সাঈদীর পক্ষে যুক্তিতর্ক আজকের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ- যুদ্ধাপরাধী বিচার

 একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত জাামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) আজকের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার তার পক্ষে এ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম তৃতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন অব্যাহত রেখেছেন। চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ প্রদান করেছে। ট্রাইব্যুনালের অন্য দু’ সদস্য ছিলেন বিচারপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক।
ট্রাইব্যুনাল আজকের মধ্যে যুক্তিতর্ক শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে। মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই আসামিপক্ষের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে ট্রাইব্যুনাল-১-এ নির্দেশ দেয়। উল্লেখ্য, বর্তমানে সাঈদীর মামলাটি নতুন করে যুক্তিতর্ক করা হচ্ছে। যুক্তিতর্ক শেষে ৬ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১-এর সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিম যুক্তিতর্ক শেষে বিচারের জন্য অপেক্ষাধীন রাখেন। এর মধ্যে তিনি ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগ করার পর দুটি ট্রাইব্যুনালই পুনর্গঠন করা হয়। ফলে আসামি পক্ষ গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, কাদের মোল্লা ও কামারুজ্জামানের মামলা পুনর্বিচারের আবেদন করেন। আবেদনগুলো খারিজ হয়ে যায়। পরে শুধু সাঈদীর মামলাটি নতুন করে যুক্তিতর্কের আদেশ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী প্রসিকিউশন তাদের যুক্তিতর্ক শেষ করেছে। এখন আসামি পক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছে।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে একটি মামলায় সাঈদীকে ২০১০ সালের ২৯ জুন গ্র্রেফতার করা হয়। ওই বছরের ২ আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। গত বছরের ১১ জুলাই সাঈদীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন পক্ষ। ১৪ জুলাই তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগের বিষয়ে শুনানি শেষে ৩ অক্টোবর সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই মামলার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।
সাঈদীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে পিরোজপুর জেলায় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ এবং এ ধরনের অপরাধে সাহায্য করা ও জড়িত থাকার ঘটনায় ২০টি অভিযোগ আনা হয়।

No comments

Powered by Blogger.