সাক্ষাৎকার-এই রায় দায়মুক্তির শুভ সূচনা by লে. কর্নেল (অব.) এসআইএম নূরুন্নবী খান

সাক্ষাৎকার গ্রহণ : সুভাষ সাহা ও মাহফুজুর রহমান মানিক
সমকাল : মানবতাবিরোধী অপরাধের রায়ে আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে।
এই রায় নিয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী...
নূরুন্নবী খান : বাচ্চু রাজাকারের রায় দায়মুক্তির একটা শুভ সূচনা। এই রায় পুরো জাতির অভিশাপ থেকে মুক্তির একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ, আমি একে স্বাগত জানাই।
সমকাল : তদন্ত চলাকালে বাচ্চু রাজাকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকার পরও কীভাবে পালালেন, এতে প্রশাসনের কোনো দায় নেই?
নূরুন্নবী খান : মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় ছিল না। ফলে প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে স্বাধীনতাবিরোধীরা বিভিন্নভাবে জায়গা করে নিয়েছে। তারা এখন ভোল বদল করে লুকিয়ে আছে। তারা জিয়াউর রহমান ও এরশাদের আমলে রাষ্ট্রযন্ত্র তথা রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে। এরপর খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপির শাসনামলেও এই শক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হয়েছে। আর ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তো যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে যুক্ত দল ও ব্যক্তিবর্গ সরকারেই ছিল। তাদের কারও কারও গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকাও উড়তে দেখেছি আমরা। মাঝখানে কেবল পাঁচ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল আর এখন ক্ষমতায় রয়েছে। ফলে বাকি সময়গুলোতে স্বাধীনতাবিরোধীরা প্রশাসনের বিভিন্ন স্থান ও স্তরে জায়গা করে নিয়েছে। বিভিন্ন ক্যাডারে যারা ঢুকেছে তাদের সহায়তায় হয়তো তিনি পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
সমকাল : আপনি কি মনে করেন এর একটা তদন্ত হওয়া উচিত?
নূরুন্নবী খান : অবশ্যই এর তদন্ত হওয়া দরকার। যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল, যাদের দেখে রাখার কথা ছিল তাদের বিষয়ে তদন্ত হওয়া দরকার। তাহলেই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। কারা এই হীন কাজে, একজন জঘন্য অপরাধীকে পালিয়ে যেতে মদদ দিয়েছে, তা দেশবাসী জানতে পারবে। যিনি বা যারাই এর জন্য দায়ী হোক না কেন তার শাস্তি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
সমকাল : মামলার রায়ের অবজারভেশনে ট্রাইব্যুনাল একাত্তরে গণহত্যায় প্রত্যক্ষ সহযোগী হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নাম উল্লেখ করেছেন। আদালতের এ ধরনের অবজারভেশনের প্রভাব রাজনীতিতে কেমন পড়তে পারে?
নূরুন্নবী খান : এটা তো পরীক্ষিত সত্য, জামায়াতের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে এবং হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর, আলশামস ইত্যাদি বাহিনী গড়ে উঠেছিল। এদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের খবর তাদের নিজস্ব পত্রিকা সংগ্রামে '৭১ সালে প্রতিদিন প্রকাশ করা হতো। তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, হানাদার বাহিনীকে হত্যা,গণহত্যা, লুটপাট, জ্বালাও-পোড়াও, নারী নির্যাতনসহ হেন অপরাধ নেই, যা করায় তারা সহায়তা দেয়নি। অনেক ক্ষেত্রে তারা নিজেরাও এসব যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেছে। এসব অপরাধে জামায়াত অবশ্যই ভ্যানগার্ড হিসেবে ছিল। ফলে জামায়াতের ব্যাপারে রায়ে সেভাবে অবজারভেশন দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এখন এর প্রভাব রাজনীতিতে কতটা পড়বে সেটা নির্ভর করবে ক্ষমতাসীন সরকারের ওপর। সরকারের প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী তাদের কীভাবে, কতটা শক্তি দিয়ে মোকাবেলা করে সেটা দেখার বিষয়।
সমকাল : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যুদ্ধাপরাধী নাৎসিসহ যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত সাতটি সংগঠনের বিচার হয়েছিল। সেগুলো নিষিদ্ধও হয়েছিল, একইভাবে জামায়াতের কি বিচার হওয়া উচিত নয়?
