সম্পাদক সমীপে

ঢাকা-দোহার সড়কে বিআরটিসির বাস ঢাকা-দোহার বিশ্বসড়ক, দেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হিসেবে তালিকাভুক্ত। হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে থাকে। বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর স্থাপিত বাবুবাজার ব্রিজের পশ্চিম পাশে কেরানীগঞ্জ হয়ে ধলেশ্বরী নদের ওপর পর্যটন এলাকা হিসেবে সুপরিচিত ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত পদ্মার তীরে ভাগ্যকূল নৌবাণিজ্য, এর পাশ দিয়ে আঁকাবাঁকা পথে পশ্চিমে দোহার থেকে নবাবগঞ্জ হয়ে পুনরায় ঢাকার কেরানীগঞ্জ চৌরাস্তায় মিলিত হয়েছে।
একটি পথ শ্রীনগর হতে মাওয়া হয়ে পদ্মার তীর ঘেঁষে ভাগ্যকূলে মিলিত হয়েছে। প্রতিদিন বুড়িগঙ্গার ওপর স্থাপিত বাবু বাজার ও পোস্তগোলা চীন-বাংলা মৈত্রী সেতু দুটির ওপর এই পথ দিয়ে হাজার হাজার যানবাহন যাওয়া আসা করে থাকে। ঢাকা থেকে শ্রীনগরের দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার এবং শ্রীনগর থেকে ভাগ্যকূল হয়ে দোহারের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। বর্তমানে এই পথে ভাগ্যকূল পরিবহনের আরাম ও নগর দুটি বেসরকারী মালিকানাধীন বাস চলাচল করছে। দুটি কোম্পানির ২৫-৩০টি গাড়ি যাত্রী বহন করতে হিমশিম খাচ্ছে। ফরিদপুর ও পদ্মার চরের লোকজন এই পথে চলাচল করে থাকেন। অসংখ্য যাত্রী বিকল্প পথে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বাস না থাকার কারণে। সাধারণ যাত্রী বাস আরাম গাড়িতে ঢাকা থেকে শ্রীনগরের ভাড়া ৫০ টাকা ও দোহারের ভাড়া নিচ্ছে ৮০ টাকা। দুটি পরিবহনের স্বল্পসংখ্যক বাস ঢাকা-শ্রীনগর-দোহরা সড়কে যাত্রী বহন করতে পারছে না। উক্ত রোডে বিআরটিসি বাস চলাচল অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে। বর্তমানে যাত্রীবাহী বাস চলাচল করলেও ঢাকা-শ্রীনগর-দোহর সড়কে বিআরটিসি বাস না থাকার কারণে যাত্রীগণ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ঢাকা-শ্রীনগর ও শ্রীনগর-ঢাকা এবং ঢাকা-দোহার পথে বিআরটিসি বাস সার্ভিস উক্ত পথে যাতায়াত করতে পারে।
মোঃ মেছের আলী
শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ

প্রসঙ্গ আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০১২ ইং সালের জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখে এক পরিপত্র জারি করে জানায় যে, ‘আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আট শ্রেণীর ব্যক্তিবর্গের কর দিতে হবে না’ (পরিপত্র নং-আগ্নে৩(৬)/২০০৮ (রাজ-৪)(অংশ-১/৩৩) যদিও এই আট শ্রেণীর মধ্যে ৭ শ্রেণীই কর প্রদান করেন বা করার যোগ্য। এই আট শ্রেণীর ব্যক্তিবর্গ নিম্নরূপ :
১। স্পীকার, ডেপুটি স্পীকার, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সমপদমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ।
২। বিচারপতিবৃন্দ।
৩। সংসদ সদস্য।
৪। পৌর মেয়র ও উপজেলার চেয়ারম্যানগণ।
৫। প্রথম শ্রেণীর স্থায়ী সরকারী কর্মকর্তাগণ (চাকরিরত ও অবসরপ্রাপ্ত)।
৬। চলমান জাতীয় দলের শ্যূটার (যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রত্যায়িত হতে হবে।
৭। সরকারী গেজেটে বিজ্ঞাপিত সনদপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা।
৮। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত কোন বিশিষ্ট ব্যক্তি।
এই আট শ্রেণীর বাইরে কাউকে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেতে হলে পিস্তল/রিভলবারের ক্ষেত্রে বছরে ন্যূনতম ৩ লাখ টাকা এবং শটগান/রাইফেলের ক্ষেত্রে বছরে ন্যূনতম ১ লাখ টাকা হারে আয়কর প্রদান করতে হবে। .১২ বোর একনলা বা দোনলা বন্দুকের ক্ষেত্রে আয়করের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি। হয়ত কর্তৃপক্ষ .১২ বোর একনলা/দোনলা বন্দুক এবং শটগানকে একই পর্যায়ে ফেলেছেন। প্রকৃত পক্ষে বাজারে একটি শটগানের ন্যূনতম মূল্য লক্ষাধিক টাকা অন্যদিকে একনলা বন্দুক পাওয়া যায় পাঁচ হাজার টাকায়।
বর্তমানে অসংখ্য ব্যক্তি তাদের ব্যক্তিগত লাইসেন্সকৃত হাতিয়ার (একনলা/দোনলা বন্দুক) দ্বারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন নং স্বঃমঃ আগ্নে-১৫/২০০২/(রাজ-৪)/৮৭৭ (১৩৬) তারিখ ১৪/১১/২০০২ইং এর প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সিকিউরিটি কোম্পানি এবং সরকারী বেসরকারী ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। যদি .১২ বোর একনলা/দোনলা বন্দুকের জন্য ৫/১০ হাজার টাকা আয়কর নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতো তাহলে পুলিশ প্রতিবেদন সাপেক্ষে অসংখ্য ব্যক্তি আগ্নেয়াস্ত্রের (.১২ বোর একনলা/দোনলা বন্দুকের) লাইসেন্স পেত এবং এ সকল হাতিয়ার দ্বারা অসংখ্য লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতো। যা জাতির বেকারত্বের বোঝা কিছুটা হলেও লাঘব করবে।
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে অনেকেই হইকাল ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। যাঁরা এখনও জীবিত আছেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই বয়সের ভারে ন্যুব্জ। এঁদের মধ্যে অনেকে আবার অর্থাভাবে অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সুতরাং আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রদত্ত সুবিধার মধ্যে যদি তাঁদের সন্তানদেরও অন্তর্ভুক্ত করা যায় তাহলে অনেক মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুর পূর্বে কিছুটা হলেও পারিবারিক সচ্ছলতা দেখে যেতে পারবেন।
শেখ ফরিদ আহমেদ
বারিধারা, ঢাকা-১২১২

