রাজশাহীর হত্যা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, শিবিরের ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডের একটি- স্বদেশ রায়

রাজশাহীতে ইসলামী ছাত্র শিবির যে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এটা জামায়াত-শিবিরের ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডের একটি। এটা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। তাদের কোন নতুন পরিকল্পনাও নয়।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানী জেনারেল রাও ফরমান আলীর নেতৃত্বে যে পরিকল্পনা জামায়াতে ইসলামী ও তাদের আলবদর নেতারা তৈরি করেছিল এটা তারই ধারাবাহিকতা। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর থেকে তারা এই কাজ শুরু করে। এমনকি ১৬ ডিসেম্বরের পরে যখন গোটা জাতি বিজয় উৎসব করছে তখনও তারা অবরুদ্ধ মিরপুরে সুযোগ পেয়ে জহির রায়হানকে গুম ও হত্যা করে ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে। তারপরে '৭২ থেকে '৭৫-এর ১৫ আগস্ট অবধি তারা যে একেবারে নিশ্চুপ ছিল তাও কিন্তু নয়। তখন তাদের মূল নেতারা পাকিস্তানসহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে স্থান নিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু দেশের ভিতর তারা সক্রিয় ছিলো। জাসদসহ ওই অন্যান্য কিছু সংগঠন যদি আজ নির্মোহ মূল্যায়ন করে তাহলেও কিন্তু তাঁরা বুঝতে পারবেন '৭২-এর পরে গণবাহিনী বা বিভিন্নভাবে যে হত্যাকাণ্ডগুলো হয়েছিল এগুলো আসলে কারা করেছিল? কারা ঢুকে গিয়েছিল তাদের দলের ভিতর। কারণ, ওই সময়ে যে হত্যাকান্ডগুলো হয় সেখানে কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী কেউ মারা যায়নি। আওয়ামী লীগের যে এমপিদের হত্যা করা হয়েছিলো তারা সকলেই বড় মাপের স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। তাই ভবিষ্যতের নির্মোহ গবেষকরা এ সত্য আবিষ্কার করতে পারবে তখন জাসদের ভিতর কারা ঢুকেছিল? বর্তমানের জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনু অবশ্য এখন এটা উপলব্ধি করেন। তিনি জনকন্ঠে দেয়া এক সাাতকারে বলেছিলেন, তারা ভুল করেছিলেন। তাই ১৯৭১ সালে রাও ফরমান আলীর নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামী যে পরিকল্পনা করেছিল সেটার ধারাবাহিকতা তারা বজায় রেখেছে। তবে ৭২ থেকে ৭৫ অবধি তাদের জন্যে সময়টা অনুকূল ছিল না। ১৯৭৫-এর পনেরো আগস্টের পরে জিয়াউর রহমানের হাত ধরে প্রথমে আই ডি এল ( ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ) নামে জামায়াত নেতা মওলানা আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে এরা প্রকাশ্যে সংগঠিত হয়। পরে মূল নামে জামায়াতে ইসলামী আত্মপ্রকাশ করে। সে ইতিহাস সবারই জানা। কিন্তু তার পর থেকে ল্য করলে দেখা যাবে, বাংলাদেশের সকল পেশার প্রগতিশীলদের হত্যা করার একটি ধারা অব্যাহত আছে এবং প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ডের ধরন ও চরিত্র একই রকম। সবখানে মৃতদেহকে বিকৃত করা হয়। মৃতদেহ গুম করার একটি চেষ্টা করা হয়। সেটা ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবী হত্যা, এর পরে জহির রায়হান হত্যা থেকে শুরু করে শিবিরের হাতে নিহত সকল ছাত্র, রাজশাহীর অধ্যাপক ইউনূস, অধ্যাপক তাহের হত্যা, পিলখানায় জঙ্গী বিরোধী অফিসার গুলজার হত্যা এবং সর্বশেষ ফারুক হত্যাকাণ্ডের চরিত্রের দিকে তাকালে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। তাই জামায়াত-শিবিরের এই ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডকে ভুলে থেকে যদি কেউ রাজশাহীর মেধাবী ছাত্র ফারুক হত্যাকাণ্ডকে দুুটি ছাত্র সংগঠনের সংঘাতে নিহত হয়েছে একজন এমনভাবে মূল্যায়ন করেন তিনি সঠিক করছেন না।