নূরুন্নবী খান : হ্যাঁ, জামায়াতে ইসলামীকে দল করতে দেওয়া উচিত নয়। জামায়াতের সব কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা উচিত।
সমকাল : আপনি তো সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। এ ব্যাপারে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম কি কোনো উদ্যোগ নেবে?
নূরুন্নবী খান : এটা তো একটা জাতীয় বিষয়। সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম অবশ্যই এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেবে এবং আমরা তো বিষয়টা আগে থেকেই বলে আসছি, এ রকম ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিসহ আরও অনেকেই জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আসছে। আর এখন তো এটা আদালতে প্রমাণিত. তারা যে বিভিন্ন অপরাধ করেছে, অপরাধের পেট্রোনাইজ করেছে তাদের বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। তবে এটা আরও পরের বিষয়, শীর্ষস্থানীয় যুদ্ধাপরাধী যারা, আমরা যে পঞ্চাশ-ষাট জনের তালিকা দিয়েছি কিংবা জাহানারা ইমামরাও তো একটা তালিকা করে তাদের প্রতীকী বিচার করেন। তাদের প্রত্যেকের রায় কার্যকর হলে, দোষী সাব্যস্ত হলে প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ড কিংবা নির্দিষ্ট দণ্ড দিলে জামায়াত এমনিতেই সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে। এরপর জনসমর্থন নিয়ে এদের নিষিদ্ধ করাটা তেমন কোনো ব্যাপার হবে না।
সমকাল : মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অথচ এখনও দেশে স্বাধীনতার পক্ষ এবং বিপক্ষ এই দুই শিবিরে রাজনীতি চলে । এ রকম অবস্থা কি অন্য কোথাও রয়েছে?
নূরুন্নবী খান :বাংলাদেশের মতো এ রকম কোনো দেশে নেই। পক্ষ-বিপক্ষ সৃষ্টি করা হয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে শতকরা ৯৮ জনই ছিল। মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন রণাঙ্গনে, যেমন বৃহত্তর রাজশাহী, বৃহত্তর রংপুর, বৃহত্তর ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জায়গায় তো আমি বেঙ্গল রেজিমেন্টের আর্মি কমান্ডার হিসেবে প্রত্যক্ষ যুদ্ধ করেছি। আসলে সেটা ছিল একটা জনযুদ্ধ, সর্বস্তরের মানুষ এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। তারা আমাদের সাহায্য করেছে। সেখানে পক্ষ-বিপক্ষ ভেদাভেদ তৈরি করে জাতিকে দ্বিধান্বিত করার অপপ্রয়াস_ এটা ঠিক নয়। আমাদের অপারেশনে সবাই সাহায্য করেছে, এমনকি নৌকার মাঝিও। এই মাঝিও মুক্তিযোদ্ধা। এমনকি রণাঙ্গনের দিনগুলোতে যেখানে আমাদের খাওয়ার নিশ্চয়তা ছিল না সে সময় যারা আমাদের খাইয়েছে তারাও মুক্তিযোদ্ধা। শত শত মানুষ আমাদের খাইয়েছে। আসলে মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো লিস্ট দরকার ছিল না। কেবল রাজাকারদের একটা তালিকার দরকার ছিল। তবে সম্মুখ সমরে যারা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছে তাদের এলিট ফোর্স হিসেবে লিস্ট করা যেত। তাদের বাইরে সবাই মুক্তিযোদ্ধা এবং সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা।
সমকাল : স্বাধীনতার চার দশকেও জামায়াতে ইসলামী একাত্তরে তাদের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা পর্যন্ত চায়নি। উল্টো তারা ঔদ্ধত্যই প্রদর্শন করেছে। তারা এই ঔদ্ধত্য দেখানোর স্পর্ধা পেল কোথায়?