সমর্থনযোগ্য নয় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের জন্য এবং আমাদের নির্বাচনের জন্য একটি স্থায়ী ব্যবস্থা হতে পারে না। আইনের দিক থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি এবং সরকারব্যবস্থা এখন মৃত। কাজেই এই দাবি এখন কোন স্থায়ী নির্বাচনী ব্যবস্থা হতে পারে না। আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ছিল সময় উপযোগী। এখন এই ব্যবস্থাকে নষ্ট করে ফেলেছে বিগত বিএনপি সরকার। ওয়ান ইলেভেনের মতো অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুই বছর পর্যন্ত দেশকে নির্বাচন থেকে দূরে রেখে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বুদ্ধিজীবীরা একেক সময় এক একটি ফর্মুলা দিয়ে থাকেন যা জনগণের কাছে অনেকটা হাস্যকর। একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ তত্ত্বাবধায়কের উপদেষ্টা পদে থেকেও কোন দায়িত্ব পালন করতে পারেননি কেন? ব্যর্থ হয়েছেন যে কারণেই হোক এবং পদত্যাগ করেছেন। এখন তাঁরা বিভিন্ন কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। আসলে ব্যর্থতা ঢাকার জন্য হয় তাঁরা বেশি বেশি টকশোা করেন, বেশি বেশি কথা বলেন। বিগত ৪১ বছরের অর্থনীতির কোন উন্নতি হয়নি বলেও কেউ মন্তব্য করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।
রণজিত মজুমদার
চট্টগ্রাম

হেপাটাইটিস ‘বি’ থেকে সাবধান
হেপাটাইটিস ‘বি’ একটি নীরব ঘাতক হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশে এর প্রাদুর্ভাব বেশি। আমাদের দেশে দীর্ঘ মেয়াদী লিভারের প্রদাহ এবং লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যানসারের অন্যতম কারণ ভাইরাস হেপাটাইটিস ‘বি’ ও হেপাটাইটিস সি’। এই দুটি ভাইরাস দূষিত রক্ত, দূষিত সুঁই পারস্পরিক ঘনিষ্ঠ সাহচর্য, যেখানে সেখানে দাঁতের চিকিৎসা এবং অবৈধ শারীরিক মিলনের ফলে ছড়িয়ে থাকে। এই ঘাতক ‘বি’ ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় হলো ‘বি’ ভাইরাসের টিকা নেয়া। এটি সর্বত্র সুলভে পাওয়া যায়। এই ভাইরাস প্রতিরোধে টিকা নেয়ার পাশাপাশি ডিসপোজেবল সুঁই, নিডল, অপারেশনের পর যন্ত্রপাতি বিশুদ্ধকরণ, রক্ত দেয়ার সময় ‘বি’ ভাইরাস পরীক্ষা করানো এবং সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অপরিহার্য। তাই সচেতন হোন, ঘাতক হেপাটাইটিস ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকুন।
জেড. ইকবাল
বাগমারা, রাজশাহী

