা করলে ওই ডেভেলপার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাড়িটির মালিকানা যাচাই করার জন্য আব্দুর রহিমের বাড়িতে আসেন। প্রকৃত আব্দুর রহিম গুলশান থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ করলে গত বছরের ৫ মে গুলশান থানা পুলিশ শাহজাহান মোলস্না ও তার সঙ্গী শাহজাহান সিরাজকে আটক করে। এ বিষয়ে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নম্বর ১৪। মামলাটি এসবি তদনত্ম করে এবং আসামিদের নামে চার্জশীট প্রদান করে।
গত ৩০ ডিসেম্বর ওই মামলার শুনানিকালে আসামিপৰের আইনজীবী এক পর্যায়ে আদালতকে জানান যে, ওই বাড়ি নিয়ে দ্বিতীয় সহকারী জজ আদালতে মামলা আছে।
আসল আব্দুর রহিম তাৎৰণিক খবর নিয়ে জানতে পারেন, তার নাম ও পিতার নাম ব্যবহার করে ভুল ঠিকানা দিয়ে আব্দুল মান্নান নামক একজনকে ভুয়া লাইসেন্সি দেখিয়ে তাকে (আব্দুল মান্নান) উচ্ছেদের মোকদ্দমা করেছেন। ২০০৬ সালে মামলা হলেও আজ পর্যনত্ম আব্দুল মান্নান কোর্টে হাজিরা দেননি। আর মামলায় আব্দুর রহিমের ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করায় প্রকৃত আব্দুর রহিম কখনও কোন নোটিসও পাননি। বৃহস্পতিবার প্রকৃত আব্দুর রহিম মূল বিবাদী হিসেবে পৰভুক্তির আবেদন করলে ব্যাপারটি প্রথমে আদালতের গোচরে আসে। দ্বিতীয় সহকারী জজ ছুটিতে থাকায় সপ্তম সহকারী জজ সৈয়দ মাসফিকুল ইসলামের আদালতে শুনানি হয়। বাদীপৰের আইনজীবী পৰভুক্তির বিরম্নদ্ধে আপত্তি জানাবেন বলে আদালতকে জানান।
আদালতের অনুমতি নিয়ে সাবেক পিআইও আব্দুর রহিম আদালতকে বলেন, আমি প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুর রহিম, আমি গুলশান সোসাইটি ও বাংলা একাডেমীর আজীবন সদস্য, জাতীয় প্রেসকাবের সদস্য, বাংলাদেশ অবজারভারের সাবেক নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনে প্রেস মিনিস্টারের দায়িত্বে ছিলাম, এছাড়াও পিআইডিতে পিআইও পদে কর্মরত ছিলাম। আমাকে প্রমাণ করতে কষ্ট হচ্ছে আমি ঐ বাড়ির মালিক আব্দুর রহিম। আমারই যদি এ অবস্থা হয় তাহলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হবে! কাদম্বিনীর মতো আমাকে কি মরে প্রমাণ করতে হবে আমি আব্দুর রহিম।
আব্দুর রহিমের আইনজীবী শাহজাহান হাওলাদার সাজু ও আব্দুল জব্বার মিন্টু আদালতকে জানান, এহেন প্রতারণার কারণে শাহজাহান মোলস্নার ওয়েস্ট এ্যান্ড হাইস্কুলের চাকরি চলে যায়। তার বিরম্নদ্ধে গুলশান থানার মামলা চলমান থাকলেও তিনি আদালতের স্বাৰর, অনুলিপিকারকের স্বাৰর, তুলনা সহকারীর স্বাৰর, প্রধান সহকারীর স্বাৰর ও সিল জাল করে ভুয়া আদেশনামা দাখিল করে চাকরিতে পুনর্বহালের চেষ্টা করেন। কিন্তু স্কুল কতর্ৃপৰের সন্দেহ হলে আদালতে এসে ওই আদেশনামা যাচাই করতে গিয়ে দেখে সাসপেন্ডকৃত স্কুলশিৰক শাহজাহান মোলস্নার দাখিল করা আদেশনামার সঙ্গে আদালতের আদেশনামার কোন মিল নেই।

No comments

Powered by Blogger.