সম্পাদক সমীপে- কারিগরি শিক্ষা বোর্ড

শিক্ষানগরী হিসেবে রয়েছে রাজশাহীর সমান খ্যাতি। তবে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং শিল্পের প্রসার না হওয়ায় রাজশাহী অঞ্চল পিছিয়ে আছে। কর্মসংস্থানের তেমন কোন সুযোগ এখানে নেই।
বেকারত্ব যেভাবে বাড়ছে সেভাবে বাড়ছে না কর্মসংস্থান। প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের অভাবে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগও হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। কর্মসংস্থান না থাকায় এ অঞ্চলের বিপুল জনগোষ্ঠীর অনেকে নানা অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ছে। এতে সমাজের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এদের ফিরিয়ে আনতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। কর্মমুখী শিক্ষা ছাড়া বিদেশেও ভাল করা সম্ভব নয়। কর্মমুখী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা নিতে হবে। এভাবে চা, মৎস্য ও পশুপালন, পোল্ট্রি, গ্লাস এ্যান্ড সিরামিক, পর্যটক, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, রেস্টুরেন্ট, বেকারি বিষয়ক প্রশিক্ষণভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করতে হবে। এসব কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

জাহেদুর রহমান
বাগমারা, রাজশাহী।


অর্থনৈতিক মন্দা ও অন্যান্য
অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েছে সারা বিশ্বে। একইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবিক বিপর্যয়। তাছাড়া আরেকটি হলো অধিকহারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি কিন্তু সেই হারে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি নয় এবং মানুষে মানুষে অসহযোগিতা বা মানবিকতা হ্রাস ও নৈতিকতার মৃত্যু। বর্তমানে কেউ কাউকে আপন ভাবে না বরং সমাজে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ, প্রতিহিংসা, প্রতারণা বৃদ্ধি পেয়ে মানবিক বিপর্যয় ঘটছে; যা জলবায়ু পরিবর্তনের মতোই। ফলে জীবনযাত্রার মান দিন দিন নিম্নদিকে ধাবিত হচ্ছে। যেমন খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি, গুম, নির্যাতন, অপহরণ, সহিংসতা, প্রতিহিংসা, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যের উর্র্ধগতি এবং বাড়তি মানুষের ভিড়ের চাপ। এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার কি কেউ নেই।
শরীফ উদ্দিন
তেজকুনিপাড়া,ঢাকা।


ভিটামিন এ ও সি
কমলালেবুর রয়েছে অনেক গুণ। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’। এটি শীতকালীন ঠা-াজনিত রোগব্যাধি ও দুর্বলতার সমস্যাগুলো দূর করে। রোদে থাকা সূর্যের অতি বেগুনিরশ্মি বা আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে। কমলালেবু ত্বককে শক্তিশালী অতিবেগুনি রশ্মি থেকে বাঁচায়। কমলালেবু দাঁত, চুল, ত্বক ও নখের পুষ্টি যোগায়। এই ফল রক্তে চর্বির পরিমাণ কমায়। ভিটামিন সি আমাদের প্রতিদিন প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই ভিটামিন সি আমাদের দেহে জমা থাকে না। তাই সম্ভব হলে নিয়মিত এই ফল খাওয়া দরকার। ঠোঁট ফাটা,পায়ের তলা ফেটে যাওয়া রোধ করে কমলালেবু। ত্বকের মর্সৃণ ভাব বজায় রাখতে এর ভূমিকা অপরিসিম। এই ফলে কোন চর্বি নেই। চোখের রোগব্যাধি দূর করার জন্য দরকার ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’। যা রয়েছে কমলালেবুতে। বৃদ্ধ ব্যক্তি, গর্ভবতী নারী, মাতৃদুগ্ধদানকারী মহিলাদের জন্য এই ফল অপরিহার্য। সর্বোপরি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কমলালেবুর ভূমিকা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