ভাল কাজেই শান্তি
আসলে বেঁচে থাকার জন্য যাদের যুদ্ধ করতে হয় তারা যোদ্ধা। নিজের সত্তার মুক্তির জন্য যারা সংগ্রাম করে তারা সংগ্রামী। এই পৃথিবী এমন একটি বিস্ময়কর গ্রহ যেখানে ভাল-মন্দ, আলো-আঁধার সবই রয়েছে, এই পৃথিবীতে অনেক ভালও মন্দের কাছে জিম্মি, অনেক আলোও আঁধারের কাছে জিম্মি। এই পৃথিবীতে যেই আলোকিত মানুষগুলো মন্দের আঁধারের কাছে জিম্মি তারা প্রতিমুহূর্তে মন্দের আঁধারের সঙ্গে যুদ্ধ করে কোনমতে প্রাণে বেঁচে রয়েছে। যারা মন্দের আঁধারের সঙ্গে যুদ্ধ করছে; তারা প্রত্যেকে মুক্তিযোদ্ধা। আসলে একজন ভাল মানুষ অন্যকে ভাল ভাবে। আর একজন খারাপ মানুষ অন্যকেও খারাপ ভাবে। যে যেমন তার কাছে পৃথিবীও তেমন। মন্দকে ঘৃণা না করে মন্দ কাজকে ঘৃণা করতে হবে। নিজের ভালো কর্ম দ্বারা মন্দকে বুঝিয়ে দিতে হবে, তুমি মন্দ তাই খারাপ কাজ কর আর আমি ভাল তাই ভাল কাজ করি। কারণ ভাল কাজেই শান্তি।
দীপু প্রামাণিক
নবাবগঞ্জ, ঢাকা

সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুল গঠন প্রসঙ্গে
আমরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০১২ এর পুলের অন্তর্ভুক্ত। সংসারের অভাব অনটন ও নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে লেখা পড়া শিখেছি। আশা দরিদ্র মা বাবার মুখে একটু হাসি ফুটানো। বাবা মার সুখের কথা চিন্তা করে সংসারের হাল ধরতে গিয়ে আমার মতো অনেকেরই উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ হয় না। “বামন হয়ে চাঁদে হাত বাড়ানো যেমন উচিত নয় তেমনি বড় কোন চাকরির আশা ও করছি না” চাকরি নামক সোনা হরিণ খুঁজতে গিয়ে বার বার ব্যর্থ হয়েছি। সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ঠাঁই হয়েছে পুলের তালিকা। এখানেই শেষ নয়! এবার অপেক্ষার পালা। বইতে পড়েছিলাম “সংসার সাগরে দুঃখ তরঙ্গের খেলা আশা তার একমাত্র ভেলা।” কিন্তু সেই আশা ও ধূলিসাৎ হতে বসেছে। আমাদেরই অনেকেরই চাকরির বয়স শেষ হওয়ার পথে। এছাড়া আগামীতে এসএসসি ও এইচএসসি পাস কোন শিক্ষক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেয়া হবে না। শিক্ষা অফিস থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেল এই ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোন নির্দেশনা, আসেনি। এমতাবস্থায় আমাদের কি হবে? তাই নিরূপায় হয়ে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট শরণাপন্ন হলাম। এ পর্যায়ে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুলের তালিকাভুক্তদের স্থায়ী চাকরির সযোগ সৃষ্টির জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনার নিকট আকুল আবেদন করছি।
শারমিন আক্তার
কলেজ রোড, নোয়াখালী

সত্যের সন্ধানে ক্লান্ত গণতন্ত্র
গণতন্ত্রের সারমর্ম নিয়ে তৈরি হয় ইতিহাস। ইতিহাস অনুসরণ করে গণতন্ত্রের আলো বিতরণ করা হয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে। গণতন্ত্র, প্রজাতন্ত্র ও রাজতন্ত্র এক সঙ্গে অবস্থান করতে পারে না। গণতন্ত্র খুঁজে বেড়াচ্ছে স্বাধীন জনগণকে। প্রজাতন্ত্রে আটকা পড়ে আছে রাজতন্ত্রের সিংহাসনে। রাজতন্ত্রের শুদ্ধ নাম পরিবারতন্ত্র।
প্রতিটি রাজনৈতিক দল এক গণতন্ত্রকে টানা হেঁচড়া করে প্রজাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে। ক্লান্ত গণতন্ত্র সত্যের সন্ধানে দৌড়াদৌড়ি করছে। রাজাকারদের ঘরে গণতন্ত্র। শান্তি কমিটি, আলবদর, অলশামস, বাংলাভাই, আবদুর রহমান গংয়ের ঘরে ঘরে গণতন্ত্র। যুদ্ধাপরাধীদের পকেটে, গানের ক্যাসেটে গণতন্ত্র, লজ্জায় জবান বন্ধ করে বোবা হয়ে গেছে। এ শ্রেণীকে তথা যুদ্ধাপরাধীদের যারা সমর্থন করছে তারাও গণতন্ত্র বিলিবন্টন করছে প্রজাদের ঘরে ঘরে। গণতন্ত্র সত্যকে তালাশ করে পাচ্ছে না।
এম আলী
বিক্রমপুর, মুন্সীগঞ্জ

No comments

Powered by Blogger.