'স্বামীজীর মতো মানুষকে ভালবাসুন'- বিবেকানন্দ জন্মোৎসব

স্টাফ রিপোর্টার স্বামী বিবেকানন্দের ১৪৭তম জন্মোৎসব উপলৰে আলোচনাসভায় খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ ও বিশ্বাস ছিল_ মানবধর্ম পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্ম।
সত্য, ন্যায় ও মানবতাই সব ধর্মের মূল কথা। মানুষের কল্যাণ করা এবং মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসা সৃষ্টি করাই সব ধর্মের উদ্দেশ্য। কিন্তু নিজামী, গোলাম আযম, নরেন্দ্র মোদীর মতো ধর্মান্ধ ব্যক্তিরা নিজ ধর্মকে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করে, বোমাবাজি করে মানুষকে হত্যা করছে।
মঙ্গলবার শিশু একাডেমী মিলনায়তনে বিবেকানন্দ শিৰা ও সংস্কৃতি পরিষদ এ আলোচনাসভার আয়োজন করে। এর আগে সকালে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মোৎসব উপলৰে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের স্বামী বিবেকানন্দের ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে বিশ্বশানত্মি কামনায় এক সম্প্রীতি র্যালি বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা প্রদৰিণ করে। র্যালিটি প্রেসকাব হয়ে জগন্নাথ হলে শেষ হয়। র্যালির উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
বিকেলে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ড. আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, সব ধর্মের মানুষ মিলে দেশ স্বাধীন করা হলো, অথচ বলা হচ্ছে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেৰ, উদার একটি সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা। কিন্তু ধর্মান্ধরা মানুষে মানুষে বিদ্বেষ সৃষ্টি করছে। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, মানবতাই হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্ম। আর একমাত্র প্রকৃত শিৰার মাধ্যমেই মানুষের মনুষত্য বিকাশ করা সম্ভব। তাই তিনি প্রকৃত শিৰা অর্জনের ওপর গুরম্নত্বারোপ করেন।
বিবেকানন্দ শিৰা ও সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন বিবেকানন্দ শিৰা ও সংস্কৃতি পরিষদের গবর্নিং বডির সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র ম-ল, রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী স্থিরাত্মানন্দ।
পরে প্রধান অতিথি মেধাবী শিৰার্থীদের মাঝে বিবেকানন্দ বৃত্তি এবং শিৰা উপকরণ বিতরণসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

No comments

Powered by Blogger.