ছালামত প্রধান
মহাখালী নিউডিওএইচএস, ঢাকা।

যোগাযোগের সেতুবন্ধ
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেল যোগাযোগের সেতুবন্ধ রচনার জন্য ২০০৮ সালের বৈশাখে চালু হয়েছিল মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন। উদ্দেশ্য দু’দেশের মধ্যে বন্ধন আরো জোরদার হবে। কিন্তু যাত্রী হয়রানি আর নানা দুর্ভোগের কারণে শুরু থেকেই খুঁড়িয়ে চলছে মৈত্রী এক্সপ্রেস। সঙ্গে আর্থিক ক্ষতিও সাধিত হয়েছে। প্রথমে তিন বছরের জন্য চুক্তি হলেও চলতি বছর এর মেয়াদ আবারও বাড়ানো হয়। কিন্তু বাড়েনি যাত্রীসেবা বা হয়রানি। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রীসংখ্যাও কমতে থাকে। যাত্রী সঙ্গটের কারণে এই ট্রেনের বগিও কমিয়ে ফেলা হয়েছে। সব মিলে মৈত্রী ট্রেনকে প্রতিমাসে লোকশান গুনতে হচ্ছে। এর প্রধান কারণ যাত্রী হয়রানি। ঢাকা-কলকাতা গমনের ১৩ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে কেবল ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা সময় লাগে চেকিং আর কাস্টমসের জন্য। কিন্তু চাইলে এই সময় অনেক কমানো যায়। আবার মালামাল দ্রুত স্ক্যানিং বা এক ট্রেনের টিকেট অন্য ট্রেনে ব্যবহার করা যেতে পারে। তাছাড়া ভারতের অসহযোগিতাও বড় কারণ। ভারতের হাইকমিশন থেকে ভিসা দিতে অসহযোগিতা, ভারত সীমান্তে যাত্রী হয়রানি, কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনে সময়ের কারণে মৈত্রী ট্রেন জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলছে। এ জন্য সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ ও দুদেশের সহযোগিতা। আশা করি, দুদেশের রেল কর্তৃপক্ষ এবং সরকার এর সঙ্গে কাজ করবে। সবচেয়ে বড় কথা মৈত্রী ট্রেনের জনপ্রিয়তা বাড়াতে দরকার মৈত্রীর মনোভাব।

ইকবাল
পুরানা পল্টন, ঢাকা।


সড়ক দুর্ঘটনা...
প্রতিদিনই তীব্র যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে। এতে দেশের মানুষ প্রচ- ক্ষতি ও ঝুঁকির মধ্যে অনিরাপদভাবে জীবন-যাপন করছে। অনেকে রাস্তায়ই সময় হারাচ্ছে। ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন আর্থিক ও সময়ের। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ওভারটেকিং ও দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছতে তাড়াহুড়া করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। তাই যানবাহন চলাচল সংক্রান্ত নতুন আইন করে ও তা প্রয়োগ করে দুর্ঘটনা রোধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি।

সালমা
তেজকুনিপাড়া, ঢাকা।


জলবায়ু পরিবর্তন ও সবুজ অর্থনীতি
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সবুজ ‘অর্থনীতি’ অর্থাৎ কীভাবে পরিবেশকে রক্ষা করে উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায় তা এখন অন্যতম আলোচ্য বিষয়। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন এ বিষয়ে এগিয়ে এসেছে। সামগ্রিকভাবে সবুজ অর্থনীতির মাধ্যমে উৎপাদনশীলতাকে এগিয়ে নিতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন সরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারী উদ্যোক্তাদের সমন্বয়। বিশ্বের উষ্ণতা ক্রমেই বাড়ছে। এর থেকে প্রতিকারের উপায় কি? জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলার একটি কার্যকর পদক্ষেপ হতে পারে সবুজ অর্থনীতি। এদেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, খাদ্য ও শিল্প উৎপাদন বাড়ানো, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে যাওয়া এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হলেও সবুজ অর্থনীতির সম্প্রসারণ হয়নি। বেকারদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব সামাজিক সবুজ ব্যবসা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সবার আগে পরিকল্পনাহীনভাবে আবাসন বা শিল্প প্রতিষ্ঠার নামে কৃষিজমি নষ্ট ও নদী-নালা ভরাট, দখল-দূষণ বন্ধ করতে হবে।

জেড রহমান
পল্টন, ঢাকা।

No comments

Powered by Blogger.