নূরুন্নবী খান : জামায়াতের এই ঔদ্ধত্য হয়েছে বিভিন্নভাবে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি নামে কমিটি গঠিত হয়েছে। এখানে তারা মধ্যপ্রাচ্যের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে, অর্থ সহায়তা পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর গোলাম আযম বাংলাদেশে চলে আসেন এবং নাগরিকত্ব ফিরে পান। এরপর তাদের কর্মকাণ্ড শুরু হলো। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই তাদের ব্যাপক সমর্থন দিতে থাকল। জিয়াউর রহমানের আমল, এরপর এরশাদের পুরো সময় এবং বিএনপির সময়ও তাদের সমর্থন পেয়েছে। তারা সামাজিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে এমনকি রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী। তারা ক্যাডারভিত্তিক দল বলে দলগতভাবেও তাদের অনেক শক্তি। তারা ক্যাডার বলে সুশৃঙ্খল দল। তাদের অর্থ সম্পদের অভাব নেই। তারা ব্যাংক, হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, ট্রাভেল এজেন্সির মালিক। তাদের বড় বড় নেতা একেকজন বিভিন্ন কোম্পানির ডিরেক্টর। স্বাধীনতার পর যে এনজিওগুলো ছিল সবই ছিল তাদের দখলে। মধ্যপ্রাচ্য যা টাকা দিত সবই এনজিওগুলোর মাধ্যমে। এই টাকা কাজে লাগিয়ে তারা ক্যাডার সৃষ্টি করেছে, তারা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সব জায়গায় সফলতা পেয়েছে।
সমকাল : আপনি কি মনে করেন যুদ্ধাপরাধের বিচার না হওয়ার কারণে এদেশে মৌলবাদী শক্তি রাজনীতি-অর্থনীতিতে পুনর্বাসিত হতে পেরেছে?
নূরুন্নবী খান : অবশ্যই, অপরাধের বিচার যদি না হয় অপরাধের মাত্রা যেমন দিন দিন বাড়তে থাকবে, তেমনি অপরাধীর সংখ্যাও বাড়বে। ঘটনা তো তা-ই ঘটেছে। ১৯৭১-এর সেই প্রামাণ্য চিত্রগুলো যা বিদেশিরা ধারণ করে নিয়েছে, সেগুলো দেখলেও তো শিউরে উঠতে হয় । একটা মাত্র বস্ত্র, একটা মাত্র কাপড় এমনকি ৮০ বছরের বৃদ্ধা কীভাবে সর্বস্ব রেখে ভারতে পাড়ি জমিয়েছে, এসব ছবিতে ধারণ করা আছে। কীভাবে জীবন রক্ষার্থে তারা সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে, সেটা বিস্ময়কর।
সমকাল : বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরবর্তী স্বৈরশাসকরা দেশের সংবিধান, রাজনীতি ও সংস্কৃতিতে পাকিস্তানি ভাবধারা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। আমরা দেখেছি, জাতিসংঘে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী শাহ আজিজ যেমন প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছেন, তেমনি নিজামীরাও গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা লাগানোর সুযোগ পেয়েছেন, এ কারণেই তারা অনেক বেশি সাহস পাচ্ছে...