রাজশাহীতে অন্তত পঞ্চাশজনকে মারাত্মকভাবে আহত করে, কয়েকজনের হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয় এবং ফারুককে হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা করে ম্যানহোলের ভিতর তার লাশ ফেলে দেয়া হয়। জামায়াত-শিবিরের এই বর্বরতা ও হত্যাকাণ্ডকে পরদিন থেকেই মেলানোর চেষ্টা হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিহত আবু বকরের সঙ্গে। আবু বকর এবং ফারুকের হত্যাকাণ্ডের বেদনার দিক একই। কারণ, দেশের এ দুটি মেধাবী সন্তানই অতি দরিদ্র পরিবারের। দুই জনেরই গোটা পরিবার তাদের মুখ চেয়ে বসেছিল? তাদের দু'জনের মায়ের অন্তর্ভেদী কান্না, পাগলপ্রায় আর্তচিৎকারের ভাষা একই। দুটি পরিবারে এখন যে নিস্তব্দ শোকের পাথর চেপে বসে আছে তারও ভাষা একই। এবং চিরকাল এই দুটি পরিবার যে শোক বহন করে নিয়ে বেড়াবে সেটাও একই রকম। এই সব নিখাদ সত্যের পরে কিন্তু এটা সত্য নয় যে, এ দুটি হত্যাকাণ্ডের চরিত্র একই। আবু বকর নিহত হয়েছে, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মাঝখানে পড়ে, হয় ছাত্র লীগের হাতে, না হয় পুলিশের টিয়ারশেলের আঘাতে, না হয় কোন গুপ্তঘাতকের হাতে। জনকন্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার মামুন অর রশিদ অবশ্য এই ঘটনার কয়েকদিন আগেই জনকণ্ঠে একটি রিপোর্ট করেন, একটি বিশেষ মহল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি লাশ ফেলার সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে। তবে সে কথায় না গিয়েও বলা যায় এ হত্যাকাণ্ডটি একটি ছাত্র সংগঠনের দুই গ্রুপের কোন্দলে ঘটেছে। এবং সে আহত হবার পরে তার মৃতদেহ হাসপাতালে নেয়া হয়। তারপরে নিয়মানুয়ায়ী সবকিছু ঘটেছে। অন্যদিকে ফারুকের হত্যাকাণ্ডের চরিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। রাতের অাঁধারে একটি সশস্ত্র গ্রুপ হামলা করে অনেককে আহত করেছে অস্ত্রের মাধ্যমে এবং একজনকে হাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করে তার মৃতদেহ ম্যানহোলের ভিতর গুম করে। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে ফারুক হত্যাকাণ্ডটি জামায়াত-শিবির যেভাবে ঘটিয়েছে ৭১ থেকে জহির রায়হান হয়ে ড. তাহের এমনকি জঙ্গী বিরোধী গুলজার হত্যাকাণ্ডের চরিত্রের সঙ্গে কোন পার্থক্য নেই। এবং এটা পাকিস্তানী জেনারেল রাও ফরমান আলীর সেই ব্লু প্রিন্ট বাস্তবায়ন করছে জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের অন্যতম জঙ্গী সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির।
তাই আবু বকর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ফারুক হত্যাকাণ্ডকে সমান্তরালে আনলে মূলত ইসলামী ছাত্র শিবিরের এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি হালকা করে দেয়া হয়। ফারুক হত্যাকাণ্ডের পরে যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে, তা হচ্ছে, পিলখানা ষড়যন্ত্র সামাল দেয়া, বঙ্গবন্ধু খুনীদের ফাঁসি দেবার পরেও বাংলাদেশে এই রাও ফরমান আলীর ব্লু প্রিন্ট বাস্তবায়নকারীরা এতটুকু পিছপা হয়নি। তারা সুসংগঠিত ও সুপরিকল্পিত উপায়ে হত্যা করেছে রাজশাহীর মেধাবী ছাত্র ফারুককে। এবং ইতোমধ্যে তাদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করে একটি হিটলিস্ট পাওয়া গেছে। এর থেকে প্রমাণ হয় তাদের মূল স্থানে হানা দিতে পারলে একাত্তরে রাও ফরমান আলী যেমন লিস্ট তৈরি করেছিল অমনি তাদের বর্তমানের সার্বিক হিটলিস্ট পাওয়া যাবে।