নূরুন্নবী খান :হ্যাঁ, আসলে তাদের ঔদ্ধত্য তো সেখানে। তারপর একটা বৃহৎ রাজনৈতিক দল আছে তাদের সাপোর্টে। এতে তাদের ঔদ্ধত্যটা আরও বেড়ে গেছে। তারা যদি তাদের সাপোর্টটা আজকেই প্রত্যাহার করে, আগামীকালই দেখবেন তাদের শক্তি অর্ধেক কমে গেছে। বিএনপির উচিত জাতির বৃহত্তর স্বার্থে, ৩০ লাখ শহীদের রক্তের স্বার্থে তাদের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করা। আসলে কোন স্বার্থে তারা এই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে! এর মাধ্যমে দেশ একটা অস্থিতিশীলতার মধ্যে পড়বে।
এখন যুদ্ধাপরাধের বিচারটা হয়ে গেলে জাতি কলঙ্কমুক্ত হবে। আমরা সভ্য জাতি হবো। অন্যরা আমাদের অনুকরণ করবে। এটা সারাবিশ্বে একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমাদের এখানে আর মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড হবে না। জঙ্গিবাদ সৃষ্টি হবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধিশালী একটি দেশ গঠিত হবে।
সমকাল : যে ক'জনের বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তাদের বিচার হয়ে গেলে কি জাতি গ্গ্নানিমুক্ত হবে?
নূরুন্নবী খান : জাতি পুরো গ্গ্নানিমুক্ত হবে না, কিছুটা হবে। এছাড়াও আমরা যে পঞ্চাশ জনের লিস্ট দিয়েছি তাতে জাতির গ্গ্নানি আরও কিছুটা মুক্ত হবে। শহীদ পরিবারগুলো বিচার দেখতে পাবে, শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা শান্তি পাব যে বিচারটা দেখে গেলাম। যেটা একসময় কল্পনাও করা যেত না। এরকমভাবে তাদের ঔদ্ধত্যও কমবে। তারা তো কোটি কোটি টাকা বিচারের বিরুদ্ধে খরচ করছে। বিচার ভণ্ডুল করার জন্য তারা লবিস্ট নিয়োগ করেছে। এমনকি এই বিচারের জন্য তারা নিজেদের অর্থে ৮০ জনকে বিদেশ পাঠিয়ে ব্যারিস্টার বানিয়েছে। আমাদের সেটা বুঝতে হবে, জনগণকে বুঝতে হবে। একাত্তরের মতো পুরো জাতিকে এক থাকতে হবে।
সমকাল : আপনি কি মনে করেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে কেন্দ্র করে দেশে কোনো অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে?
নূরুন্নবী খান :একটা অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতেই পারে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান আর্মি যখন সারেন্ডার করার পথে তখনও ১৪ ডিসেম্বর তাদের দোসররা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। ওরা বিচারে দমে থাকবে না। দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির সব ব্যবস্থা তারা করবে। এ কাজে তারা অর্থও কাজে লাগাবে। এমনকি বিভিন্ন দেশ থেকেও সহযোগিতা পেতে পারে। অরাজক পরিস্থিতি তো বটেই দেশে একটা গৃহযুদ্ধও বাধিয়ে দিতে পারে। এ জন্য সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। সবাই মিলে এদের প্রতিহত করতে হবে।
সমকাল :দেশকে ভবিষ্যৎ তালেবানি রাষ্ট্র করার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য এই ্ঐক্যবদ্ধতা...
নূরুন্নবী খান : হ্যাঁ। তালেবানি রাষ্ট্র করার হাত থেকে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে। এখানে সবার ঐক্যবদ্ধতা জরুরি। যদি সম্প্রীতির রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে গড়তে চাই সবাইকে আবার এক কাতারে আসতে হবে।
সমকাল : বাকি বিচার ত্বরান্বিত করা...
নূরুন্নবী খান : অবশ্যই সরকারকে বাকি বিচারের কাজ ত্বরান্বিত করতে হবে। এর জন্য ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়াতে হবে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরই বিচারের জন্য ৭৩টি ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিলেন। সে সময় প্রতিটি জেলায় ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল। আমাদেরও জেলায় জেলায় ট্রাইব্যুনাল করে বিচারের কাজ ত্বরান্বিত করতে হবে।
সমকাল : আপনিসহ যারা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন, যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন সবাইকে ধন্যবাদ।
নূরুন্নবী খান : আপনাদেরও ধন্যবাদ।

No comments

Powered by Blogger.