তাই যারা এভাবে হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে শুধু বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল নয়, বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য, মেধাশূন্য করার কাজ করে যাচ্ছে, তাদের অন্যের সঙ্গে মেলাবেন কীভাবে? ইতোমধ্যে টেলিভিশন টক শোতে কয়েক বিশিষ্ট ব্যক্তি বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র নিহতের ঘটনার পরে সরকার এভাবে চিরুনি অপারেশন করেনি। যেই তাদের নিজদলের ছাত্র মারা গেছে অমনি চিরুনি অপারেশন করছে। এ ধরনের কথা শুধু জনগণকে বিভ্রান্ত করে না, মিলে যায় সংসদে বিরোধী দলের চীফ হুইপ জয়নাল আবেদিনের কথার সঙ্গে। তিনি বলেছেন, সরকার চিরুনি অভিযানের নামে বিরোধী দলকে দমন করছে। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে কোন জঙ্গী সংগঠন বা কোন সংঘবদ্ধ হত্যাকারী গোষ্ঠীকে রাজনৈতিক শক্তি বা দল হিসেবে স্বীকার করলে যিনি বা যে রাজনীতিক স্বীকার করবেন তার দলই তিগ্রস্ত হবে। বরং কোন রাজনৈতিক দল যদি দেশের এমন একটি সংঘবদ্ধ জঙ্গী গোষ্ঠীকে গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনার কাজে সরকারকে সহযোগিতা করে তাহলে ওই রাজনৈতিক দলই প্রকৃত রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের স্বীকৃতি পাবে। গ্রহণযোগ্য হবে জনগণের কাছে। তাছাড়া রাজশাহীতে এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড যদি এ গোষ্ঠী নাও ঘটাতো তারপরেও দেশের আইনের শাসনের স্বার্থে আইনের শাসনে বিশ্বাসী যে কোন সরকারকে নিরবচ্ছিন্নভাবে এই সংগঠিত জঙ্গী গোষ্ঠীকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এতদিন যেমন দেশে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়নি বলে দেশে প্রকৃত আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়নি। তেমনি দেশের প্রতিটি শিা প্রতিষ্ঠানে একটি সংগঠিত সশস্ত্র নরহত্যাকারী, মেধাবীদের হত্যাকারী গোষ্ঠীর কার্যক্রম চালু রেখে দেশে কখনই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। কখনই প্রতিষ্ঠিত হবে না শিাঙ্গনে প্রকৃত শিার পরিবেশ। তাই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে এই সংগঠনকে শিাঙ্গন থেকে, দেশ থেকে উচ্ছেদ করতেই হবে। এ ছাড়া কোনভাবে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে না। কিন্তু বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য হলো এখানে হত্যাকারী বা সন্ত্রাসী হিসেবে বড়জোর কালা ফারুক, কালা জাহাঙ্গীরদের বিরুদ্ধে পুলিশী অভিযান হয়। এখানে কখনই এই কালা ফারুকদের থেকে ল গুণ বেশি আইনের শাসনের জন্যে হুমকি শিবিরের বিরুদ্ধে পুলিশী অভিযান হয় না। এমনকি এই শিবিরকে প্রশাসন প্রটেকশন দিয়ে লালন করে। বিএনপি মতায় থাকতে ছাত্রদল এদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে গিয়ে বেগম জিয়ার ধমক খায়। তারেক ইসলামী ছাত্র শিবির ও ছাত্রদলকে একই মায়ের সন্তান বলে অভিহিত করে। এভাবে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর থেকে ধীরে ধীরে এদের বেড়ে উঠতে সহায়তা করা হয়েছে। আর এখানে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করেছে সরাসরি তাদের গড়ে তুলতে তারও প্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু ২৯ ডিসেম্বরের নতুন প্রজন্মের আধুনিক বাংলাদেশের প েরায়ের পরে, আইনের শাসনের প েরায়ের পরে বর্তমান সরকারের হাতে কোন সুযোগ নেই এদের সঙ্গে আপোস করা। এদের সঙ্গে আপোস করলে সরকার মূলত দেশকে জঙ্গীর দিকে ঠেলে দেবার সঙ্গে আপোস করবে। তাই বঙ্গবন্ধু খুনীদের আইনের আওতায় বিচার শেষ করার পরে সরকারের অন্যতম কাজ হবে আইনের শাসনের স্বার্থে দেশের অন্যতম খুনী গোষ্ঠী ইসলামী ছাত্র শিবিরকে আইনের আওতায় আনা। এবং এ কাজ সরকারকে শুরু করতে হতো রাজশাহীতে শিবির ফারুককে হত্যা না করলেও। কেউ কেউ অবশ্য মনে করছেন, রাজশাহীর ঘটনা মূলত জামায়াতের একটা উস্কানি। যাতে সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যায়। তারাও দেশকে অস্থিতিশীল করার সুযোগ পায়। আর এ সুযোগে তিগ্রস্ত হবে সরকার। বাধাগ্রস্ত হবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। তাই সরকারের উচিত হবে না এ মুহূর্তে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাওয়া। যারা এমন চিন্তা করছেন বা সরকার যদি এ ধরনের চিন্তায় যায় তাহলে তখন তাদের উদ্দেশে রবীন্দ্রনাথ থেকে ধার নিয়েই বলতে হবে, ওহে ভীরু তোমার হাতে নয় ভুবনের ভার। এবং আবারও রবীন্দ্রনাথ থেকে ধার নিয়ে বলতে হবে, বীরভোগ্যা বসুন্ধরা। বীরত্ব নিয়ে রুখে দাঁড়ালেই এসব দুবর্ৃত্ত নিঃশেষ হয়ে যাবে। আর ৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের যেমন আইনের আওতায় আনতে হবে তেমনি ৭৫ এর পর থেকে এই যারা ধারাবাহিক হত্যাকান্ড যারা চালিয়ে আসছে, প্রতিটি শিাঙ্গনে যারা সশস্ত্র গ্রুপ গড়ে তুলেছে তাদেরও অবশ্যই আইনের শাসনের আওতায় আনতে হবে। আর সে কাজ শুরু করে পাছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত হয় কি না হয় এই সংশয়ে থেমে থাকার কোন সুযোগ নেই। সরকার যখন একবার এই খুনী গোষ্ঠীকে উচ্ছেদের কাজে নেমেছে তখন তাকে এটা শেষ করতেই হবে। এখানে সরকার নিশ্চয়ই তার করণীয় ঠিক করেই নেমেছে। কী করতে হবে কতদূর যেতে হবে সে হিসেবটি নিশ্চয়ই সরকারপ্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা করেই নেমেছেন। আর শেখ হাসিনার হিসেব কী হতে পারে সেটা অনুমান করতে হলে সৈয়দ মুজতবা আলী ৭১ সালে যেভাবে বঙ্গবন্ধুর হিসেবটি কী ছিল সেটা ধারণা করে ছিলেন ওই পথেই শেখ হাসিনার হিসেবটি কী তা খোঁজা যেতে পারে। বঙ্গবন্ধু যখন ইয়াহিয়া-ভূট্টোর সঙ্গে আলোচনা করছিলেন দিনের পর দিন, তখন অনেকেই চিন্তিত ছিলেন তাদের প্রিয় শেখ মুজিব পারবে তো আলোচনায় জিততে, পারবে তো আলোচনা ভেঙ্গে গেলে কী করতে হবে তা নির্ধারণ করতে? এই সব সংশয়ের জবাবে সৈয়দ মুজতবা আলী যা লেখেন তা ছিল এমনই, ভুট্টো পশ্চিমা বই পড়ে কুটনীতি শিখেছে শেখ সেটা শেখেননি। তবে শেখ মুজিব গাঁয়ের ছেলে তিনি জানেন কত সের ধানে কত সের চাল হয়। তাই শেষ অবধি তিনিই জিতবেন। যেহেতু চালের হিসেব তার জানা। এখানেও যার যে সংশয় থাকুক না কেন, শেখ হাসিনা গাঁয়ের মেয়ে, বাইগার নদীর কূলে তাঁর বাল্যকাল কেটেছে তিনিও জানেন, কালসাপের গায়ে আঘাত করে তাকে ছেড়ে দিতে নেই। বাকি কাজ কী করতে হয় সেটা গাঁয়ের লোকের জানা আছে।

No comments

Powered by Blogger.